ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সামাজিক-রাজনৈতিক দুর্নীতিই বড় দুর্নীতি ॥ ফখরুল

প্রকাশিত: ০৩:৩০, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯

সামাজিক-রাজনৈতিক দুর্নীতিই বড় দুর্নীতি ॥ ফখরুল

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে এখন সামাজিক ও রাজনৈতিক দুর্নীতিই সবচেয়ে বড় দুর্নীতি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন- জাসাসের নতুন কমিটির নেতাদের নিয়ে সোমবার জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন ফখরুল। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে দুর্নীতির যে অবস্থা তা সর্বগ্রাসী চেহারা নিয়েছে। শুধুমাত্র আর্থিক দুর্নীতি হয় না, সামাজিক ও রাজনৈতিক দুর্নীতি সবচাইতে বড় দুর্নীতির মধ্যে একটি। আমাদের দেশে সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি শুরু হয়েছে।” “আজকে আর্থিক দুর্নীতি এমন একটা পর্যায়ে গিয়ে পড়েছে যে, সেখানে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্যদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হচ্ছে। আজকে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। এখানে একটি-দুইটি নয়, শেয়ার বাজার, ব্যাংক কেলেঙ্কারি, বিদ্যুতের কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট, মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি- এই বিষয়গুলো এমন একটা জায়াগায় পৌঁছেছে যে, এখন বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রায় শূন্যের কোঠায় পৌঁছে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।” বিএনপির মহাসচিব বলেন, “আমরা দেখতে পাচ্ছি, শুদ্ধি অভিযানের নাম করে শুধুমাত্র ছোট-খাটো যারা দুর্নীতির সাথে জড়িত তাদেরকেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, যারা বড় রুই-কাতলা, যারা সমস্ত সমাজকে গ্রাস করছে তাদের সম্পর্কে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, আজকে দুর্নীতির মধ্য দিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করে দিয়ে বর্তমান সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে।” বিএনপি আন্দোলন-সংগ্রামের ব্যর্থ হয়ে বিদেশিদের কাছে নালিশ করছে- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, “এসব পুরনো কথা। এর গুরুত্ব হারিয়ে গেছে। এই কথাগুলো বলা ছাড়া তাদের তো কোনো উপায় নেই। তাদের জনগণের কাছে যাওয়ার কোনো জায়গা নেই, বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাদের কোনো ভিত্তি নেই। “আওয়ামী লীগের উচিত এখন জনগণের কাছে যাওয়া। এতো যদি তারা মনে করে যে, তারা জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল, তাহলে এই নির্বাচনের (একাদশ) ফলাফলকে বাতিল করে একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলেই তো ব্যবস্থা হয়ে যায়। প্রমাণ হয়ে যাবে জনগণের কাছে এবং জনগণও একটি সত্যিকার অর্থে তাদের প্রতিনিধিত্বমূলক একটি সরকার পাবে।” জিয়ার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনে উপস্থিত ছিলেন জাসাসের সভাপতি মামুন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক হেলাল খান, মনিরুজ্জামান মনির, ইথুন বাবু, মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর শিকদার, জাহাঙ্গীর আলম রিপন প্রমুখ। পরে প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়। গত ২৩ নবেম্বর মামুন আহমেদ ও চিত্রনায়ক হেলাল খানের নেতৃত্বে জাসাসের ১৮৪ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয় বিএনপি।
×