ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা

সাজাপ্রাপ্ত আসামির ছবি দিয়ে বিএনপির ভোট চাওয়া অবৈধ

প্রকাশিত: ১৩:৫০, ১৫ জানুয়ারি ২০২০

সাজাপ্রাপ্ত আসামির ছবি দিয়ে বিএনপির ভোট চাওয়া অবৈধ

সংসদ রিপোর্টার ॥ রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারী দলের সংসদ সদস্যরা বলেছেন, বিএনপির মুখে গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ ‘ভুতের মুখে রাম নাম’ ছাড়া আর কিছুই নয়। আদালত কর্তৃক দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামির (খালেদা জিয়া) ছবি দিয়ে পোস্টার করে, তা নিয়ে বিএনপির নির্বাচনী প্রচারে নামা নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লংঘন এবং অবৈধ। এ ব্যাপারে দ্রুতই নির্বাচন কমিশনের উচিত ব্যবস্থা নেয়া। প্রথমে স্পীকার ও পরে ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার রাতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনার প্রথম দিনে অংশ নিয়ে তাঁরা এসব কথা বলেন। এর আগে জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন ধন্যবাদ প্রস্তাবটি সংসদে উত্থাপন করেন। আলোচনায় অংশ নেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক চীফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, সরকারী দলের হাবিবে মিল্লাত, এ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন, বেগম জাকিয়া তাবাসুম, বেগম শামসুন্নাহার প্রমুখ। আলোচনায় অংশ নিয়ে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে যখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি নির্বাচন করবে আর সেই নির্বাচনে যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি- সেই নির্বাচন কখনও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হতে পারে না। আজ নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে, আলোচনা হচ্ছে। বিএনপির পক্ষ থেকে নানা ইস্যু তুলে ধরা হচ্ছে। তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় আদালতের রায়ে সাজা ভোগ করছেন। অথচ রাজধানীতে দেখলাম তার ছবি দিয়ে পোস্টার করে মুক্তি চাওয়া হয়েছে। আবার সিটি নির্বাচনে ভোট চাওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামির ছবি দিয়ে পোস্টারিং করে ভোট চাওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের গুরুত্ব দেয়া উচিত। এটা সরাসরি নির্বাচনী আচরণ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। দ-প্রাপ্ত অপরাধীর ছবি পোস্টারে দিয়ে নির্বাচন করার অধিকার কারও নেই। তিনি বলেন, নৌ-পরিবহনের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কাজ করতে গিয়ে আমি অভিভূত হয়ে গেছি। বিএনপির আমলে সারাদেশে নদী খননের জন্য ড্রেজার ছিল মাত্র সাতটি। আর এই মুহূর্তে আমি যখন কথা বলছি, তখন আমাদের ড্রেজারের সংখ্যা শতাধিক। এটাই আওয়ামী লীগ, এটাই শেখ হাসিনার সরকার। দেশ আজ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। কোন ষড়যন্ত্রই তা রুখতে পারবে না। উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ বলেন, বিএনপি এবং তাদের জোটের নেতারা কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বলে, সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে। এটা ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া আর কিছুই নয়। গণতন্ত্র ও নির্বাচনের কথা বিএনপির মুখে শোভা পায় না। যারা নির্বাচনকে প- করে, ১৫ ফেব্রুয়ারি, মিরপুর-মাগুরার উপ-নির্বাচন করেছে, তারা কোন মুখে কথা বলে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রতিষ্ঠান। কেউ যদি বলে ইভিএমকে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেন, তাহলে বুঝতে হবে তারা ইভিএম কী সেটাই জানে না। সরকারী দলের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর বলেন, বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। তাদের আমলে ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনের একতরফা নির্বাচন, মাগুরার ভোট ডাকাতির নির্বাচন দেশের জনগণ কোনদিন ভুলে যাবে না। এখন তারা কোন মুখে নির্বাচন নিয়ে কথা বলে? আসলে সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে বিএনপি সবকিছুতেই মিথ্যাচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে।
×