ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারের যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো নামেমাত্র ॥ সিপিডি

প্রকাশিত: ০৮:১২, ২১ জানুয়ারি ২০২০

সরকারের যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো নামেমাত্র ॥ সিপিডি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কর্মসংস্থানের জন্য যুবসমাজকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে দেশের গ্রামাঞ্চলে স্থাপিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে কার্যকর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই বলে এক জরিপে তুলে ধরা হয়েছে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি ও এশিয়া ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত ‘প্রান্তিক যুবসমাজের কর্মসংস্থানে সরকারি পরিষেবার ভূমিকা’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে সাংবাদিকদের সামনে এ তথ্য তুলে ধরেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। জাতীয় যুব নীতিতে বর্ণিত ১৬টি ক্যাটেগরির প্রান্তিক গোষ্ঠীর মধ্যে চার ধরনের মানুষের উপর জরিপটি চালানো হয়। এক্ষেত্রে ঠাকুরগাঁওয়ে সমতলের আদিবাসী, শহরের বস্তিবাসী, মাদ্রাসাপড়ুয়া শিক্ষার্থী ও সিলেটে অবস্থানরত শহুরে যুবগোষ্ঠীর ৩৩৩ জনকে বেছে নেওয়া হয়। মোয়াজ্জেম বলেন, গবেষণায় অংশ নেওয়াদের ৬০ শতাংশ মনে করেন, গ্রামীণ প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলো কেবল নামে মাত্র দাঁড়িয়ে আছে। সেখানে ঠিক মতো প্রশিক্ষণের ক্লাস হয় না, ভালো প্রশিক্ষক নেই। বস্তিবাসী ও আদিবাসীদের মধ্যে শতভাগ যুবগোষ্ঠী এবং মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮ শতাংশের কোনো বসতভিটা না থাকার তথ্য তুলে ধরে সিপিডির এই গবেষক বলেন, বাসস্থান ও জীবিকার ব্যবস্থা উভয়ই তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। তারা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে (বস্তি) অস্থায়ীভাবে বসবাস করছে। শিক্ষায় সরকার অনেক সাফল্য অর্জন করলেও প্রান্তিক যুবকেরা এর সুফল পুরোপুরি পায়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, সমতলের আদিবাসী ও সিলেট অঞ্চলের শহুরে যুবগোষ্ঠীর প্রায় ৫০ শতাংশ মনে করেন তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয় মানের প্রতিষ্ঠানগুলো চেয়ে অর্ধেক নিম্নমানের। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা মনে করেন, তাদের বিজ্ঞান, গাণিত বিষয়ের শিক্ষকের অভাব। এছাড়া স্কুলের বেতন ছাড়াও পড়ালেখাকেন্দ্রিক অন্যান্য খরচ বহন করতে না পারার কারণে অনেকে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হন। মোয়াজ্জেম বলেন, জাতীয় যুবনীতিতে আয়, লিঙ্গ, ভৌগলিক অবস্থান, জীবনচক্র, নাগরিক পরিচয়, শারীরিক অক্ষমতা, শিক্ষা ও দক্ষতা, স্বাস্থ্য, কর্ম, ধর্ম, সম্প্রদায়সহ মোট ১৬টি সূচক বিবেচনায় নিয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে গবেষণায় কেবল ধর্ম ও সম্প্রদায়, দুর্যোগ, শিক্ষা ও দক্ষতা ও ভৌগলিক কারণে প্রান্তিক যুব জনগোষ্ঠীকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকার চ্যালেঞ্জ, শিক্ষাগ্রহণ সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ, প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ এবং কর্মসংস্থান সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ এবং এসবের বিপরীতে সরকারি পরিষেবার অবস্থান দেখা হয়েছে গবেষণায়।
×