ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সালমান-ক্যাটরিনার উপস্থিতিতে পাল্টে গেল মিরপুর স্টেডিয়ামের চেহারা

বর্ণচ্ছটায় উজ্জল ॥ বঙ্গবন্ধু বিপিএল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:১৬, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯

বর্ণচ্ছটায় উজ্জল ॥ বঙ্গবন্ধু বিপিএল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

মিথুন আশরাফ/ মোরসালিন মিজান ॥ রাতের মিরপুর স্টেডিয়াম। রাতের বটে। দিনের চেয়ে বেশি আলোকিত হয়ে উঠেছিল। ভাবছেন, ফ্লাডলাইটের আলোয়? মোটেই নয়। বরং বলিউড হার্টথ্রব সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফের একঝলক উপস্থিতি পাল্টে দিয়েছিল গোটা স্টেডিয়ামের চেহারা। বোম্বে সিনেমার জনপ্রিয় জুটি শুধু আলো ছড়াননি, ঝড় তুলেছেন। আর সনু নিগম, কৈলাশ খেরের মতো গায়করা মাতিয়ে রেখেছিলেন সঙ্গীতপ্রেমীদের। পরিবেশনার পাশাপাশি বিদেশী তারকা শিল্পীরা ‘জয় বাংলা/জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। জন্মশতবর্ষ সামনে রেখে মহান নেতাকে শুভেচ্ছা জানান তারা। এভাবে চমকিত হওয়ার মতো নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে রবিবার উদ্বোধন হয় বঙ্গবন্ধু বিপিএল ২০১৯ -এর। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডÑবিসিবি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এদিন সন্ধ্যায় মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টি টুয়েন্টি ক্রিকেট উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোন বক্তৃতা না করলেও, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপভোগের জন্য সবাইকে আমন্ত্রণ জানান তিনি। আশা করেন, জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে শুরু হওয়া বঙ্গবন্ধু বিপিএল ক্রিকেটপ্রেমীদের আনন্দ দেবে। এ সময় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ ক্রিকেট বোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণার পর পরই শুরু হয়ে যায় আতশবাজি। কিছুক্ষণ আগেও যে আকাশ ছিল অন্ধকার, মুহূর্তেই তা আলোয় ভরে ওঠে। নানা রঙের আলো। নিচ থেকে উপরের দিকে রকেটের মতো ছুটে যায়। যেতে যেতে গুঁড়ো হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। একটি শেষ হতে না হতেই আরেকটি। এভাবে দারুণ উৎসবমুখর হয়ে ওঠে পরিবেশ। এর মধ্যেই মঞ্চের ব্যাকড্রপে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সংবলিত লোগো ভেসে ওঠে। এর আগে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে মঞ্চে এসে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের এবারের বিশেষত্ব তুলে ধরেন উপস্থাপক হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল ও সঙ্গীতা আহমেদ। দুই উপস্থাপক জানান, ২০১২ সালে প্রথম আয়োজন করা হয়েছিল বিপিএলের। সে ধারাবাহিকতায় এবার আয়োজন করা হচ্ছে সপ্তম আসরের। জাতি যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন করছে ঠিক তখন এই আয়োজন। বিরাট এ উপলক্ষের সঙ্গে ক্রিকেটকে যুক্ত করার প্রয়াসে ‘বঙ্গবন্ধু বিপিএল ২০১৯’ নামকরণ করা হয়েছে বলে জানান