ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শিল্পালোকে উদ্ভাসিত মুজিববর্ষের পরিকল্পনা

প্রকাশিত: ১০:২৯, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯

 শিল্পালোকে উদ্ভাসিত মুজিববর্ষের পরিকল্পনা

মনোয়ার হোসেন ॥ ধন্য সেই পুরুষ, যাঁর নামের ওপর রৌদ্র ঝরে/চিরকাল, গান হয়ে/নেমে আসে শ্রাবণের বৃষ্টিধারা, যাঁর নামের ওপর/কখনো ধুলো জমতে দেয় না হাওয়া...। অবিনাশী কীর্তিতে বাংলার জল-হাওয়ায় এমন করেই অম্লান হয়ে আছেন শেখ মুজিবুর রহমান। স্বদেশের সবুজ প্রান্তর থেকে জাতিসত্তার নিশ্বাসে-বিশ্বাসে তিনি বিরাজমান। ক্রমশ এগিয়ে আসছে রাজনীতির সেই মহানায়কের জন্মশতবর্ষ উদযাপনের সময়। আগামী বছরের ১৭ মার্চ সেই কাক্সিক্ষত দিন। স্বাধীনতার মহান স্থপতির জন্মের শতবর্ষ পূর্ণ হবে সেদিন। কৃতজ্ঞতার বন্ধনে অশেষ ভালবাসায় জাতির জনকের জন্মশতবর্ষ উদ্যাপিত হবে শিল্পের আলোয়। বছরজুড়ে কবিতা, চিত্রকলা, নাটক, সঙ্গীত, যাত্রাপালা কিংবা নাচের নান্দনিকতায় উপস্থাপিত হবে মুজিববন্দনা। প্রান্তিক থেকে রাষ্ট্রীয় সীমানা পেরিয়ে বহির্বিশ্বে বিস্তৃত হবে সে আয়োজন। চলছে সেই বিশাল কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা। বিবেচনা করা হচ্ছে জনকের জন্মশতবর্ষ বরণের উত্থাপিত প্রস্তাব-পরিকল্পনাসমূহ। কিছুদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত হবে শিল্পালোকে মুজিবকে মেলে ধরার বছরব্যাপী কর্মসূচী। শিল্পের আলোয় জাগবে সারাদেশ পরিকল্পনা অনুযায়ী, মুজিববর্ষকে ঘিরে শিল্পের আলোয় নবসজ্জায় জেগে উঠবে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ। দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে হবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শনির্ভর নাট্য প্রদর্শনী। ইতোমধ্যে মুজিবকে নিয়ে দুই বাংলার কবিরা লিখেছেন ২৫টি নতুন কবিতা। শিল্পিত উচ্চারণে সেসব কবিতার পঙ্ক্তিমালা ছড়িয়ে দেয়া হবে ৬৪ জেলার পথে-প্রান্তরে। দেশের বাইরে শান্তি নিকেতন, লন্ডন, নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন শহরে শোনা যেতে পারে সেসব কবিতার প্রতিধ্বনি। নবীন-প্রবীণ থেকে প্রখ্যাত শিশু শিল্পীরা জন্মশতবর্ষে বহুমাত্রিকভাবে মেলে ধরবেন মুজিবকে। দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে আর্ট ক্যাম্প, প্রদর্শনীসহ চিত্রকলার্ভির নানা আয়োজন। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের বাইরেও বিস্তৃত হবে শিল্পসম্ভার। পরিকল্পনার যথার্থ বাস্তবায়ন হলে এভাবেই মুজিববর্ষের শিল্পিত আয়োজনগুলো স্বদেশ ছাপিয়ে ছুঁয়ে যাবে বিদেশের মাটিতে। বহুমাত্রিক শৈল্পিক পরিবেশনা নির্ভর বিপুলা সেই আয়োজন বাস্তবায়ন করবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির অধীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী আয়োজন উপকমিটি। বর্তমান ও সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ চিত্রশিল্পী, কবি, সঙ্গীতশিল্পী, নাট্যজন, আবৃত্তিশিল্পী, নৃত্যশিল্পী নানা ভুবনের ৩৭ জন সৃজনশীল ব্যক্তিকে নিয়ে গঠিত হয়েছে এই উপ-কমিটি। সেই উপ-কমিটির অধীন আটটি ওয়ার্কিং গ্রুপ বাস্তবায়ন করবে মুজিববর্ষের শিল্পনির্ভর আয়োজনসমূহ। রং ছড়াবে চারুকলা মুজিববর্ষের আয়োজনে বিশেষ রং ছড়াবে চারুকলা ভুবন। পর্যায়ক্রমে দেশের আট বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে চিত্রকলাবিষয়ক কর্মশালা, সেমিনার ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। তিন দিনের কর্মশালায় কেন্দ্র থেকে অংশ নেয়া ২৫ জন বিশিষ্ট শিল্পীর সঙ্গে যুক্ত হবেন স্থানীয় ২৫ শিল্পী। এই শিল্পীদের মিলেমিশে রং-তুলিতে ক্যানভাস রাঙাবেন আট বিভাগের বিভিন্ন জেলার শত শিশু-কিশোর। পরবর্তীতে সেসব ছবি নিয়ে বিভিন্ন জেলায় অনুষ্ঠিত হবে প্রদর্শনী। পরিকল্পনানুযায়ী, মুজিববর্ষে দশটি বিশাল ক্যানভাসে ছবি আঁকার কথা রয়েছে দেশের প্রখ্যাত দশশিল্পীর। এই দশ শিল্পীর নেতৃত্বে ৫ থেকে ছয়জন শিল্পীর প্রতিটি দল চিত্রপটে বঙ্গবন্ধুর জীবনের দশটি ঘটনাবহুল অধ্যায় মেলে ধরবেন। আট ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৪ ফুট প্রস্থের চিত্রপটে ভিন্ন আঙ্গিকে উদ্ভাসিত হবেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ছয় দফার মতো ঘটনাবহুল ইতিহাসের একেকটি অধ্যায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে আঁকা হবে শেখ মুজিবকে। মূলত রিয়েলিস্টিক ছবি আঁকায় পারঙ্গম শিল্পীরা থাকবেন এ কাজের অগ্রভাগে। চিত্রকর্মগুলো এমনভাবে চিত্রিত হবে যেন ছবি দেখে দর্শকও সহজেই প্রবেশ করবে ঘটনাপ্রবাহের ভেতরে। এই দশটি ছবি যেন দীর্ঘকাল টিকে থাকে সেজন্য ক্যানভাস নির্মাণসহ রঙের প্রয়োগেও থাকবে বিশেষত্ব। ছবিটিগুলো আঁকা হয়ে গেলে সেগুলোকে স্থায়ীভাবে মেহেরপুরের মুজিবনগর স্মৃতি জাদুঘরে রাখার কথা জানান চিত্রকলা প্রদর্শনী বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেন। তবে এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন নিয়ে এখন সন্দিহান এই শিল্পী। এ বিষয়ে তিনি বলেন, কয়েক মাস আগে বাজেটসহ পুরো পরিকল্পনার বাস্তবায়ন কমিটিতে জমা দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কিছু জানানো হয়নি। অবস্থা এমন যে এখন এই পরিকল্পনা অনুমোদন পেলেও সেটা বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে। তিনি জনকণ্ঠকে আরও জানান, মুজিববর্ষের বর্ষব্যাপী আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় আর্ট ক্যাম্পসহ আরেকটি বড় আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। এ আয়োজনে দেশের শিল্পীদের শিল্পীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবেন বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পীবৃন্দ। সারাদেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে প্রচলিত ধারার মুজিবের প্রতিকৃতি আঁকার বদলে তার আদর্শ ও দর্শননির্ভর চিত্রকর্ম সৃজন করবেন এই চিত্রকররা। সেসব ছবির মধ্যে নির্বাচিত কাজগুলোকে পুরস্কার দেয়া হবে। পরবর্তীতে নির্বাচিত ছবিগুলো নিয়ে ঢাকার পাশাপাশি ভারতের দিল্লীর মডার্ন আর্ট গ্যালারিসহ, লন্ডন, নিউইয়র্ক, টোকিও, বার্লিন, কার্ডিফসহ বহির্বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের গুরুত্বপূর্ণ গ্যালারিতে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। এর বাইরে বিভাগীয় শহরগুলোয় বিভিন্ন জেলার শিল্পীদের অংশগ্রহণে আর্ট ক্যাম্প ও প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে শিল্পী সম্মিলনের পরিকল্পনা রয়েছে। সেখানে শিল্পের উৎসবমুখর পরিবেশে বড়দের সঙ্গে শামিল হবে ছোটরাও। কাব্যিক আয়োজন মুজিববর্ষে কবিতার শিল্পিত উচ্চারণে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হবে স্বাধীনতার মহান স্থপতিকে। গদ্য-পদ্যের সমন্বিত শত টেক্সটে সাজানো হয়েছে সেই কাব্যিক আয়োজন। বাংলার অবিসংবাদিত নেতার জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে রচিত হয়েছে ২৫টি নতুন কবিতা। বাংলাদেশ ও ভারতের বাংলাভাষী কবিরা লিখেছেন এসব কবিতা। সারা দেশের ৬৪ জেলায় উচ্চারিত হবে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত সেসব কবিতার পঙ্ক্তিমালা। শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরের ১০টি স্থানে অনুষ্ঠিত হবে আবৃত্তিনির্ভর বিশাল আয়োজন। এক ও দুই ঘণ্টার দুইটি ভিন্ন আঙ্গিকে সজ্জিত হয়েছে পরিবেশনা। দেশের ভেতর প্রতিটি জেলায় অনুষ্ঠিত হবে শত কণ্ঠে আবৃত্তি। উপস্থাপিত হবে সৈয়দ শামসুল হকের কলম থেকে আসা কালোত্তীর্ণ কবিতা ‘আমার পরিচয়’। থাকবে শিশুদের কুড়ি মিনিটের বৃন্দ পরিবেশনা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত কবিতার সমষ্টিতে সাজানো প্রযোজনাটির গ্রন্থনা করেছেন মাসরুর জামান রনি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ইতোপূর্বে দুই বাংলার কবিদের রচিত ৫০টি কবিতা নিয়ে থাকবে একটি পরিবেশনা। নির্মলেন্দু গুণ, মহাদেব সাহাসহ এপার বাংলা ও ওপার বাংলার কবিরা মুজিববর্ষ উপলক্ষে লিখেছেন ২৫টি নতুন কবিতা। দেশের কবিদের লেখা ১৮টি এবং ভারতের কবিদের লেখা ৭টি নতুন কবিতার সম্মিলনে সজ্জিত হবে একটি আবৃত্তিপর্ব। থাকবে বঙ্গবন্ধু রচিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থদ্বয়ের নির্বাচিত অংশ থেকে ছয়টি করে মোট ১২ পর্বের পরিবেশনা। এটির গ্রন্থনা করেছেন আবৃত্তিশিল্পী ইকবাল খোরশেদ। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণসহ বঙ্গবন্ধুর দেয়া ছয়টি নির্বাচিত বক্তৃতা পরিবেশিত হবে আবৃত্তির আশ্রয়ে। এ পরিবেশনাটির গ্রন্থনা করেছেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার। বঙ্গবন্ধুর নিজ পছন্দের সাতটি কবিতাও উঠে আসবে মুজিববর্ষের কাব্যিক আয়োজনে। মুজিবের পছন্দের এই সাতটি কবিতা নির্বাচন করবেন তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুজিববর্ষের আবৃত্তির আয়োজনে উচ্চারিতব্য গদ্য-পদ্য নিয়ে আহ্কাম উল্লাহ্্র সম্পাদনায় প্রকাশিত হবে ‘আবৃত্তিতে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক গ্রন্থ। মুজিবর্ষের কাব্যিক আয়োজনে জেলা পরিষদের আয়োজনে ৬৪ জেলার অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন স্থানীয় জেলার আবৃত্তিশিল্পীরা। চৌষট্টি জেলার পাশাপাশি দেশের আট বিভাগের ১১টি অঞ্চলেও থাকবে আবৃত্তির অনুষ্ঠানমালা। এগুলোর মধ্যে টুঙ্গীপাড়া, মুজিবনগর ও গণভবনের