ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দেশে বর্তমানে ভিক্ষুকের সংখ্যা আড়াই লাখ, পুনর্বাসনে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ : সংসদে সমাজকল্যাণমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৭:১১, ১৩ জানুয়ারি ২০২০

দেশে বর্তমানে ভিক্ষুকের সংখ্যা আড়াই লাখ, পুনর্বাসনে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ  : সংসদে সমাজকল্যাণমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ সরকারের বিভিন্ন শাখার তথ্য অনুযায়ি দেশে আড়াই লাখ ভিক্ষুক রয়েছে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। এই ভিক্ষুকেদের পুনর্বাসনে চলতি অর্থ বছরে ৪ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ রয়েছে বলেও তিনি জানান। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশন টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা নির্ধারণের জন্য সমন্বিতভাবে কোনা জরিপ পরিচালিত হয়। তবে বিভিন্ন জেলায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জরিপ পরিচালিত হচ্ছে। দেশের সকল জেলায় জেলা প্রশাসক ও উপ-পরিচালক জেলা সমাজসেবা কার্যালয় হতে ভিক্ষুক পুনর্বাসনের জন্য প্রাপ্ত চাহিদাপত্রে মোট আড়াই লাখ ভিক্ষুক রয়েছে বলে জানা যায়। এ ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের জন্য মোট ৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়। তিনি জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচিতে প্রাপ্ত ৩ কোটি টাকা জেলা সমুহে পাঠানো হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এ তথ্য অনুসারে দেশের দশমিক ১৭ ভাগ মানুষ ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। ভিক্ষুক পুনর্বাসনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে জেলাসমুহে জেলা প্রশাসকদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। সরকারি দলের এ কে এম রহমতুল্লাহ’র প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী জানান, সরকারি শিশু পরিবারে পিতৃহীন অথবা পিতৃ-মাতৃহীন শিশুদের পারিবারিক পরিবেশে স্নেহ-ভালবাসা ও যত্নের সঙ্গে ছয় বছর থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত লালন-পালন করা হয়। ১৮ বছর উত্তীর্ণদের বিবাহ, চাকুরি, সামাজিক, প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষার মাধ্যমে পুনর্বাসন কর হয়। সংসদ সদস্য মমতা হেনা লাভলীর প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধকল্পে এবং শিক্ষার্থীদের আরো বেশি বিদ্যালয়মুখী করে গড়ে তুলতে সরকার থেকে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ক্যাচমেন্ট এলাকার শতভাগ শিশু বিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে, শতভাগ বিদ্যালয়ে মিডডে মিল চালু হয়েছে। উল্লেখযোগ্য হারে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য শারিরীক ও মানসিক শাস্তি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
×