ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সখীপুরের কুতুবপুরে কলার হাট

প্রকাশিত: ০৯:৩৮, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯

 সখীপুরের কুতুবপুরে কলার হাট

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কুতুবপুরে ঐতিহ্য কলার হাট জমে উঠেছে। কলার হাট হিসেবে ইতোমধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠা হাটটিতে প্রতি সপ্তাহে প্রায় কোটি টাকার কলা বিক্রি হয়ে থাকে। সপ্তাহের রবিবার ও বুধবার এখানে কলার হাট বসে। তবে হাটের আগের দিনই কলা বিক্রির জন্য চাষীরা কলা এনে পসরা সাজিয়ে রাখেন। এখান থেকেই সখীপুরে উৎপাদিত কলা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে। স্থানীয় কলা চাষী, ব্যবসায়ী ও হাট ইজারাদারদের সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। জানা যায়, উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় কলার হাট হিসেবে পরিচিত এখন সখীপুর উপজেলার কুতুবপুর বাজার। এ হাটে উপজেলার বড়চওনা, দাঁড়িপাকা, শ্রীপুর, তৈলধারা, কুতুবপুর, মুচারিয়া পাথার, শালগ্রামপুর, গজারিয়া, কীর্তনখোলাসহ বিভিন্ন গ্রামের কলা চাষীরা কলা বিক্রি করতে আসেন। এছাড়াও জেলার ঘাটাইল, মধুপুর, কালিহাতী ও ধনবাড়ি উপজেলা এবং ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া, ভালুকা উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চাষী ও ব্যবসায়ীরা কলা বিক্রি করতে আনেন। এরপর তাদের কাছ থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা কলা কিনে ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে বিক্রি করেন। কুতুবপুর বাজারের কলা ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রতি হাটে এখান থেকে ২০-২৫ ট্রাক কলা দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। ওই হাটের কলার আড়তদার ফজলুল হক জানান, কলা ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এখানে সাতটি আড়ৎ গড়ে উঠেছে। সরেজমিন কুতুবপুর হাট ঘুরে ব্যবসায়ী ও কলা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ বছর কলার দাম অনেকটাই বেশি। প্রতি কাঁদি কলা এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০-৫০০ টাকা দরে। কলার কাঁদির ওপর নির্ভর করে দাম কম-বেশি হয়ে থাকে বলে জানান কলা ব্যবসায়ী হোসেন মিয়া। তিনি বলেন, এ বাজারের কলাগুলো খুবই উন্নতমানের এবং দেশের সব জায়গায় রয়েছে এই কলার চাহিদা। এ কারণে এখানে কলার দামও একটু বেশি। ১৫ থেকে ১৮ ছড়ি মধ্যম মানের একটি কলার কাঁদি বিক্রি হয় অন্তত ৩০০ টাকা দরে। এর চেয়ে ভালমানের কলা বিক্রি হয় ৫০০ টাকা পর্যন্ত। সখীপুর উপজেলার প্রতিমাবংকী গ্রামের কলাচাষী স্বপন আহমেদ বলেন, টাঙ্গাইল জেলার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় কলার হাট। অন্যান্য বাজারের তুলনায় এ বাজারে বেশি কলা বিক্রি হয়। এখানে দামও কিছুটা ভাল পাওয়া যায়। এ কারণে কুতুবপুরে কলার আমদানিও বেশি। ঘাটাইল উপজেলার গারোবাজারের কলাচাষী হযরত আলী বলেন, এ বছর তিনি সাড়ে চার বিঘা জমিতে কলা চাষ করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে ৩০০টি হিসাবে সাড়ে পাঁচ বিঘা জমিতে এক হাজার ৫০০ কলা গাছ লাগিয়েছেন। প্রতি বিঘা জমি থেকে অন্তত ৮০ হাজার টাকার কলা বিক্রি হবে। কুতুবপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মজিবুর রহমান ফকির বলেন, সপ্তাহের প্রতি রবি ও বুধবার কলার হাট বসে। -ইফতেখারুল অনুপম, টাঙ্গাইল থেকে
×