ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কলকাতায় পেঁয়াজ ১৫০ রুপী কেজি ॥ টাস্কফোর্স করেও কাজ হচ্ছে না

প্রকাশিত: ০৯:১১, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯

কলকাতায় পেঁয়াজ ১৫০ রুপী কেজি ॥ টাস্কফোর্স করেও কাজ হচ্ছে না

ভারতে লাগাম টানা যাচ্ছে না পেঁয়াজের দামে। মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু বাজার এবং কলকাতার একটি বাজারে বুধবার পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১৫০ রুপী দরে। এর মধ্যে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে গঠিত রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সও জানিয়ে দিল, চলতি মাসে সঙ্কট শেষ হওয়ার সম্ভাবনা কম। আনন্দবাজার পত্রিকা। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া বাজারে বুধবার পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজি-প্রতি ১৫০ টাকায়। নওদার আমতলা বাজারেও পেঁয়াজের দাম ১৪০-১৫০ টাকা কেজি। কলকাতায় রাজডাঙ্গা বাজারেও পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৫০ রুপী দরে। গড়িয়াহাট, মানিকতলা, লেক মার্কেট, ল্যান্সডাউনের বাজারগুলোতে দর উঠেছিল ১৪০ রুপী। টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, ‘শীতে অন্যান্য আনাজের দাম কমতে শুরু করেছে। কিন্তু এ মাসে পেঁয়াজের সঙ্কট চলবে বলেই আশঙ্কা হচ্ছে।’ দিল্লীতেও পেঁয়াজের দাম সেঞ্চুরি করে ফেলেছে। পেঁয়াজ নিয়ে সংসদে এ দিন সরব হন বিরোধীরা। তাদের প্রশ্নের মুখে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে বন্যার ফলে উৎপাদন মার খেয়েছে। তার দাবি, দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কম দামে পেঁয়াজ সরবরাহ করছে। রফতানি বন্ধ হয়েছে। পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তদারের জন্য মজুদের উর্ধসীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে। দাম কবে নাগালের মধ্যে আসবে, তা নিয়ে কোনও প্রতিশ্রুতি দিতে পারেননি নির্মলা। বিরোধী বেঞ্চ থেকে প্রশ্ন উত্তরে আসে, ‘আপনি কত দামে পেঁয়াজ কিনছেন?’ নির্মলার জবাব, ‘আমি এমন পরিবার থেকে আসি, যেখানে পেঁয়াজ-রসুন ঢোকে না।’ কলকাতায় টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের বক্তব্য, চাহিদার তুলনায় বাইরের রাজ্যগুলো থেকে পর্যাপ্ত জোগান না-আসাতেই সমস্যা। কলকাতায় অন্যান্য দিন যেখানে পেঁয়াজের ২৫-৩০টি গাড়ি আসে, এ দিন সেখানে এসেছে মাত্র চারটি। পাইকারি বাজারেই পেঁয়াজের কেজি ১২০ রুপী। টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে বলেন, ‘রাজ্যে প্রতিদিন ৭০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ লাগে। অর্ধেকও আসছে না।’ তবে পেঁয়াজের আগুন দর দেখে হতবাক হরিহরপাড়া, নওদার চাষীরা। কয়েক মাস আগেও তারা পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন সাড়ে তিন থেকে সর্বাধিক ছয় টাকা কেজি দরে। নওদার চাষীরা বলছেন, সংরক্ষণের ব্যবস্থা না-থাকায় ক্ষেত থেকে তুলেই কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য হন তারা। সেই পেঁয়াজ কলকাতা, শিলিগুড়ি ছাড়াও ভিন্রাজ্যে পাঠিয়ে মুনাফা লোটে ফড়ে ও মহাজনরা। অন্য একটি সমস্যার কথা শুনিয়েছেন হরিহরপাড়ার আনাজ বিক্রেতা সোনারুদ্দিন খান।
×