ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চাকরিতে বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিতে ১৯ ডিসেম্বর থেকে অবস্থান কর্মসূচী

প্রকাশিত: ১২:০১, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯

চাকরিতে বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিতে ১৯ ডিসেম্বর থেকে অবস্থান কর্মসূচী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিতে আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ। মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন নাসরিন সুমি। আরও ছিলেন সংগঠনের সমন্বয়ক অরুনিমা দে, ইমতিয়াজ হোসেন, সঞ্জয় দাস, এমএ আলী বিজিত শিকদার, ফাতিন ইলাহী, বেলাল হোসেন ফয়সাল আহমেদ, কামরুজ্জামান রিন্টু প্রমুখ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, লাখ লাখ শিক্ষার্থী প্রাণের দাবি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিতে গত আট বছর যাবত আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু তার সুফল পাননি। ২০১২ সালের সরকারী চাকরিতে অবসর বয়সসীমা দুই বছর বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু তার প্রেক্ষিতে সরকারী আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হয়নি। যার ফলে প্রতিবছর সরকারী চাকরিতে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হয়নি। আরও বলা হয়, সাধারণ শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ আট বছর যাবত এই দাবি সরকারের কাছে পেশ করলেও সরকার কেন এখনও আমাদের এই দাবিটি মানছে না তা আমাদের বোধগম্য নয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমান বিশ্বের ১৯৫টি দেশের মধ্যে ১৬২টি বেশি দেশে চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ বা তদুর্ধ। আর অনেক দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা নেই। পরিষদের সমন্বয়ক নাসরিন সুমি বলেন, ২০১২ সালে সরকারী চাকরিতে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা দুই বছর বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারী চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হয়নি। সরকার তখন যুক্তি দিয়েছিল যে, গড় আয়ু বেড়েছে। তাহলে প্রশ্ন, শুধু কি সরকারী চাকরিজীবীদের গড় আয়ু বেড়েছে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের গড় আয়ু বাড়েনি? বর্তমান সরকার তার সর্বশেষ নির্বাচনী ইশতেহারে সরকারী চাকরিতে বয়সসীমা যৌক্তিকভাবে বাড়ানোর অঙ্গীকার করে। কিন্তু প্রায় এক বছর হয়ে গেছে, এই অঙ্গীকারের কোন বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পাইনি। চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ করার প্রত্যাশীরা আরও বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তীব্র সেশনজট রয়েছে। গুটিকয়েক কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট কমেছে। কিন্তু বেশিরভাগ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজট বিদ্যমান। সরকারী চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর হওয়ার কারণে বর্তমানে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারছেন না। বরং তারা শুধু চাকরি নামক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য পড়াশোনায় মন দিচ্ছেন। ফলে উচ্চশিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন ব্যাহত হচ্ছে। যদি বয়সসীমা বাড়ানো হতো, তাহলে একাডেমিক শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা মনোযোগ দিতে পারতেন।
×