ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রোগীদের ক্ষতিপূরণ কারখানার মালিকদের দিতে বাধ্য করা হবে ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০২:২৮, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯

রোগীদের ক্ষতিপূরণ কারখানার মালিকদের দিতে বাধ্য করা হবে ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক ॥ কেরানীগঞ্জ উপজেলার চুনকুটিয়া এলাকায় অবস্থিত ‘প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’র কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ঘটনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে ৩২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ১০ জনের শরীরের প্রায় ১০০ শতাংশ পুড়ে গেছে। ২০ থেকে ২২ জনের ৫০ শতাংশ পুড়েছে। এ পর্যন্ত ঢামেক হাসপাতালে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে এসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক, নার্স এবং ওষুধের কোনো কমতি নেই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাদের চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসার সব খরচ সরকার বহন করবে। এছাড়া ৩৫ জনের মধ্যে কয়েকজনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও কয়েকজনকে সেখানে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। রাস্তা প্রশস্ত না হওয়ায় তাদের ঘটনাস্থলে পৌঁছতে সময় লেগেছে। এ কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষতির পরিমাণটা বেড়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোগীদের ক্ষতিপূরণ কারখানার মালিকদের দিতে বাধ্য করা হবে। ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন শ্রমিকে সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হঠাৎ করে বিকট শব্দে আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন- ইমরান, বাবুল, রায়হান, খালেক, সালাউদ্দিন, সুজন, জিনারুল ইসলাম, আলম, জাকির হোসেন, ফয়সাল ও জাহাঙ্গীর। জানা গেছে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে অধিকাংশেরই ৯০ শতাংশ বার্ন রয়েছে। ‘প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’র কারখানার গত দুই বছরে তিনবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যার দুটোই ঘটেছে চলতি বছরে। প্রতিটি অগ্নিকাণ্ড ছিল ভয়াবহ। ২০১৬ সালের ২৮ নবেম্বর কারখানাটিতে প্রথম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপর চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল দ্বিতীয়বারের মতো আগুন লাগে। তবে ওই দু’টি অগ্নিকাণ্ডে কারখানার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সর্বশেষ বুধবার তৃতীয়বারের মতো আগুন লাগে কারখানাটিতে।
×