ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৯:৩৫, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯

ঢাকার দিনরাত

ঢাকায় হঠাৎ এমন সব ঘটনা ঘটে যার কার্যকারণ অনেক সময়েই খুঁজে পাওয়া যায় না। শনিবার দু’-জায়গায় দুটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। বিকেলে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে একটি বিআরটিসি দোতলা বাসে আগুন লাগে। এদিকে প্রায় একই সময় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সিএ ভবনের সামনের রাস্তায় আরেকটি বাসে আগুন লাগে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। তবে সৌভাগ্যের কথা হলো এতে কোন প্রাণহানি ঘটেনি। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে বাস দুটির অধিকাংশ পুড়ে যায়। ঢাকায় গণপরিবহন নিয়ে যাত্রীদের নানা ভোগান্তি ও অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। এ দফায় বাসে কেউ আগুন দেয়নি, টেকনিক্যাল কারণেই এই অগ্নিকা-। এ ঘটনা আরও একবার মেলে ধরেছে রাজধানীর গণপরিবহনের বিপদ ও দুরবস্থার কথা। বাস মালিকদের সচেতন হওয়া চাই। ট্রাফিক কর্তৃপক্ষেরও আরও সক্রিয়তা জরুরী। শনিবার সন্ধ্যায় শনিবার সন্ধ্যা ঢাকায় আনন্দ-বিনোদনের জন্য বোধকরি মোক্ষম সময়। ঢাকাবাসী এ দিনটিকেই বেছে নেন নানা কারণে। যদিও অনেকেরই সেদিন ছুটি থাকে না। যা হোক নাটক দেখার পরিকল্পনা ছিল বন্ধুকে নিয়ে। সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমিতে যাব। বন্ধু আটকা পড়ল, আমারও যাওয়ার সাধ কমে গেল। তবে কলকাতার নাট্যদলটি সম্পর্কে যদি আগেভাগে নিশ্চিত করে কিছু জানতে পারতাম তবে আগ্রহ হয়ত বাড়ত। এখানে আমাদের গণমাধ্যমের সীমাবদ্ধতা অস্বীকার করার কিছু নেই। শিল্পকলায় নাটকের উৎসব হচ্ছে। দেশের নাট্যদল সম্পর্কে নিয়মিত নাট্য দর্শকদের একটা ধারণা থাকে, কিন্তু প্রতিবেশী দেশের নাট্যদল সম্পর্কে? দোনোমনা করে তো আর নাটক দেখতে যাওয়া যায় না। তাই শাহবাগের দিকেই গেলাম। সেখানেও কাছাকাছি টিএসসি, নাটম-লে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় চলছে আরেকটি নাট্যোৎসব। উত্তর দিক থেকে গেলে শাহবাগে প্রথমে পড়বে জাদুঘর। সেখানে গুণী চিত্রশিল্পী ফরিদা জামানের চিত্র প্রদর্শনী চলছে। প্রায় ফাঁকা হলরুম, কারণ সময় শেষ হয়ে গেছে। ছ’টায় কেন শেষ হবে, এমন প্রশ্ন মাথায় এলো। অফিস শেষে যারা আসবেন তাদেও দেখতে তো সমস্যা হবে! আগামীকাল বুধবারেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা প্রদর্শনীটির। যারা ছবি ভালবাসেন, তাদের অনুরোধ করব দেখে আসতে। নিজস্ব স্টাইল গড়ে তুলতে পারেন না সব শিল্পী। ফরিদা জামানের ছবি দেখলে সচেতন দর্শকরা চিনে যাবেন তিনি স্বতন্ত্র ধারার স্বতন্ত্র ভঙ্গির সৃজনশিল্পী। সেখানে গ্রামীণ প্রকৃতি ও কর্মময় মানুষের ভিন্নতর প্রকাশ ঘটেছে। সব মিলিয়ে মনোহর। শিল্পীকে নিয়ে মার্টিন ব্যাডলির ঢাউশ বইটিও দেখলাম, বেশ কাজে দেবে। পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে কিছুক্ষণ আগেই উদ্বোধন হয়ে গেছে আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবের। প্রথম দিন বলে প্রবেশমূল্য না চুকিয়েই দেখা যাচ্ছে চলচ্চিত্র। তবু খুব একটা ভিড় নেই। এর আগে ১৪টি আসর বসেছে। এবারের চলচ্চিত্র উৎসব শেষ হচ্ছে ১৩ ডিসেম্বর। হাজার ডলার মূল্যমানের দুটি পুরস্কার দেয়া হবে এবার। চলচ্চিত্রশিল্পের সঙ্গে যুক্ত সম্প্রতি প্রয়াত দুই কৃতীজন সাইদুল আনাম টুটুল ও আনোয়ার হোসেন ছাড়াও কয়েকটি দেশের সদ্যপ্রয়াত চলচ্চিত্রকারদের স্মরণে বিশেষ ট্রিবিউট-চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকছে। আকর্ষণীয় আয়োজন সন্দেহ নেই। জাহিদ স্মরণ: শনিবার যাদুঘরে সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অকালপ্রয়াত সমাজসেবী প্রকৌশলী জাহিদকে স্মরণ করা হলো। মোকাররম হোসেনের সম্পাদনায় স্মারকগ্রন্থেও সন্নিবেশিত হয়েছে বহু গুণীজনের লেখা। পরিপূর্ণ মিলনায়তন থেকে অনুমিত হয় প্রয়াতজনের সুহৃদের সংখ্যা বহু। নতুন গানের হর্ষ দুয়েকজন ব্যতিক্রম থাকতেই পারে। ব্যতিক্রম ব্যতিক্রমই। সব মানুষেরই গান শোনা লাগে। এ এক অনিবার্য প্রয়োজন। গান মানুষকে আনন্দ দেয়, তার ভার লাঘব করে। গান শোনার উপকরণের যেমন শেষ নেই, তেমনি মানুষের পছন্দেরও শেষ নেই। কোন গান কার ভাল লাগে, কেন লাগে, আর কোন গান কেন ভাল লাগে নাÑ তা নিয়ে মনোবিজ্ঞানীরাও কি সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারবেন? সে যাক, ক্যাসেট প্লেয়ারে গান শোনার কথা আমাদের অনেকের হয়ত মনে পড়ে যাবে। কিন্তু এ প্রজন্মের কাছ ফিতায় বাঁধা গান এক অবাক কা-ই বটে। এখন মানুষের হাতে একখানা করে জাদুর পি- মোবাইল ফোন, তা দিয়ে দুনিয়ার সব কাজ মেটানো যাচ্ছে। এমনকি টাকা লেনদেনও। গান শোনা বা দেখা তো নস্যি। এক সময় সিডির খুব চল ছিল। ভালবাসার মানুষকে গানের বা কবিতার সিডি দিয়ে প্রীতি প্রকাশ ছিল সাধারণ ঘটনা। এখন কী করে থাকে আজকের যুগের প্রেমিক-প্রেমিকারা? তারা দুর্বোধ্য সঙ্কেতের এক-দেড়খানা লাইন পাঠান, যার নাম ইউটিউব লিঙ্ক। সেটি টিপলেই বেজে ওঠে গান। দেখা যায় সচল ছবি। টিভিতে গানের অনুষ্ঠান দেখতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রতীক্ষা আর কে করে। দেখে নেয় ওয়েব থেকে। আছে হালফিল নেটফ্লিক্স। আজকের শিল্পীরাও তাদের গান ছেড়ে দেয় আকাশে। সেখান থেকে শুধু কুড়িয়ে নেয়ার পালা। নতুন একখানা গান এখন শ্রোতার সামনে পরিবেশিত হয় মূলত দর্শনধারী গুণমানের কথা বিবেচনা করে। এই গানের প্রকাশনা অনুষ্ঠানও হয়। আগে হতো সিডি প্রকাশনা বা লঞ্চিং। এখন ওয়েবে নতুন গানের লঞ্চিং। এমন একটি অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করার সুযোগ হলো। বিষয়টি বেশ আনন্দঘন এবং গানের ভুবনের কীর্তিমানদের সম্মিলনের, এ কথা স্বীকার করি। বলছি নতুন রক স্টার সুদর্শন সাব্বির নাসিরের কথা। সাব্বির নাসিরকে লোকে চেনে সফল সিইও হিসেবে। যে কর্পোরেট হাউসে কাজ করেছেন সেখানেই সোনা ফলিয়েছেন এমআইটি থেকে ডিগ্রিপ্রাপ্ত এ কর্পোরেট। সুফিসাহিত্য চর্চা করেন একনিষ্ঠতায়। কিন্তু গান হলো তার প্যাশন। গত এক বছর তার চমৎকার সাংগীতিক সিজন চলছে। নয় মাসে সাতখানা নতুন গান উপহার দিয়েছেন পর্যায়ক্রমে। সর্বশেষ গান ‘হর্ষ’ প্রকাশ উপলক্ষে ঢাকার অভিজাত একটি রেস্তরাঁর প্রাঙ্গণে সাজানো হয় মঞ্চ। গানের লেখক ও সুরকার দু’জনও কর্পোরেট জগতের মানুষ। তাদের তরুণই বলা যায়, যদিও গানের জগতে অভিজ্ঞ। গীতিকার রাজীব হাসান ও সুরকার মুনতাসীর তুষার। প্রথমবারের মতো গানের ভিডিও নির্মাণ করেছেন খ্যাতিমান পরিচালক অমিতাভ রেজা। আর ভিডিওটিতে মডেল হয়েছেন সাফা কবির ও হান্নান ভাট। সুদর্শন হান্নানকে দেখে বোঝার উপায় নেই তিনি বাঙালী নন, এসেছেন কাশ্মীর থেকে ঢাকায় চিকিৎসা বিজ্ঞানে পড়তে। এই গানে আরও দু’জন দারুণ খ্যাতিমান ব্যক্তি রয়েছেন। এরা হলেন মিউজিক ভিডিওটির চিত্রনাট্যকার চিরকুট ব্যান্ডের শিল্পী শারমিন সুলতানা সুমি এবং পিয়ানিস্ট রোমেল আলী। গানটির প্রযোজক গাংচিল। শিল্পী সাব্বির নাসির বলেন, ‘অমিতাভ রেজা প্রথমবার মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করলেন। তাও আমার গান। এটা অবশ্যই ভাল লাগার একটি বিষয়। আমি যখন গানটি করে অমিতাভ রেজাকে পাঠাই তখন তিনি জানান গানটি তার অসম্ভব ভাল লেগেছে। এর পরই প্রস্তাব দিই গানটির ভিডিও নির্মাণের। পরে ভাল লাগা থেকেই ভিডিও নির্মাণে আসা তার। আশা করছি, দর্শক-শ্রোতারা মুগ্ধ হবেন।’ গানটি ভাল লাগায় একইভাবে চিরকুট ব্যান্ডের সুমিও ভিডিওর চিত্রনাট্য করে দিয়েছেন বলে জানান সাব্বির। শুনলাম গানটি, দেখলামও। এর কবিতাগন্ধী লিরিক, সুরজাল, মোহময় গায়কী, রহস্যমদির পিয়ানোবাদন এবং চকিত নাট্যমুহূর্তÑ সবকিছু মোহিত হওয়ার মতোই। অভিনন্দন সাব্বির। বিবর্তনে নিউমার্কেট এলাকার খাবার এমন শিরোনামে কবি ফাহিমুল ইসলাম ফেসবুকে যা লিখেছেন তার অনেকটাই পাঠকের সঙ্গে শেয়ার করতে ইচ্ছে হচ্ছে। পড়লেই পাঠক বুঝবেন, কেন এ ইচ্ছে। তিনি লিখেছেন, কেন্দ্রীয় ঢাকা শহর ছেড়ে গিয়েছি সেই কবে, ১৯৯৭ সালে! তারপর দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় চাকরি এবং বিদেশে লেখাপড়া শেষ করে ২০০১ এ দেশে ফিরে উত্তরায় আবাস গড়লাম। সেই থেকে অদ্যাবধি ঢাকা শহরের বাইরেই বাস আমাদের। উত্তরায় টাউনশিপ গড়ে উঠলেও কোন কোন কাজে নিউমার্কেট এবং এর আশপাশের এলাকা অপরিহার্য। সে কারণে নিউমার্কেট সংশ্লিষ্ট কাজ জড়ো করে ৬-৭ মাস পর পর নিউমার্কেটে যাওয়ার রেওয়াজ রয়েই গিয়েছে। এ এলাকা ছেড়ে যাওয়ার পরে সুদীর্ঘ সময়ে কালেভদ্রে নিউমার্কেট এলাকায় এলে কিছু কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম এবং নিউমার্কেট আমাদের একটা অতি প্রিয় আড্ডাস্থল ছিল, সে কারণে পরবর্তীতে এই এলাকার সূক্ষ্মতম পরিবর্তনও চোখে ধরা পড়ত। বলাকা সিনেমা হলের পাশে ৩ টাকার শিক কাবাব আর ১ টাকায় ৪টা পুরীর যুগ তো সেই নব্বইয়ের গোড়ার দিকেই শেষ। সেইসঙ্গে নীলক্ষেত মোড়ের লালশালুতে ঢাকা বিশাল ড্যাগে ‘হাফ ১৩, ফুল ২৬’ তেহারিও গত। এখন ওসব নতুন অবকাঠামোর ভবনে আরও পরিশীলিত রেস্টুরেন্টে বেশি দামে বিকোচ্ছে। গাউসিয়া মার্কেট থেকে এলিফ্যান্ট রোডের দিকে (এ্যারোপ্লেন মসজিদের সামনে দিয়ে) কোনাকুনি যেই রাস্তাটা চলে গিয়েছে, তার সংযোগস্থলের কোণায় ক্ষুদ্র শাকের বড়া/পেঁয়াজু ইত্যাদি এই এলাকা ছাড়ার পরেও অনেকদিন খেয়েছি। ফুচকা/চটপটি তো এই এলাকার চিরন্তন খাবার। সঙ্গে বড়ই, চালতা, জলপাই আর আমের আচারও মুখরোচক ছিল। এমন অনেক দিনই গেছে, কারও প্রয়োজনে নিউমার্কেটে এই এলাকার বিখ্যাত ‘লাচ্ছি খাওয়ার শর্তারোপ করে ঘুরতে এসেছি। বেসন দিয়ে ভাজা মুখরোচক কিন্তু অস্বাস্থ্যকর চিংড়ির মাথাও পছন্দের খাবারের তালিকার শুরুর দিকেই থাকত। মাঝে মাঝেই পুরনো সব স্ট্রিট ফুডের সঙ্গে কিছু নতুন স্ট্রিট ফুড যুক্ত হয়েছে। যেমন, পপকর্ন ভাজা, ভুট্টা পোড়া, ভেলপুরি ইত্যাদি। পুরনো খাবারগুলোতে ইনোভেশন এসেছে। যেমন ‘দই-ফুচকা’ পাওয়া যায় বেশ কষ্ফবছর থেকে। আর নিউমার্কেটের মাঝে ফুড কোর্টগুলোতে ফ্রাইড চিকেন, ফ্রাইড রাইস, শর্মাতে তো সয়লাব কবে থেকেই! আজ তেমনই কাজ গুছিয়ে নিউমার্কেটে যাওয়া পড়ল দীর্ঘদিন পরে। আজ নতুন একটা স্ট্রিট ফুড দেখলাম, যা আগে কোন দিন দেখিনি। নিউমার্কেট থেকে প্রিয়াঙ্গন মার্কেট পর্যন্ত হাঁটতে হলো। রীতিমতো শিল্প হিসেবে দেখা গেল