ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জরুরী চাহিদা মেটাতে ২০ লাখ এমআরপি কেনা হচ্ছে

প্রকাশিত: ১১:০২, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯

জরুরী চাহিদা মেটাতে ২০ লাখ এমআরপি কেনা হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ জরুরী চাহিদা মেটাতে ৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০ লাখ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) কেনার একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ই-পাসপোর্ট চালু না হওয়ায় এমআরপি কেনা হচ্ছে। এসব পাসপোর্ট সরবরাহ করবে ‘আইডি গ্লোবাল সলিউশন লিমিটেড (সাবেক ডি লা রু ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড)। এছাড়া এক হাজার ৮১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নারায়ণগঞ্জে জাপানী অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভূমি উন্নয়ন কাজসহ অবকাঠামোগত কাজ বাস্তবায়ন করবে জাপানী নির্মাণ কোম্পানি টোয়া কর্পোরেশন। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারী ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। ওই সময় বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে অর্থমন্ত্রী জানান, এখন যে পরিমাণ পাসপোর্টের চাহিদা সেটা আমরা পূরণ করতে পারছি না। সারা বিশ্বে আমাদের যে এ্যাম্বাসি রয়েছে তাদের একটাই দাবি তারা সময়মতো পাসপোর্ট পাচ্ছে না বা কম পাচ্ছে। আমরা যেভাবে হিসাব করেছিলাম, পাসপোর্ট যারা তৈরি করে সেভাবে দিতে পারেনি। তিনি বলেন, আমরা দ্রুত চাহিদা মেটাতে পুরনো প্রতিষ্ঠান আইডি গ্লোবাল সলিউশন লিমিটেডের নিকট থেকে ২০ লাখ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) কিনছি। এতে খরচ হবে ৫৩ কোটি ৪ লাখ ৫৫ হাজার ২৫৭ টাকা। তবে আমাদের আরও পাসপোর্ট প্রয়োজন। কিন্তু দ্রুত চাহিদা মেটাতে আপাতত ২০ লাখ কেনা হচ্ছে। পাশাপাশি আমরা ই-পাসপোর্টে যাওয়ার চেষ্টায় রয়েছি। কবে থেকে ই-পাসপোর্ট চালু হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ই-পাসপোর্ট সেবার কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈঠকে জানিয়েছে ই-পাসপোর্ট চালু হতে আরও দুই থেকে তিন মাস সময় লাগবে। প্রথম দিকে দিনে ৫০০ ই-পাসপোর্ট দেয়া হতে পারে এটি বাড়িয়ে ২ হাজার করে দেবে বলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি জানিয়েছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানী বিনিয়োগকারীদের জন্য এক হাজার একর জমিতে গড়ে উঠছে জাপানী অর্থনৈতিক অঞ্চল। এক হাজার ৮১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভূমি উন্নয়ন কাজসহ অন্য অবকাঠামোগত কাজ বাস্তবায়ন করবে জাপানী নির্মাণ কোম্পানি টোয়া কর্পোরেশন। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, জাপানী অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প শীর্ষক প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আমরা সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। এগুলো হয়ে গেলে যত্রতত্র শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে না। পরিকল্পনাবিহীনভাবে রাস্তাঘাট ও হাটবাজার তৈরি হচ্ছে, এগুলো বন্ধ হবে। কোন জায়গায় কি করলে ঠিক হবে সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারব। তিনি বলেন, জাপানী বিনিয়োগকারীদের জন্য নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক হাজার ১০ একর জমিতে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করছি। এর সব কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আমরা এখন ভূমি উন্নয়নে কাজ করব। ভূমি উন্নয়ন কাজসহ অন্য অবকাঠামোগত কাজ করবে জাপানের নির্মাণ কোম্পানি টোয়া কর্পোরেশন। শিল্প-কারখানা গ্রামে-গঞ্জে হবে এবং সেখানকার লোক সেখানেই চাকরি করবে। তাদের চাকরির জন্য শহরে আসতে হবে না।
×