যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে বিক্ষোভ দেখিয়েছে কয়েক শ’ মানুষ। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে এ বিক্ষোভ হয়। প্রতিবাদকারীরা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে থেকে মিছিল নিয়ে ট্রাফালগার স্কয়ার ও থিয়েটার ডিস্ট্রিক্টের সড়কে যান। রয়টার্স।
বিক্ষোভকারীরা এ সময় ‘বরিস জনসন: নট মাই প্রাইম মিনিস্টার’ এবং ‘বরিস, বরিস, বরিস: আউট, আউট, আউট’ স্লোগানে আশপাশ প্রকম্পিত করে তোলেন। তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে ‘টোরি শাসন প্রত্যাখ্যান করুন’, ‘অভিবাসীরা স্বাগত’ লেখা ছিল বলে বিভিন্ন ছবিতে দেখা গেছে। বিক্ষোভের কারণে ওই সময়ে লন্ডনের বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিবাদকারীদের চারপাশে ব্যাপক পরিমাণ পুলিশের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে। রাজধানীর রাস্তায় বিক্ষোভ হলেও আগেরদিনের নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টি তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভাল ফল করেছে, পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় জানুয়ারির মধ্যে জনসনের ব্রেক্সিট কার্যকরেরও সম্ভাবনা প্রকট হয়েছে। শুক্রবার বিজয়ী ভাষণে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, আর কোন যদি, কিন্তু, হয়তো নেই, ৩১ জানুয়ারির মধ্যেই যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিচ্ছেদে জনগণ চূড়ান্ত রায় দিয়েছে।
লিব ডেম নেতৃত্বেও পরিবর্তন
ব্রিটেনের নির্বাচনে চমকের পর চমক দেখা দিয়েছে। কনজারভেটিভ পার্টির বিশাল জয়, লেবারের বিপর্যয়কারী হার যেন যথেষ্ট নয়। নিজের কাঁধে পরাজয়ের ভার নিয়ে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন লেবার প্রধান জেরেমি করবিন। অন্যদিকে, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা প্রত্যাশার বাইরে গিয়ে হারিয়েছে অনেক আসন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দলটির সাবেক প্রধান জো সুইনসনের আসন ইস্ট ডানবার্টনশায়ার। নিজ আসনে হেরেছেন তিনি। হারার পরপরই দলপ্রধান হিসেবে পদত্যাগ করেছেন। তার জায়গায় যৌথভাবে দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করেছেন উপনেতা স্যার এড ড্যাভি ও প্রেসিডেন্ট ব্যারোনেস স্যাল ব্রিন্টন। ড্যাভি ও ব্রিন্টন জানিয়েছেন, নতুন বছরে দলের নেতৃত্ব নিয়ে নির্বাচন হবে। অন্যদিকে, সুইনসন নিজের পরাজয় নিয়ে বলেন, আজকের পরাজয় নিশ্চিতভাবেই ব্যাপক হতাশার। -বিবিসি
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: