ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হারলেও ফাইনালে জিততে আশাবাদী অধিনায়ক শান্ত

প্রকাশিত: ১০:০২, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯

 শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হারলেও ফাইনালে জিততে আশাবাদী অধিনায়ক শান্ত

স্পোর্টস রিপোর্টার, নেপাল থেকে ॥ এসএ গেমসে রবিবার ছিল ক্রিকেটে বাংলাদেশের জন্য মিশ্র একটি দিন। পোখারায় যেখানে বাংলাদেশ নারী দল শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো স্বর্ণজয় করেছে, কাঠমান্ডুর ত্রিভুবনে সেখানে পুরুষ দল লীগ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে। তবে এই হারে খুব একটা ক্ষতি হয়নি সৌম সরকারদের। কারণ আগেই এক ম্যাচ হাতে রেখেই তারা নিশ্চিত করে ফেলেছিল ফাইনালে নাম লেখানো। আজ সোমবার একই ভেন্যুতে ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ আবার সেই শ্রীলঙ্কাই (তারাও আগেই নিশ্চিত করে ফেলেছিল ফাইনাল)। বলা যায় ফাইনালের আগেই এই দু’দল পরস্পরকে একবার পরখ করে নিতে চেয়েছিল। ফাইনালের আগের এই ‘ড্রেস রিহার্সাল’ ম্যাচে জয়ের হাসি হাসে বাংলাদেশই। এই আসরে ভারত-পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দল অংশ না নেয়াতে বাংলাদেশই দ্বিতীয়বারের মতো এই ইভেন্টে শিরোপা জিততে যাচ্ছে বলে ক্রিকেটাপ্রেমীরা যে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন, রবিবারের সেই হারে কিছুটা হলেও আশার বেলুন চুপসে গেছে। যদিও বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ভিন্নমত পোষণ করেছেন। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘এই হারে আমরা বিচলিত নই। কেননা আমাদের দলের মূল চার খেলোয়াড় এই ম্যাচে না খেলে বিশ্রাম ছিলেন। ফাইনালের আগে এই বিশ্রাম দরকার আছে। টানা চার ম্যাচ খেলাটা যুক্তিযুক্ত হতো না। আর এটা টিম ম্যানেজমেন্টর সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিগত ম্যাচগুলোতে আমাদের শেষের সারির যেসব ব্যাটসম্যান ব্যাটিং করার তেমন সুযোগ পাননি, আজকের ম্যাচে তাদের সেই সুযোগ দেয়া হয়েছিল, যেন তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে। ম্যাচের এই ফলকে মোটেও নেতিবাচকভাবে নিতে চাই না। বরং আমাদের ব্যাটসম্যানদের জন্য এটা ভালই হয়েছে।’ বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কান কোচ চম্পকা রামানায়াকে ম্যাচ শেষে জানান, ‘শুরুতে ব্যাটিং করতে গেয়ে কিছুটা চাপে ছিল আমাদের ব্যাটসম্যানরা। আমাদের লক্ষ্য ছিল ১৭০ বা ১৮০ রান করা। কিন্তু পাওয়ার প্লেতে আমরা বেশি রান করতে পারিনি এবং কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেলি। এখানেই ঘাটতি রয়ে যায় আমাদের। এটাই ছিল আমাদের হারের অন্যতম কারণ।’
×