ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হঠাৎ কেন বিবর্ণ জামালদের পারফরম্যান্স ?

প্রকাশিত: ০৭:৪৬, ৪ ডিসেম্বর ২০১৯

হঠাৎ কেন বিবর্ণ জামালদের পারফরম্যান্স ?

স্পোর্টস রিপোর্টার, কাঠমান্ডু, নেপাল থেকে ॥ বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে যারা নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখেন, তারা নিশ্চয়ই এই বিষয়ে একমত হবেন যে- গত এক বছরে অসাধারণ খেলেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। আর চমৎকার কুশলী এক ব্রিটিশ কোচ পেয়েছে লাল-সবুজরা, যার নাম জেমি ডে। ত্রয়োদশ এসএ গেমস ফুটবলে ভারত না থাকায় বাংলাদেশই দীর্ঘ নয় বছর পর এই ইভেন্টে দ্বিতীয়বারের মতো স্বর্ণজয় করতে যাচ্ছে, এমনটাই ধারণা ছিল ফুটবলামোদীদের। কিন্তু তাদের সেই ধারণায় চিড় ধরেছে ইতোমধ্যেই। কেননা প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশ ১-০ গোলে হেরে গেছে দুর্বল ভুটানের কাছে। এই আসরে এই প্রথম ভুটানের কাছে হারের তেতো স্বাদ পেল তারা। এটাকে যদি অঘটন বলা হয়, তাহলে তো তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্যই জেতার কথা। কিন্তু সে ম্যাচেও বাংলাদেশ জিততে পারেনি। মালদ্বীপের সঙ্গে ড্র করে ১-১ গোলে। দুই ম্যাচে একটিও গোল করতে পারেনি বাংলাদেশ। মালদ্বীপের সঙ্গে খেলতে গিয়ে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে একটি গোল আত্মঘাতী হিসেবে উপহার পেয়েছিল। রাউন্ড রবিন লিগে ৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ আছে তলানিতে। শীর্ষ দুই দল খেলবে ফাইনালে। বাংলাদেশ ফাইনালে উঠবে, সেই সম্ভাবনা এমনিতেই ক্ষীণ। তার ওপর আজ বৃহস্পতিবার (বাংলাদেশ সময় বিকেল সোয়া ৫টায়) দশরথের রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে যদি পয়েন্ট হারায়, তাহলেই এই আসর থেকে বিদায়ঘণ্টা বেজে যাবে বাংলাদেশের! স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, হঠাৎ করেই কেন বিবর্ণ-নিষ্প্রভ হয়ে গেল বাংলাদেশ ফুটবল দল? এর রহস্যটা কি? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে বিস্তর সমালোচনা করা হচ্ছে। রীতিমতো ধুয়ে দেয়া হচ্ছে ফুটবলারদের। বাদ পড়ছেন না বাফুফের হর্তাকর্তারাও। ফেসবুকে অনেকেই মন্তব্য করেছেন, ‘অতীতে দেখা গেছে প্রতিটি ম্যাচেই বাংলাদেশ ফুটবলাররা জানবাজি লাগিয়ে খেলেছেন। অথচ এবার দেখা যাচ্ছে নেপালে তারা যেন পা বাঁচিয়ে খেলছেন! সিরিয়াসনেস বলতে কিচ্ছু নেই! এর কারণ একটাই হতে পারে। আর তা হলো ঘরোয়া ফুটবলের মৌসুম শুরু হচ্ছে অচিরেই। ক্লাব থেকে কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেয়া ফুটবলাররা ইনজুরিতে পড়ার ঝুঁকি নিতে চাননি। সেক্ষেত্রে তাদের আগেই ক্লাব কর্তৃপক্ষ হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন! এজন্যই এসএ গেমসে দলের এই দুরবস্থা! ক্লাব আগে, না দেশ আগে?’
×