তারা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ হয়ে এসেছিলেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফ। প্রিয় তারকা জুটিকে দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে ছিলেন গ্যালারি ভর্তি দর্শক। অনুষ্ঠান চলাকালে হঠাৎই তাদের প্রতিক্ষার অবসান ঘটে। সাইটস্ক্রিণে দেখা যায়, বিসিবি হসপিটালিটি বক্সে বসে থাকা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে এসেছেন সালমান ও ক্যাটরিনা। দৃশ্যটি দেখা মাত্রই উল্লাসে ফেনে পড়ে গ্যালারি। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি নিজেদের শ্রদ্ধা ও ভালবাসার কথা জানান দুই বলিউড তারকা। প্রধানমন্ত্রীও তাদের আপনজনের মতো কাছে টেনে নেন। শেখ হাসিনার দুই পাশে হাস্যোজ্জ্বল মুখে দাঁড়িয়ে দুজনকে ছবি তুলতেও দেখা যায় এসময়। এর বেশ কিছু সময় পর মঞ্চে পারফর্ম করতে আসেন ক্যাটরিনা। রাত তখন ১০টার কিছু বেশি। গ্যান্ড এন্ট্রি নেন বর্তমান সময়ের তরুণদের হৃদয়ের রাণী। পালকি সদৃশ্য একটি বাহনে করে তাকে মঞ্চে আসতে দেখা যায়। সহশিল্পীরা তাকে বহন করে নিয়ে আসেন। ততক্ষনে জনপ্রিয় গানগুলো বাজতে শুরু করেছে। নাচ শুরু করতেও দেড়ি হয় না। নৃত্যশিল্পীদের বিশাল বহর নিয়ে পারফর্মেন্স শুরু করেন ক্যাটরিনা। ধুম মাচালে, তেনু কালা চশমা, সোহাগ সে কারেঙ্গে সবকা সাওগাত ইত্যাদি গানের একটি কম্পোজিশন। সেই কম্পোজিশনের সঙ্গে চোখ ধাঁধানো কোরিওগ্রাফি। মিউজিক ট্র্যাকের সঙ্গে এত নিখুঁত পরিবেশনা দেখে স্থির থাকতে পেরেছেন খুব কম দর্শক। নাচের সঙ্গেও তারাও দুলছিলেন। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই পরিবেশনা শেষ করেন তিনি। এর পরই পারফর্ম করেন মেগাস্টার সালমান খান। সরাসরি মঞ্চে দৃশ্যমান হন তিনি। তার মিউজিক ট্র্যাক সাজানো ছিল দাবাঙ, ওহ জানে জানা, জানাম সামজাহ কারো, কাবতাক জাওয়ানি ছুপাওগী রাণী, মুন্নী বদনাম হুইয়ি, প্রেম রাতান ধান পায়ো ইত্যাদি গানের অংশবিশেষ দিয়ে। গানগুলোর সঙ্গে অসাধারণ কোরিওগ্রাফি প্রদর্শন করেন সালমান। গানের সঙ্গে নাচের মুদ্রাও পাল্টাতে থাকেন সালমান। মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে তার পরিবেশনা উপভোগ করেন ভক্তরা। এর আগে ঢাকায় পারফর্ম করলেও, দুজনকে একসঙ্গে দেখা যায়নি। উপস্থাপকদ্বয়ের অনুরোধে এদিন প্রথমবারের মতো একসঙ্গে মঞ্চে ওঠেন তারা। নাচে অংশ নিয়ে দর্শকদের চমকিত করেন। কথার চমক ॥ সালমান ও ক্যাটরিনা গত কয়েক বছর আগে ঢাকার মঞ্চে এসে কোন কথা বলেননি। এদিন দুজন এমনকি বাংলা বলার চেষ্টা করেন। বারবারই বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রসঙ্গ তুলেন সালমান। জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জনাব শেখ মুজিবুর রহমান সাব। তিনি ফাদার অব দ্য ন্যাশন। সামনে তাঁর জন্মশতবার্ষিকী। আমি তাঁকে শুভেচ্ছা জানাই। প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কেও নিজের মুগ্ধতা প্রকাশ করেন সালমান। বলেন, তিনি নামেই শুধু হাসিনা নন, বাস্তবেও। দিলসে হাসিনা। সিরাত সে হাসিনা। খুবই মায়াবী তিনি। হাসিমুখের মানুষ। তার চোখেও হাসি। