ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রমাণ করতে পারলে টাকা ফেরত দেব ॥ মাহি

প্রকাশিত: ১৩:১০, ৫ ডিসেম্বর ২০১৯

প্রমাণ করতে পারলে টাকা ফেরত দেব ॥ মাহি

মাহিয়া মাহি, নামটির সঙ্গে নতুন করে পরিচয় করে দেয়ার কিছু নেই। অভিনয় গুণে তিনি সবার কাছে পরিচিত। তার ভক্তের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। এদিকে, বিরতির পর ফের শুরু হয় মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘আনন্দ অশ্র’ ছবির শেষ লটের শূটিং। গত (২৭ নবেম্বর) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) ‘আনন্দ অশ্রু’ ছবির শেষ লটের শূটিংয়ে অংশ নেন নায়ক সাইমন ও মাহিয়া মাহি। গানের শূটিং ছাড়া ছবির বাকি অংশের কাজ শেষ হয়েছে। ছবিতে একজন বাউলের চরিত্রে দেখা যাবে সাইমনকে। যিনি গ্রাম-গঞ্জে ঘুরে ঘুরে গান করে বেড়ান। আর তার বিপরীতেই দেখা যাবে মাহিকে। ছবিতে সাইমনের চরিত্রের নাম থাকছে ফরহাদ আর মাহির চরিত্রের নাম শিরিন। তাদের প্রেম নিয়েই এগিয়ে যাবে কাহিনী। মাহি বেশ কিছুদিন ধরে শোবিজের কোন আলোচনায় ছিলেন না। বলতে গেলে অনেকটা চুপ করে ছিলেন মাহি। কেন এই লুকোচুরি? মাহি বলেন, ‘লুকোচুরি নয়। ছবির শূটিং থাকলে অবশ্যই আমাকে দেখা যাবে। শূটিংয়ের বাইরে আমার ফ্যাশন হাউস ‘ভারা’ ঘিরে সকল ব্যস্ত। শূটিং না থাকলে এখানেই সময় বেশি দেয়া হয়। তাই এমন লুকোচুরি (হা.হা.হা.)।’ সাইমন ও মাহিয়া মাহি জুটি সর্বশেষ অভিনয় করেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘জান্নাত’ সিনেমায়। এর আগে ১৯৯৭ সালে শিবলী সাদিক সালমান শাহ ও শাবনূরকে নিয়ে ‘আনন্দ অশ্রু’ নির্মাণ করেছিলেন। পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক জানান, এই ‘আনন্দ অশ্রু’ সালমান-শাবনূরের ‘আনন্দ অশ্রু’ নয়। নতুন গল্পের প্রেমের ছবি এটি। মাহি অভিনীত সবশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘অবতার’। মাহমুদ হাসান শিকদার পরিচালিত এ ছবিটি গত অক্টোবরের মাঝামাঝিতে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। সম্প্রতি ‘অবতার’ ছবির পরিচালক মাহির বিরুদ্ধে বাড়তি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেন। ছবিটির গানের দৃশ্যায়নে ব্যবহারের জন্য কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে মাহিয়া মাহির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আনন্দকণ্ঠকে বলেন, ‘পরিচালক প্রমাণ করতে পারলে পোশাকের টাকা ফেরত দেব। তার সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে সে অনুযায়ী কাজ করেছি। চুক্তির সময় এ বিষয়গুলো উল্লেখ ছিল। সে প্রমাণ দিতে পারলে পুরো সিনেমার টাকা ফেরত দিতে প্রস্তুত।’ দুই হাজার উনিশ বিদায় লগ্নে। চলতি বছরটি কেমন ছিল মাহির? জানতে চাইলে আনন্দকণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘বেশ ভাল কেটেছে। ছোটবেলা থেকে আমার অনেক বিজনেসের শখ ছিল যেটা চলতি বছর আমি পূরণ করেছি। তাই সিনেমার বাইরে ‘ভারা’ নিয়ে ব্যস্ততা যাচ্ছে। সিনেমার সঙ্কটকাল। এ সঙ্কট দূর করতে করণীয় কি বলে মনে করেন? ‘সিনেমার অবস্থা ভাল না। প্রযোজকরা ছবি নির্মাণে আগ্রহী হচ্ছেন না। আমাদের হল সঙ্কট রয়েছে। যে হলগুলো বর্তমানে আছে তাতে ছবি দেখার পরিবেশ নেই। কথাগুলো অস্বীকার করার নয়। জরুরীভাবে হলগুলো সংস্কার করা দরকার। এবং প্রতিটি জেলায় আধুনিক সিনেপ্লেক্স তৈরি করা দরকার। সিনেমার অবস্থা ভাল না। যার কারণে শিল্পীরাও কাজের অভাবে ভুগছেন। জানি না কবে আমাদের সিনেমার অবস্থা ভাল হবে। ফিরে আসবে সিনেমার সেই সোনালি অতীত। সে ক্ষেত্রে বলতে চাই যে, সিনেমার সুদিন ফেরাতে সবার এগিয়ে আসা উচিত। বিশেষ করে সিনেমার দুর্দিনে শাকিব ভাইয়ের পারিশ্রমিক কমিয়ে আনা দরকার। তার পারিশ্রমিক কমালে পরিচালক-প্রযোজক তাকে নিয়ে আরও কাজ করতে আগ্রহী হবে। এ রকম অবস্থায় সবার এগিয়ে আসা উচিত। আমি ভাল কাজ পেলে পারিশ্রমিকে ছাড় দিতে প্রস্তুত আছি।’
×