ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দুটি ‘প্রথম’ স্বর্ণপদকের সাক্ষী হয়ে রোমাঞ্চিত অধিনায়ক সালমা

প্রকাশিত: ০৯:৫৮, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯

দুটি ‘প্রথম’ স্বর্ণপদকের সাক্ষী হয়ে রোমাঞ্চিত অধিনায়ক সালমা

স্পোর্টস রিপোর্টার, নেপাল থেকে ॥ এসএ গেমসে এবারই প্রথম যুক্ত হয়েছিল নারী ক্রিকেট (টি২০)। প্রথম আসরে অংশ নিয়েই তাতে বাজিমাত করেছে বাংলাদেশ। রবিবার তারা শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে মাত্র ২ রানে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো স্বর্ণপদক জেতে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাধভাঙ্গা উল্লাসে মেতে উঠেন সালমা-কুবরা-জাহানারারা। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের কোচ আঞ্জু জেইন বলেন, ‘শিরোপা জিততে পেরে ভাল লাগছে। যদিও আমরা ব্যাটিং করতে নেমে খুব বেশি রান করতে পারিনি। খুব দ্রুতই আমাদের উইকেটগুলোর পতন ঘটেছে। তবে সেটা আমার খেলোয়াড়রা পুষিয়ে দিয়েছে চমৎকার বোলিং এবং ফিল্ডিং করে। এটাই দুই দলের মধ্যে তফাত গড়ে দিয়েছে।’ আঞ্জু ম্যাচের আগেরদিন বলেছিলেন এটা ব্যাটিং উইকেট, তাই বাংলাদেশ বড় স্কোর গড়বে। কিন্তু রবিবার তার উল্টোটিই দেখা গেছে। এ প্রসঙ্গে আঞ্জুর ব্যাখ্যা, ‘পিচ নিয়ে আমি ঠিকই বলেছিলাম। কিন্তু বাস্তবতা হলো আমাদের ব্যাটাররা উইকেটে গিয়ে ভুল শট খেলেছে এবং কম রানে আউট হয়ে এর খেসারতও দিয়েছে। তবে মেয়েরা মোটেও চাপ নিয়ে খেলেনি। তারা আত্মবিশ্বাসী ছিল জয়ের ব্যাপারে। এই আসর খেলে তারা অনেক কিছু শিখেছেও বটে। তাদের আগামী দিনের লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বকাপ।’ বাংলাদেশ দলের সিনিয়র ক্রিকেটার ও অধিনায়ক সালমা খাতুন বলেন, ‘এসএ গেমস বহু বছর ধরে হলেও ক্রিকেট ইভেন্টটি বেশিরভাগ সময়ই রাখা হয় না। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে এখন থেকে যেন ক্রিকেট ডিসিপ্লিন যেন অবশ্যই রাখা হয় এই আসরে। যেখানে এশিয়ান গেমস এবং অলিম্পিকেও ক্রিকেট আছে, সেখানে এসএ গেমসের ক্রিকেটকে রাখা যেতেই পারে।’ সালমা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেটের বিভিন্ন সাফল্যের সাক্ষী আমি। এশিয়া কাপ ক্রিকেটে এবং এসএ গেমস ক্রিকেটের শিরোপাজয়ী বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক আমি ছিলাম এবং আছি ... এটা আমার জন্য খুবই আনন্দের ব্যাপার।’ এত ভাল লাগছে যে বলে বোঝাতে পারব না। এই দুই অর্জনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার যে সুযোগ পেয়েছি, এজন্য বিসিবিকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’ সর্বশেষে সালমা বলেন, ‘বোলিং করতে নেমে আমাদের পরিকল্পনা ছিল শ্রীলঙ্কার মূল তিন ব্যাটারকে আউট করে দেয়া। কারণ এরপর তাদের আর কোন ভাল ব্যাটার ছিল না। যদিও আমরা কিছু ব্যাটারকে একাধিকবার লাইফও দিয়েছি। তারপরও ভাগ্য আমাদের সহায় ছিল, তাই চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি।’
×