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে তিনি বলেন, আমরা আপনাকে ভালবাসি। এর আগে গ্যালারি ভর্তি দর্শক দেখে অভিভূত হন সালমান। বিস্ময় প্রকাশ করেন। বলেন, নমস্কার। আসসালামু আলাইকুম বাংলাদেশ। আসসালামু আলাইকুম ঢাকা। পুরো ঢাকা এখানে চলে এসেছে বলে মনে হচ্ছে। এ সময় উপস্থাপক জানান, টেলিভিশনেও সারা দেশের মানুষ অনুষ্ঠান দেখছে। এ সময় বাংলাদেশের মানুষের উদ্দেশে বাংলায় সালমান বলেন, কেমন আছ? উপস্থাপক এসময় জানান, বড়দের বেলায় বলতে হবে, কেমন আছেন? সালমান তখন বলেন, আপনারা কেমন আছেন? পরে উপস্থাপকের সহায়তা নিয়ে তিনি বাংলায় বলে যান, আমি সবাইকে ভালবাসি। আমি আমাকে ভালবাসি। অবশ্য খুব বেশি সময় বাংলা চালিয়ে যেতে পারেননি তিনি। বলেন, ইন্ড্রাস্টিতে (বলিউডে) আমার অনেক ঘনিষ্টজনেরা সুন্দর বাংলা বলতে পারে। আমি কেন যেন পারি না। তবে তার বাবা যে ভাল বাংলা জানেন সে কথা জানাতে ভুলেন না সালমান। বলেন, এখানে আসার আগে বাবা বলে দিয়েছেন, আমি যেন কাজী নজরুল ইসলামের নাম নিই। তার বাবা বাংলাদেশের জাতীয় কবির অনেক কবিতা পড়েছেন বলেও জানান তিনি। ক্যাটারিনা ভাল হিন্দিও বলতে পারেন না। অথচ এদিন বাংলায় বলার চেষ্টা করেন তিনি। বাংলা ইংলিশ মিলিয়ে বলেন, নমস্তে। আসসালামু আলাইকুম। লাভ ইউ বাংলাদেশ। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে তার ভীষণ ভাল অভিজ্ঞতা হয়েছে বলে জানান তিনি। সালমান ক্যাটরিনা পরে একসঙ্গে ‘জয় বাংলা/ জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে স্লোগান তুলেন। তাদের সঙ্গে স্লোগান তুলে গোটা স্টেডিয়াম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সঙ্গীত পর্বে মঞ্চে ছিলেন কৈলাশ খের ও সনু নিগম। ভারতের জনপ্রিয় শিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক সনু মাতিয়ে রাখেন পুরোটা সময়। অসংখ্য গান তার। বাংলাদেশেও দারুণ জনপ্রিয় তিনি। প্রথমে ধীর লয়ের একটি গান দিয়ে শুরু করেন তিনি। গানের মাঝখানেই উপস্থিত সকলের উদ্দেশে নমস্কার ও সালাম জানান। প্রথম গান শেষ করে বলেন, আমি আজ যে গানগুলো করব তা আগে কোনদিন মঞ্চে করিনি। ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাজি’র জন্য তার এ প্রস্তুতি বলে জানান তিনি। কিন্তু তখনও শ্রোতারা অনুমান করতে পারেনি যে, সনু বাংলা গান ধরবেন। তার আগে নিজের সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমার বাংলা উচ্চারণে ভুল থাকতে পারে। আপনারা আমার আবেগটুকুকে আমলে নিলে খুশি হব। শিল্পী এদিন দ্বিজেন্দ্র লাল রায় থেকে গেয়ে যান: এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি/ও সে সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি...। গান শুনে মুগ্ধ প্রধানমন্ত্রীকে লম্বা সময় ধরে করতালি দিতে দেখা যায়। পরের গানে আবারও চমকিত করেন সনু। এবার তিনি গান: শোন, একটি মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি, প্রতিধ্বনি,/আকাশে বাতাসে উঠে রণি...। বাংলা গান শেষ করে সনু বলেন, এ গান আপনাদের জন্য আমার ভালবাসার প্রকাশ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাজির জন্য শ্রদ্ধা। পরে ‘ক্যা এ মেরা পেহলা পেহলা প্রেম’,‘শুকরান আল্লাহ ওয়ালহামদুলিল্লাহ’, ইয়ে দিল দিওয়ানা’, ‘তুমকো দেখে বিনা’ মেরে হাত মে তেরে হাত হো’সহ বলিউড সিনেমার জনপ্রিয় কয়েকটি গান গেয়ে শোনান। অপেক্ষাকৃত ক্ল্যাসিক্যাল ধারার গান বেছে নিলেও, প্রায় প্রতিটি গানের সঙ্গে গাইতে দেখা যায় ভক্তদের। গানের পাশাপাশি সনু নিগমের কথাও বাংলাদেশী শ্রোতাদের অভিভূত করে। গায়ক এদিন কসম কেটেই বলেন, পৃথিবীর অন্যতম ভাল শ্রোতা আমি ঢাকায় দেখেছি। বাইরে শো করার সময়ও এ কথা বলেন বলে জানান তিনি। সুফী ঘরানার শিল্পী কৈলাশ খের শুরু করেন ‘জানা যোগি দে নাল নি মে’ গানটি দিয়ে। পরে একে একে তিনি শোনান তার জনপ্রিয় গানগুলো। শিল্পী গাইছিলেন: ‘টুটা টুটা এক পারিন্দা এইসে টুটা,ফির উড় নেহী পায়া,/লুটা লুটা কিসনে উসকো এইসে লুটা ফির উড় নেহী পায়া...। সঙ্গে গাইছিলেন শ্রোতারা। ‘তাওবা তাওবা’, ‘সাইয়া’ ইত্যাদি গানের সঙ্গেও তাল মিলান তারা। অনুষ্ঠানে শিল্পী বাংলায় ‘আমি চলতে পথে দু’দিন থামিলাম’ গানটি গেয়ে শোনান। গানের ফাঁকে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনিও। বলেন, বঙ্গবন্ধু ফাদার অব দ্য নেশন। শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব আওয়ার ইন্সপেরেশন, ফর এভরি জেনারেশন। তিনি শুধু রেভ্যুলশনারি লিডার ছিলেন না, ক্রিড়াপ্রেমী শিল্পপ্রেমী ছিলেন। এখানেই শেষ নয় গানের ফাঁকে ‘জয় বাংলা/জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে বাঙালীর জাতির জনকের প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করেন শিল্পী। অনুষ্ঠানে গান করেন বাংলাদেশের জনপ্রিয়তম গায়ক জেমস। তার ‘কোথায় আছে কেমন আছে মা’ গান আবেগাক্রান্ত করে শ্রোতাদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গানের সঙ্গে আঙুল দিয়ে তাল বাজাতে দেখা যায়। গায়কের ‘আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেব’ গানে কণ্ঠ মেলান শ্রোতারা। বোম্বে সিনেমায় প্লেব্যাক করা শিল্পী একটি হিন্দী গানও পরিবেশন করেন এদিন। গান করেন তরুণ প্রজন্মের গায়ক শুভ। রকস্টার হলেও শিল্পীর কণ্ঠে ছিল এন্ড্রু কিশোরের গাওয়া গান ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে/ রইবো না আর বেশিদিন তোদের মাঝারে...।’ শচীন দেববর্মন থেকে তিনি গেয়ে শোনান, ‘নিটোল পায়ে রিনিক ঝিনিক/পায়েলখানি বাজে’ গানটি। গান পরিবেশন করেন রেশমী মির্জা । অনুষ্ঠানের পুরো সময় গ্যালারিতে বসে ছিলেন শেখ হাসিনা। মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন তিনি। কখনও গানের সঙ্গে কণ্ঠ মেলান। কখনও আঙুলে তাল তুলেন। করতালিতে ফেটে পড়তেও দেখা যায় তাকে। এভাবে বড় অনুপ্রেরণা দিয়ে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এদিকে, রবিবার উদ্বোধন করা হলেও খেলা শুরু হবে আগামী বুধবার থেকে। বঙ্গবন্ধু বিপিএলেও অংশ নিচ্ছে মোট সাতটি দল। দলগুলো যথাক্রমে যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, রাজশাহী রয়্যালস, সিলেট থান্ডার, প্রিমিয়ার ব্যাংক খুলনা টাইগার্স, রংপুর রেঞ্জার্স ও কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। ১৭ জানুয়ারি ফাইনালের মধ্য দিয়ে শেষ হবে টি টোয়েন্টির উৎসব।
×