স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চাঞ্চল্যকর চট্টগ্রাম গণহত্যা মামলায় ৪ আসামির জামিন বাতিল করেছে আদালত। এ চারজনই পুলিশ সদস্য। রবিবার রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানির দিনে ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় স্পেশাল জজ মোঃ ইসমাইল হোসেনের আদালতের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। জানা যায়, যে চার আসামির জামিন বাতিল হয়েছে তারা হলেন মোস্তাফিজুর রহমান, প্রদীপ বড়ুয়া, শাহ মোঃ আবদুল্লাহ ও মমতাজ উদ্দিন। ৩২ বছর আগে চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে যখন তৎকালীন ৮ দলীয় জোটনেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে তখন তারা পুলিশ সদস্য হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। রবিবার আদালতে উপস্থিত এ চার পুলিশ সদস্য জামিন প্রার্থনা করেন। কিন্তু সে আবেদন নামঞ্জুর হয়। আজ সোমবার আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি হবে আদালতে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের পিপি মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার আদালতে সর্বশেষ সাক্ষী দেন এ্যাডভোকেট শম্ভুনাথ নন্দী। মামলাটিতে সাবেক মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষকসহ মোট ৫৩ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। রবিবার শুরু হয় মামলাটির যুক্তিতর্ক শুনানি। এরপর আদালত রায় ঘোষণার দিন ধার্য করবেন।
প্রসঙ্গত, ৩২ বছর আগে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি লালদীঘি মাঠে সমাবেশের আয়োজন করে তৎকালীন ৮ দলীয় জোট। স্বৈরাচারী এরশাদবিরোধী আন্দোলন তখন তুঙ্গে। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের সামনে দিয়ে সমাবেশে যাওয়ার পথে আক্রান্ত হয় শেখ হাসিনার গাড়িবহর। পুলিশ গাড়িবহর লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। তখন লালদীঘি এলাকায় বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। চলতে থাকে হুড়োহুড়ি। নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনা ও নেতৃবৃন্দকে রক্ষার চেষ্টা করেন। এলোপাতাড়ি গুলিতে মারা যান সমাবেশে যোগ দিতে আসা ২৪ নেতাকর্মী। কিন্তু ওই সময়ে এ ঘটনায় মামলা করা যায়নি। ১৯৯২ সালের ৫ মার্চ এ বিষয়ে মামলা দায়ের করেন আইনজীবী মোঃ শহীদুল হুদা। কিন্তু সে মামলাটি গতি পায়নি। সেদিনের গুলিবর্ষণে যারা নিহত হন তারা হলেন মোঃ হাসান মুরাদ, মহিউদ্দিন শামীম, স্বপন কুমার বিশ্বাস, এলবার্ট গোমেজ কিশোর, স্বপন চৌধুরী, অজিত সরকার, রমেশ বৈদ্য, বদরুল আলম, ডিকে চৌধুরী, সাজ্জাদ হোসেন, আবদুল মান্নান, সবুজ হোসেন প্রমুখ।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: