ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা

প্রকাশিত: ১১:৫৭, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯

খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা

সংবাদদাতা, মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর, ৭ ডিসেম্বর ॥ মঠবাড়িয়া শহর হতে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরবর্তী বলেশ^র নদতীরবর্তী সাপলেজা ইউনিয়নের চড়কগাছিয়া গ্রামে ১৪৩ নং পশ্চিম চড়কগাছিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী খোলা আকাশের নিচে বার্ষিক পরীক্ষা দিচ্ছে। শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে ওই বিদ্যালয়ের দুর্দশার চিত্র চোখে পড়ে। স্কুল মাঠের গাছের নিচে পরীক্ষা দেয়ায় গাছের ফল পড়া আতঙ্ক, রোদ ও শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের দারুণ দুর্ভোগের মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হচ্ছে। পুরনো ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণার পর দুই মাসের মধ্যেই মূল ভবন ধসে পড়ে। এরপর শ্রেণীকক্ষ মেরামতের টাকা দিয়ে টিনের সাপড়া ঘর তৈরি করে ক্লাস শুরু করে। কিন্তু সেটিও গত ১০ নবেম্বর ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তা-বে ভেঙ্গে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। বিকল্প কোন ভবন না থাকায় এর পর থেকেই কর্মরত শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে ক্লাস ও বার্ষিক পরীক্ষা নিতে বাধ্য হয়। বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে মেহগনিসহ বিভিন্ন গাছের নিচে দুই সিফটে প্রায় ৭০ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে দেখা গেছে। মাথার উপরে তাঁবু বা কোন শেড না থাকায় গাছের ফল ও পাতা পড়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বিঘœ ঘটতে দেখা গেছে। শিক্ষার্থীরা জানালেন, সকালে তাদের পরীক্ষা দিতে শীত ও দুপুরে রোদে ঠা-া ও গরমজনিত অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, ১৯৯২ সালে নির্মিত ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হলে সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিএম সরফরাজ ও তৎকালীন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সরেজমিন পরিদর্শন করে চলতি বছরের ২০ মে বিদ্যালয়টি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। এরপর শ্রেণীকক্ষ মেরামতের অর্থ ও ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে টিনের ছাপড়া দিয়ে ক্লাস চালিয়ে আসছিলাম। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে সেটিও ভেঙ্গে যাওয়ায় বিকল্প কোন ভবন নাথাকায় খোলা আকাশের নিচে ক্লাস ও পরীক্ষা নিতে বাধ্য হচ্ছি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে টিনের বিধ্বস্ত হওয়ার পর ক্লাস ও পরীক্ষা নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আপতকালীন অস্থায়ী গৃহ নির্মাণের জন্য তিন লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
×