এই নতুন খাবারের ইনোভেশনকে। দু’কদম পা যেতে না যেতেই এই ‘কলা ভর্তা’র আসর। কাঁচাকলা সাজিয়ে রাখা, সঙ্গে নানা পদের ফল। সব একসঙ্গে মিশিয়ে বিশালাকার প্রমাণ সাইজের একটা হামান দিস্তায় পিষে ফেলা হচ্ছে। তার সঙ্গে কাসুন্দিসহ নানা তেলের সমন্বয়। কাপ আইসক্রিম বা চটপটির টক দেয়ার মতো ছোট পাত্রে দারুণ পটুতায় ভরে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে বিক্রির উদ্দেশ্যে। ছায়ানটে ভরতনাট্যম ছায়ানটে হয়ে গেল ৩ দিনের ভরতনাট্যম উৎসব। ভরতনাট্যম দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর একটি ধ্রুপদী নৃত্য, যা আধুনিক সময় প্রধানত নারীদের দ্বারা চর্চা করা হয়। এই নাচ সাধারণত শাস্ত্রীয় কর্ণাট সঙ্গীতের সাথে চর্চা করা হয়। ঐতিহ্যগতভাবে ভরতনাট্যম একটি একক নাচ যা কেবলমাত্র নারীদের দ্বারা সঞ্চালন করা হয় এবং হিন্দু ধর্মীয় বিষয় ও আধ্যাত্মিক ধারণা, বিশেষত শৈবধর্ম, বৈষ্ণব এবং শাক্তধর্মও প্রকাশ করে। সোমবার থেকে ধানমণ্ডির ছায়ানট মিলনায়তনে ভরতনাট্যম উৎসবের সূচনা হয়। দেশ-বিদেশে প্রশংসা কুড়ানো তিন নৃত্যশিল্পীর একক পরিবেশনায় সাজানো উৎসবটি আরও বেশি বর্ণিল হয়েছে কর্নাটকী বাদ্যযন্ত্রশিল্পীদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে। এ নৃত্যোৎসবের আয়োজক নৃত্য সংগঠন কল্পতরু। সোমবার শিল্পীদের প্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে উৎসব উদ্বোধন করেন কল্পতরুর অধ্যক্ষ নৃত্যশিল্পী লুবনা মারিয়াম। শুরুতে সূচনা সঙ্গীত পরিবেশন করেন নান্দ কুমার উনিকৃষ্ণ। এরপর উদ্বোধনী দিনের পরিবেশনা উপস্থাপন করেন শুদ্ধা শ্রীময়ী দাস। দেড় ঘণ্টা ব্যাপ্তির পরিবেশনায় ভরতনাট্যমের আশ্রয়ে শিল্পী উপস্থাপন করেন প্রাচীন ভারতীয় নৃত্যকলার অনন্য সাধারণ নৃত্যশৈলী। উঠে আসে কৃষ্ণসহ রাম-সীতার নানা ঘটনাবলী। গত বছর এ্যাসোসিয়েশন অব ভরতনাট্যম আর্টিস্ট অব ইন্ডিয়া-এর আয়োজনে ভারতের চেন্নাইতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘আভায় প্রবাসী উৎসব’। এ নৃত্য উৎসবে বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি ও মালয়েশিয়ার নৃত্যশিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের নৃত্যশিল্পী জুয়েইরিয়াহ মৌলি ওই উৎসবে একক ভরতনাট্যম নৃত্য পরিবেশন করে প্রশংসাধন্য হন। চেন্নাইয়ের ভরতনাট্যম উৎসবে এই প্রথম বাংলাদেশের একজন নৃত্যশিল্পী ৫০ মিনিটের একটি একক পরিবেশনা উপস্থাপন করলেন। সেই মৌলির পরিবেশনা দেখতে গেলাম উৎসবের শেষ দিন। সত্যিই অনবদ্য পরিবেশনা। ৮ ডিসেম্বর ২০১৯ [email protected]
×