ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভিসা জালিয়াতি

কুয়েতে ৬ বাংলাদেশী দালালকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে

প্রকাশিত: ০৯:৩৯, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯

কুয়েতে ৬ বাংলাদেশী দালালকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে

ফিরোজ মান্না ॥ মানবপাচারের সঙ্গে যুক্ত দালালদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে কুয়েত সরকার। বৃহস্পতিবার ভোরে (স্থানীয় সময়) বাংলাদেশী ৬ দালালকে আটক করে সে দেশের ইমিগ্রেশন পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ভিসা ব্যবসার বিভিন্ন কাগজপত্র, বিপুলসংখ্যক পাসপোর্ট ও বিভিন্ন কোম্পানির স্ট্যাম্পযুক্ত কাগজ পাওয়া গেছে। কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশ ছাড়ার সময় কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পুলিশ তাদের আটক করে। দীর্ঘদিন ধরে কর্মী নিয়োগ বন্ধ থাকলেও পাচারকারী চক্র জালিয়াতি করে বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক কর্মী কুয়েতে নিয়েছে। দালালচক্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে পাকিস্তান, মিসর, ভারত, সিরিয়া ও বাংলাদেশের নাগরিক। এদের একটি শক্তিশালী গ্রুপ তুরস্কে বসে অবৈধ ব্যবসা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্র জানায়, কুয়েতে কয়েক দেশের নাগরিক মিলে শক্তিশালী দালাল চক্র গড়ে তুলেছে। তারা বিভিন্ন দেশ থেকে ভুয়া কোম্পানির নামে কুয়েতে কর্মী নিয়ে আসছে। পুলিশের ধারণা আটক ৬ বাংলাদেশীর সবাই একটি সংঘবদ্ধ ভিসা জালিয়াতি চক্রের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে ভিসা জালিয়াতির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে স্থানীয় পুলিশ। পাশাপাশি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কুয়েতের ইংরেজী দৈনিক ‘আরব টাইমস’। আটক বাংলাদেশের নাম পরিচয় কিছু উল্লেখ করেনি। কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে কুয়েত কর্তৃপক্ষ দূতাবাসকে অবহিত করবে। যারা মানবপাচারে সঙ্গে যুক্ত তাদের বিষয়ে কুয়েতী আইনে বিচার হবে। তবে আমরা খোঁজ নিয়ে দেখব তারা মানবপাচারকারী কি না। তারা যদি দোষী না হন সেক্ষেত্রে আমরা এ বিষয়ে কুয়েত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। ইমিগ্রেশনের পক্ষ থেকে আমাদের পুরো ঘটনা জানানোর পর আমরা উদ্যোগ নেব। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশেই বর্তমানে কর্মী নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। কুয়েতে কর্মী নিয়োগ ৭ বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ। কিন্তু দালালচক্র নানা কায়দায় বিভিন্ন দেশ থেকে বড় অঙ্কের টাকা নিয়ে জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে কর্মী নিয়ে যাচ্ছে কুয়েতে। কুয়েত সরকার বিষয়টি এর আগে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে অবহিত করলেও দালাল চক্র থেমে থাকেনি। তারা তাদের মতো করে বিভিন্ন কোম্পানির নামে কর্মী আনছেই। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এয়ারপোর্টে ‘হেল্পডেস্ক’ স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে কর্মীদের সাহায্য করা, কি কাজ নিয়ে কর্মীরা যাচ্ছে সে বিষয়টি দেখা এরপরও দালালচক্র কিভাবে কর্মী নিয়ে যাচ্ছে তা দেখার দায়িত্ব ইমিগ্রেশন পুলিশের।
×