ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে মন্দির ভাংচুর ॥ গ্রেফতার-৬

প্রকাশিত: ১২:৩৯, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯

কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে মন্দির ভাংচুর ॥ গ্রেফতার-৬

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষ, মন্দিরে অগ্নিসংযোগ ও প্রতিমা ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারী সন্দেহে ৬ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আটককৃতরা হলেন, ওই এলাকার মোস্তফা, ইসমাইল, মুকুল, সোবাহান, রশিদ ও শামছুল। শনিবার দুপুরের দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ মাছুমা আরেফিন ও কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেনহাজুল আলম। এ ঘটনায় হরিকান্ত রায়ের বড়ভাই সুশীল চন্দ্র রায় বাদী হয়ে ২৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে গ্রেফতারকৃতরা অগ্নিকান্ড ও প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা সাজানো বলে দাবি করেন। জানা যায়, উপজেলা সদরের কবিরমামুদ গ্রামের মৃত হরেন্দ্রনাথ রায়ের ছেলে স্কুল শিক্ষক হরিকান্ত রায়ের সঙ্গে একই গ্রামের মৃত হানিফ উদ্দিনের ছেলে দুলাল হোসেন গংয়ের ৫২ শতক জমির মালিকানা নিয়ে ১৯৯৪ সাল থেকে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে দু’পক্ষে প্রায়ই হামলার ঘটনা ঘটে। গত দু’দিন আগেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল বলে জানা যায়। এরই জের ধরে শনিবার দুপুরের দিকে দুলাল গং ও হরিকান্ত রায়ের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয়পক্ষ লাঠিসোটা দিয়ে পরস্পরের ওপর হামলায় লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ চলাকালীন কে বা কারা মন্দিরের প্রতিমা মাটিতে ফেলে দেয়। এতে মাথার একটু অংশ ভেঙ্গে যায়। এছাড়াও মন্দিরের দরজার সামনে খড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে কোন ক্ষতি না হলেও বিষয়টি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানান অভিযোগ উঠে আসে। স্কুল শিক্ষক হরিকান্ত রায় জানান, আমাকে মেরে ফেলার জন্য ২০/২৫ জনের একটি দল আমার বাড়িতে হামলা করে। কিন্তু বাড়িতে প্রবেশ করতে না পেরে মন্দিরে আগুন দেয়, প্রতিমা ভাংচুর করে। আমি এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই। অপরদিকে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মোস্তফা ও মুকুল জানান, হিন্দুবাড়িতে হামলা বা মন্দিরে আগুন দেয়ার বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। ঘটনাটি সাজানো। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে নিজেরাই এ নাটক মঞ্চস্থ করেছে।
×