ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বিস্তৃত পরিকল্পনার রূপরেখা চাই

প্রকাশিত: ০৯:৩৮, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯

জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বিস্তৃত পরিকল্পনার রূপরেখা চাই

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ দেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য একটি কৌশলগত ও বিস্তৃৃত পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরির লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ, জ্বালানি দক্ষতার উন্নতি ও কম দূষণকারী উপাদানের প্রতি জোর দেয়া উচিত। শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বাংলাদেশ প্রাণিবিদ্যা সমিতির দ্বিবার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও বার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। প্রাণিবিদ্যা সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. গুলশান আরা লতিফার সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বন বিভাগের প্রধান সংরক্ষক ড. শফিউল আলম চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হুমায়ুন রেজা খান। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুর রব মোল্লা। এতে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের সচিব মোঃ বেলায়েত হোসেন, ঢাবি প্রাণিবিদ্যা এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সেলিনা খাতুন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক ড. অভিজিৎ মিত্র প্রমুখ। সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন, বায়ু দূষণ এবং পরিবেশ দূষণ চ্যালেঞ্জের সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ এবং এটি আমাদের জনগণের জন্য হুমকিস্বরূপ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের কার্যকর কৌশল গ্রহণ করা প্রয়োজন। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের পরিকল্পনা গ্রহণে সকল স্টেকহোল্ডারকে সম্পৃক্ত হতে হবে। এরজন্য সরকারের পাশাপাশি অন্যান্য এজেন্সি, সাধারণ জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে এবং সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ সকল পরিণতি ইতোমধ্যে আমাদের জন্য আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। তবে আশার কথা হলো, এর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য আমাদের কার্যকর ব্যবস্থা ও সরঞ্জাম রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য, জল, উর্বর মাটি, বন আশীর্বাদস্বরূপ পেয়েছি। তবে টেকসই উন্নয়নের জন্য এসব যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা দরকার। তাই পরিবেশ দূষণ কমাতে সরকার ও অন্যান্য সংস্থাগুলোকে নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের ওপর জোর দেয়া উচিত।
×