নিজস্ব সংবাদদাতা, নড়াইল ॥ নড়াইলের লোহাগড়ার কাউড়ীখোলা-কামঠানা এলাকায় এক নারীকে (৩৭) ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙে মারাত্মক জখম করেছে কয়েকজন। রক্তাত অবস্থায় পথচারীরা ওই নারীকে উদ্ধার করে লোহাগড়া হাসাপতালে ভর্তি করেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা। আজ শুক্রবার সকালে ওই নারীকে খুলনা মেডিক্যাল কলেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার এ ঘটনা ঘটে।
ওই নারীকে উদ্ধারকারী পথচারীরা জানায়, কাউড়ীখোলা-কামঠানা এলাকায় রাত ৮টার দিকে রাস্তার পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই নারীকে দেখতে পেয়ে তারা লোহাগড়া হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে কর্তব্যরত ডাক্তার পুলিশে খবর দিলে পুলিশ হাসপাতালে এসে ওই নারীর চিকিৎসাসহ যাবতীয় খোঁজ নেয়।
কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে ওই নারী জানান, কাউড়ীখোলা-কামঠানা এলাকায় আমাকে কয়েকজন লম্পট জোর করে ধরে বাগানে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা করে। আমি রাজি না হওয়ায় লম্পটরা আমাকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে।
স্থানীয় নয়ন ব্রিক্সরের ম্যানেজার আরিফ সরদার জানান, ওই নারীর বাড়ি খুলনার পাইকগাছা থানার সরল গ্রামে। তার স্বামী আমার সাথে গত বছর ইটভাটায় কাজ করেছিল।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার রিপন ঘোষ বলেন, ওই নারীর মাথা অনেকখানি কেটে গেছে। ৮/১০টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। একটি হাতও ভেঙে গেছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক। আজ শুক্রবার সকালে ওই নারীকে খুলনা মেডিক্যাল কলেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
লোহাগড়া থানার ওসি (তদন্ত) আমানুল্লাহ আল-বারী জানান, ওই নারীসহ উদ্ধারকারীদের সাথে কথা বলেছি। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
