ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভাবমূর্তি রক্ষায় বাদশাহ সালমানের তোড়জোড়

প্রকাশিত: ০৮:১৫, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯

 ভাবমূর্তি রক্ষায় বাদশাহ  সালমানের তোড়জোড়

ফ্লোরিডায় নৌঘাঁটিতে হামলায় সৌদি নাগরিক জড়িত থাকার কথা জানাজানি হওয়ার পর বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ তড়িঘড়ি ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং হামলার নিন্দা ও নিহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন। এতেই বোঝা যাচ্ছে যে সৌদি কত গুরুত্বসহকারে শুক্রবারের হামলার ঘটনাটি সামলাচ্ছে। এদিন পেনসাকোলা নৌঘাঁটিতে গোলাগুলিতে হামলাকারীসহ চারজন নিহত হয়। এদিকে হামলার ঘটনা তদন্তে কয়েক সৌদি শিক্ষানবিসকে আটক করা হয়েছে। সিএনএন ও বিবিসি। হামলার পর ৮৩ বছর বয়সী বাদশাহ সালমান দ্রুত ট্রাম্পকে ফোন করেন। পরে ট্রাম্প টুইটে সালমানের সঙ্গে তার আলাপের বিষয়বস্তু জানান। বাদশাহ তার নিজ বাহিনীকেও ওই হামলার ঘটনা তদন্তে মার্কিন বাহিনীকে সহায়তার নির্দেশনা দিয়েছেন। বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্বে এবং যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি আরবের ভাবমূর্তিতে কালি পড়েছে। সালমানও ভবিষ্যতে পুরোপুরি সতর্ক হবেন মার্কিন জনগণ ও রাজনীতিকদের সঙ্গে সৌদির সম্পর্ক কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মার্কিন কংগ্রেসও সৌদিতে অস্ত্র বিক্রি আটকে দেয়ার চেষ্টা করেছে। ওই অস্ত্র ইয়েমেনের সাধারণ নাগরিকদের হত্যায় কাজে লাগানো হতে পারে বলে কংগ্রেসের আশঙ্কা। গত বছর তুরস্কে ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে সৌদি কর্মকর্তারা হত্যার পর উদ্বেগ বৃদ্ধি পায়। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়। সিআইএ নিশ্চিত করে যে, যুবরাজ বিন সালমান খাশোগিকে হত্যার নেপথ্যে ছিলেন। শুক্রবার আবার এক সৌদি নাগরিকের নেতিবাচক কর্মকান্ডে সালমান সৌদির ভাবমূর্তি রক্ষা করতে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছেন। এদিকে বন্দুক হামলার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সৌদি থেকে যাওয়া বেশ কয়েকজন শিক্ষানবিসকে আটক করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এদের শুক্রবারের ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযুক্ত করা হচ্ছে না। শুধু তদন্তের অংশ হিসেবে প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পেনসাকোলা নৌঘাঁটির দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর ৬টা ৫১ মিনিটে হামলার ঘটনা ঘটে। কর্মকর্তারা জানান, হামলাকারী একজন সৌদি শিক্ষানবিস বৈমানিক। তার নাম মোহাম্মদ সায়িদ আলশামরানি। হামলার ঘটনা তদন্তের দায়িত্বে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সামরিক কর্মকর্তা মার্কিন জানিয়েছেন, আলশামরানির যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী মনোভাবের ছিল। তিনি জানান, হামলার কয়েকদিন আগেই আলশামরানি রাতের খাবারের সময় তার সহপাঠী কয়েকজনকে এর আগে হওয়া বিভিন্ন বন্দুক হামলা ও হত্যাকা-ের বেশ কিছু ভিডিও দেখিয়েছিল। এছাড়া তদন্তকারীরা একটি টুইটার এ্যাকাউন্ট পাওয়ার কথা জানিয়েছেন যেটি হামলাকারীর পরিচয়ের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।
×