ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ১১:০৭, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯

উবাচ

তুলে নেয় নিক স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের সিনিয়র আইনজীবী ড. কামাল হোসেন নির্বাচনের ঠিক আগে আগে বিএনপিকে নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু সেই যাত্রা সুপার ফ্লপ হয়েছে। নির্বাচনে কি হয় না হয় এজন্য তিনি নির্বাচনেও অংশ নেননি। বিএনপিও নির্বাচনের আগে ড. কামালের এই ভূমিকায় হতবাক হয়েছিল। কিন্তু যাই হোক এখনও ড. কামাল হোসেন বিএনপির সঙ্গেই রয়েছেন। খালেদা জিয়ার জামিন চাইছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘ঘনিষ্ঠসহচর’। বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীনদের ইঙ্গিত করে গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা কামাল হোসেন বলেছেন, যারা মৌলিক অধিকার থেকে জনগণকে বঞ্চিত করছে, তারা ‘ডাকাত’। তিনি বলেন ‘হ্যাঁ আমি ডাকাত বলেছি। কী আছে? কেউ যদি মনে করে আমাকে তুলে নিতে পারে, করুক। তিনি যা বলুন আর যাই করুক না কেন, তার প্রতিপক্ষ কখনও তার প্রতি অন্যায় আচরণ করবে না সেই বিষয়ে তিনি নিশ্চিত। এর আগে দেখা গেছে সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসার আহ্বান জানালে তিনি নৈশভোজ করবেন কি না, করলে কি খাবেন তাও জেনে নিতে ভুল করেনি বিরোধী পক্ষ। আচ্ছা ডাকাতরা কি কারও সঙ্গে আলোচনায় বসে? নাকি বসলে জানতে চায় আপনি কি খাবেন? জনমনের রিপোর্ট স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি আশা করেছিল দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আদালত জামিন দিয়ে দেবেন। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরেই তারা প্রকৃত অবস্থা বুঝতে পেরে বলেছিল মেডিক্যাল রিপোর্ট পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এ বিষয়ে হাসপাতাল বা আদালত কারও উপর তাদের কোন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা নেই। কিন্তু মেডিক্যাল রিপোর্ট বাদ দিয়ে এখন সুর বদলেছে দলটি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আদালতের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জনগণের মনের রিপোর্ট বোঝার চেষ্টা করুণ, জনগণ প্রস্তুত হয়ে বসে আছে। বিএনপি কতটা প্রস্তুত তা বোঝাতে মামলার শুনানির আগে রাস্তায় গাড়ি পোড়ানো থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আদালতের উপর আস্থা না রেখে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে কি দলীয় প্রধানের মুক্তি আদৌ সম্ভব! বিএনপির আইনজীবীদের অবস্থা দেখে খোদ আদালত বলেছে এই পরিস্থিতি নজিরবিহীন। এ সবই কি মানুষের মনের রিপোর্ট! চকলেট নয়, বিষ! স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাধারণত খুশির খবরেই মিষ্টি মুখ হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে অবশ্য মানুষের বিদায় জানানোর শেষ অনুষ্ঠানে স্মরণ সভায়ও মিষ্টিমুখ করা হয়। কিন্তু বিএনপির আইনজীবীরা কি বুঝে চকলেট মুখে নিয়ে আদালতের শুনানিতে গেলেন কে জানে তা। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিএনপির আইনজীবীদের চকলেট না খেয়ে বিষ খাওয়া উচিত। নাসিম বলেন, জামিনের জন্য কোর্টকে জিম্মি করে বিএনপি। এই কাজ আমরা কোনদিন করিনি। আমরা আইনী লড়াই করে মুক্ত হয়েছি। চকলেট মুখে দিয়ে আইনজীবীরা সুপ্রীমকোর্টে বসে আছে। কেউ কোনদিন বলতে পারবে যে জোর করে জামিন নেয়া যায়? তিনি বলেন, ‘আজকে বিএনপি মনে করেছে কোর্টের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করে, সুপ্রীমকোর্টে অবস্থান ধর্মঘট করে, চকলেট মুখে দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে। আইনজীবীরা চকলেট মুখে দিয়ে তাকে মুক্ত করবে। তারা আন্দোলন করতে পারেনি। ব্যর্থতার জন্য ওদের বিষ খাওয়া উচিত, চকলেট না। বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করা উচিত।
×