ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বেসরকারি খাতে ৫৫ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের অনুমোদন

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ৪ ডিসেম্বর ২০১৯

বেসরকারি খাতে ৫৫ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের অনুমোদন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে বেসরকারি খাতে ৫৫ মেগাওয়াট (এসি) ক্ষমতাসম্পন্ন সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া সৌদি আরব থেকে ২৫ হাজার মে. টন ইউরিয়া সার আমদানি এবং রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রোজেক্ট বাস্তবায়নে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে মোট তিন ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সরকারী কাজে দেশের বাইরে থাকায় বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। বৈঠকে কমিটির অন্যান্য সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, বেসরকারি খাতে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ পারুয়া, ঘাটচেক ও সরফভাটা মৌজায় ৫৫ মেগাওয়াট (এসি) ক্ষমতাসম্পন্ন সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের লক্ষ্যে একটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এ বিদুৎৎকেন্দ্রটি স্থাপন করবে দুবাই ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কনসোর্টিয়াম অব মেটিটো ইউটিলিটিস লিমিটেড। সরকার ৫ দশমিক ৯৮ পার কিলোওয়াট ঘণ্টা রেটে এ বিদ্যুতকেন্দ্র থেকে ২০ বছর মেয়াদে বিদ্যুৎ ক্রয় করবে বলে চুক্তি হয়েছে। দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে এ খাতে বিনিয়োগ বেসরকারী খাত। বেসরকারীখাতের বিদ্যুৎ কিনে নিচ্ছে সরকার। সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোতে ভাল করছে সরকার। এ কারণে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে বেসরবারীখাতকে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়। রূপকল্প সামনে রেখে দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্য অর্জনে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতেই হবে। সরকারের অগ্রাধিকার দশ প্রকল্পের মধ্যে বিদ্যুৎখাতের কয়েকটি প্রকল্প রয়েছে। ইসতিয়াক আহমেদ বলেন এছাড়া সভায় ২৫ হাজার মেট্টিক টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া সার আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। প্রতি টন ২৪১ দশমিক ৭৫ ইউএস ডলার রেটে জি টু জি ভিত্তিতে সৌদি আরব থেকে এসব সার আমদানি করা হবে। ২৫ টন সার আমদানিতে মোট খরচ হবে ৫১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সারের চাহিদা মেটাতে সৌদি আরব থেকে বেশ কয়েক বছর ধরে ইউরিয়া আমদানি করা হচ্ছে। ধারাবাহিক এই আমদানির ফলে সারের সঙ্কট দূর হওয়ার পাশাপাশি কৃষি উৎপাদন বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া বৈঠকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রোজেক্ট বাস্তবায়নে প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট এন্ড কোয়ালিটি অ্যাসারেন্স কনসালটেন্সি সার্ভিস’ সেবার জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ৩৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে প্রাইস ওয়াটার হাউজ কুপারস প্রাইভেট লিমিটেড।
×