ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামের নিক্সন, খুলনার ফোস্টার, রাজশাহীর ওয়াইজ শাহ, সিলেটের গিবস, রংপুরে ডনেল, কুমিল্লার গিবসন কোচ

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে একমাত্র দেশী কোচ সালাউদ্দিন

প্রকাশিত: ১০:০৩, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯

  বঙ্গবন্ধু বিপিএলে একমাত্র দেশী কোচ সালাউদ্দিন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বঙ্গবন্ধু বিপিএল শুরু হতে আর দুই দিন বাকি। বুধবার থেকে শুরু হবে লীগ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এবার আয়োজিত হতে যাচ্ছে বিপিএল। এ লীগে সাত দলের মধ্যে একজনই শুধু বাংলাদেশের কোচ আছেন। তিনি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। বিপিএলের সবচেয়ে সফল কোচও তিনি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ হয়ে দুইবার দলকে শিরোপা এনে দিয়েছেন। বিপিএলে এখন পর্যন্ত কোন দেশী কোচ দুইবার শিরোপা জিততে পারেননি। এমনকি সর্বশেষ আসর পর্যন্ত বিপিএলে টিকে থাকা দলগুলোর মধ্যে সালাউদ্দিনই শুধু দুইবার কোচ হিসেবে শিরোপা জেতার স্বাদ পেয়েছেন। সালাউদ্দিন এবার ঢাকা প্লাটুনের কোচ। একমাত্র দেশী কোচও। এর বাইরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কোচ হচ্ছেন ইংলিশ কোচ পল নিক্সন, খুলনা টাইগার্সের ইংলিশ কোচ জেমস ফোস্টার, রাজশাহী রয়্যালসের ইংলিশ কোচ ওয়াইজ শাহ, সিলেট থান্ডারের দক্ষিণ আফ্রিকার হার্শেল গিবস, রংপুর রেঞ্জার্সের নিউজিল্যান্ডের কোচ মার্ক ও ডনেল, কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের কোচ হচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওটিস গিবসন। বিদেশী কোচদের মধ্যে আবার পল নিক্সনই সবার আগে বাংলাদেশে এসেছেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল টি২০) এর আগে ছয় আসর হয়েছে। ছয় আসরে ছয় দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। প্রথম দুই আসরে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স, তৃতীয় আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, চতুর্থ আসরে ঢাকা ডায়নামাইটস, পঞ্চম আসরে রংপুর রাইডার্স ও ষষ্ঠ আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স শিরোপা জিতে। দুইবার করে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স চ্যাম্পিয়ন হয়। এর মধ্যে ম্যাচ পাতানোয় অভিযুক্ত দল ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স তৃতীয় আসর থেকেই বাদ হয়ে যায়। কুমিল্লা প্রথমবার খেলেই ঝলক দেখায়। শেষবারেও চমক জাগায়। দুইবারই কুমিল্লার কোচ থাকেন সালাউদ্দিন। বিপিএলে দেশীয় কোচদের মধ্যে তিনিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল কোচ। শেষবার কুমিল্লা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আগে ঢাকা ডায়নামাইটসের খালেদ মাহমুদ সুজন ও কুমিল্লার সালাউদ্দিন কোচ হিসেবে একবার করে শিরোপা জিতেছিলেন। কিন্তু শেষবার কুমিল্লা আবারও চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় দেশীয় কোচদের মধ্যে সবাইকে ছাপিয়ে যান কোচ সালাউদ্দিন। এবার বিপিএল আয়োজন হচ্ছে বিশেষ মাত্রা নিয়ে। বঙ্গবন্ধুর শতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন হচ্ছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এর পুরো তত্ত্বাবধানে আছে। যদিও স্পন্সর নেয়া হয়েছে। তবে পাঁচটি দলের নেয়া হয়েছে। দুটি দল বিসিবিই চালাবে। কিন্তু পুরো লীগ এবং দলগুলোর তত্ত্বাবধান করবে বিসিবিই। বিপিএলের সাত দল খেলবে। ঢাকা প্লাটুন, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, খুলনা টাইগার্স, সিলেট থান্ডার্স, রংপুর রেঞ্জার্স, রাজশাহী রয়্যালস ও কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। এর মধ্যে রংপুর ও কুমিল্লা দলটি বিসিবিই চালাবে। বাকি পাঁচ দলের স্পন্সর প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম ও সিলেটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা হবে। এই আসরে সব দলেই বিদেশী কোচ রয়েছে, তবে ঢাকা সালাউদ্দিনেই আস্থা রেখেছে। ঘরোয়া যে কোন ফরমেটে সালাউদ্দিনের সাফল্য চোখে পড়ার মতো। দেশসেরা ক্রিকেটাররাও ভাল করার জন্য শরণাপন্ন হয় সালাউদ্দিনের কাছেই। ১৯৯৭ সালে বিকেএসপিতে পার্টটাইম কোচ হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করে এখন পর্যন্ত সাফল্যর সঙ্গে কোচিং করিয়ে যাচ্ছেন। প্রায় দুই যুগ কোচিং করাচ্ছেন এই দেশী কোচ। একসময় সিঙ্গাপুর জাতীয় দলের কোচ ছিলেন। পরে ২০০৫ থেকে ২০১০ পর্যন্ত প্রায় ৫ বছর বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ ছিলেন। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন সিরিজ ও টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সহকারী কোচ ছিলেন সালাউদ্দিন। ঘরোয়া সাফল্য তার ঈর্শ্বণীয়। ২০১৩ সালে দুর্বল সিলেট রয়্যালসকে সেমিফাইনালে তুলেছিলেন। ২০১৬ সালে চিটাগাং ভাইকিংসকে এলিমিনেটরে তুলেছিলেন।
×