ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যেখানে শূটার আঁখিই প্রথম...

প্রকাশিত: ০৬:২০, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯

যেখানে শূটার আঁখিই প্রথম...

স্পোর্টস রিপোর্টার, কাঠমান্ডু, নেপাল থেকে ॥ ১৯৮৪ থেকে ২০১৬। এসএ গেমসের আগের ১২ আসরে বাংলাদেশ জিতেছিল মোট ৬৪৯ পদক। এর মধ্যে ৯৬ পদক এসেছে শূটিং থেকে। কিন্তু এই পদকগুলোর একটিও আসেনি নারীদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্ট থেকে। শুক্রবার সেই অসাধ্য সাধনই করলেন একজন, তার নাম আরদিনা ফেরদৌস আঁখি। ২৬ বছর বয়সী কুষ্টিয়ার সুদর্শনা এই শূটার এই ইভেন্টে লাভ করেন রৌপ্যপদক। তার স্কোর ছিল ২৩৪.৬। ভারতের পারমানামথাম শ্রী ২৩৮.৪ স্কোর করে জেতেন স্বর্ণপদক। পাকিস্তানের ইপতিসাম আন্না ২১৪.৯ স্কোর করে জেতেন তাম্রপদক। রৌপ্যপদক জেতার পর আঁখি বলেন, আসলে ভারতের শুটাররা অন্য লেভেলের। তারা শুটিং বিশ^কাপসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন। তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় অনেক বেশি চাপে ছিলাম। আল্লাহর রহম করেছেন যে আমি সিলভার মেডেল জিতেছি। তবে প্রতিযোগিতায় নামার আগে অন্যরকম একটি সমস্যায় পড়েছিলেন আঁখি, নেপালে আসার আগে পিস্তলে একটু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তখন মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলাম। কারণ গত এস এ গেমসেও আমার পিস্তলে একটা সমস্যা হওয়ায় পড়ে গিয়েছিলাম। তাই এবারও মনে হয়েছে যে, একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে। এবারও কী ভাগ্য সহায় হবে না। আল্লাহর রহমত যে এবার হয়ে গেল। আন্তর্জাতিক অর্জনে এটাই আঁখির প্রথম পদক। আর শেষ সাফ গেমসে তিনি দলগত রৌপ্যপদক জিতেছিলেন। পিস্তলে ইভেন্টে কেন এর আগে কোন বাংলাদেশী নারী শূটার পদক জেতেননি? পিস্তলে ভাল করার কারণ, একটা কারো শুরু করা লাগে। আমাদের অনেক বড় একটা গ্যাপ হয়েগিয়েছিল। আতিক আংকেল করার পর আর কেউই পিস্তলে ভাল করেনি। এরপর শাকিল শুরু করার কারণে আমাদের সবারই মনে হয়েছে যে আমরাই পারব। এটাই আসল। আঁখির ভাষ্য। আরও যোগ করেন, ৯ ডিসেম্বর আমার মিক্সড টিম ইভেন্ট আছে আহমেদ শাকিলের সঙ্গে। দোয়া করেন যেন ওই ইভেন্টে স্বর্ণ জিততে পারি। এআইইউবি থেকে স্নাতক করার পর এখন বিবিএ’ শিক্ষার্থী আঁখি ২০০৮ সাল থেকে পিস্তল হাতে নেন। এ পর্যন্ত জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ৪ স্বর্ণসহ ১৩ পদক জিতেছেন। ২০১৭ সালে ব্যবসায়ী তানভীল আহসানকে বিয়ে করেন আঁখি। আগামীতে তিনি আরও কতটা আন্তর্জাতিক সাফল্য পান, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
×