অনুষ্ঠানগুলো হবে দুই ঘণ্টার। আবৃত্তির আশ্রয়ে দেশের বাইরের দশটি স্থানে ছড়িয়ে দেয়া হবে মুজিববর্ষের আয়োজন। সীমানা পেরুনো অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে ভারতের কলকাতা, শান্তি নিকেতন, ত্রিপুরা, শিলচর ও শিলিগুড়ি। বাকি পাঁচটি স্থান হচ্ছে নিউইয়র্ক, লন্ডন, সিডনি, ফ্রান্স ও টরেন্টো। জনকণ্ঠকে এসব তথ্য জানান আবৃত্তিবিষয়ক উপকমিটির আহ্বায়ক বাচিকশিল্পী মোঃ আহ্কাম উল্লাহ্। নাটক মুজিববর্ষে নাটক নিয়েও থাকছে বৃহৎ পরিসরের ভিন্নধর্মী আয়োজন। নাটকের আশ্রয়ে প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া হবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। বছরব্যাপী সারা দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে পরিবেশিত হবে একাধিক মঞ্চ ও পথনাটক। এসব নাটকের বিষয়ে ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুর পরিবর্তে তার চেতনাকে ধারণ করা হবে। গণন্ত্রের প্রতি, সমাজতন্ত্রের প্রতি এবং জাতির প্রতি শেখ মুজিবের দায়বদ্ধতার গভীর বিষয়সমূহ উঠে আসবে এসব নাটকে। বাঙালী জাতির জনক হিসেবে মুজিবকে নিয়ে বিভ্রান্তি দূরীকরণে প্রতিটি প্রযোজনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালনের বার্তা দেয়া হবে তৃণমূল জনগোষ্ঠীকে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নির্বাচন করা হয়েছে নবীন-প্রবীণ নাট্যকার রচিত কিছু নতুন মঞ্চনাটক। সারা দেশের ছড়িয়ে আছেন ৩০ হাজার নাট্যশিল্পী। ইউনিয়ন পর্যায়ে নতুন নাটকগুলো মঞ্চায়নে যুক্ত করা হবে এসব শিল্পীকে। পাশাপাশি মুজিববর্ষের নাট্যায়োজনে থাকবে বঙ্গবন্ধুর জীবননির্ভর দর্শকসমাদৃত কিছু পুরনো নাটক। মঞ্চনাটকের মতো একইভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের আয়োজনে থাকবে বেশ কিছু নতুন-পুরনো পথনাটক। পথনাটকেও থাকবে প্রান্তিক মানুষের মাঝে বঙ্গবন্ধুর চেতনা ছড়িয়ে দেয়ার প্রয়াস। এসব তথ্য জানান নাটকবিষয়ক উপকমিটির সদস্য সচিব কামাল বায়েজিদ। যাত্রাপালা বাঙালীর হাজার বছরের ঐতিহ্যের সাক্ষী যাত্রাপালাও থাকছে জাতির জনককে নিবেদিত বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালায়। বিভিন্ন সময়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে বেশ কিছু যাত্রাপালা। সেগুলোকে আরও পরিশীলিত ও সুন্দরভাবে উপস্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিনটি নতুন যাত্রাপালা নির্মাণের প্রাথমিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘আমি মুজিব বলছি’সহ বেশ কিছু পালা নির্মিত হয়েছিল। সেগুলোর চিত্রনাট্য খোঁজা হচ্ছে। পাওয়া গেলে এসব যাত্রাপালাও নতুন করে মেলে ধরা হবে দর্শকের সামনে। ঢাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জেলায় এগুলোর প্রদর্শনী করার পরিকল্পনার কথা জানান যাত্রাবিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক এস এম মোহসীন। নাটক, চিত্রকলা ও কবিতার মতোই মুজিববর্ষে সঙ্গীত ও নৃত্য নিয়েও থাকবে বিস্তৃত আয়োজন। সুরের আশ্রয়ে সারা দেশে স্মরণ করা হবে বঙ্গবন্ধুকে। নৃত্যকলা নিয়ে থাকবে দেশব্যাপী বর্ণিল অনুষ্ঠানমালা।
×