ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.২ ডিগ্রি

প্রকাশিত: ০০:১৯, ২২ জানুয়ারি ২০২০

কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.২ ডিগ্রি

অনলাইন ডেস্ক ॥ ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন। আজ বুধবার সকাল ৯টায় কুড়িগ্রামের রাজারহাটে সর্বনিম্ন ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, বুধবার কুড়িগ্রাম এবং পার্শ্ববর্তী জেলা লালমনিরহাটে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে। চলমান শৈত্যপ্রবাহ আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলতে পারে। এদিকে ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে কুড়িগ্রামে। মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বইছে জেলার ওপর দিয়ে। এতে ঠান্ডায় চরম বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষসহ পশুপাখি। ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় বিশেষ কাজ ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না অনেকেই। শীতের কারণে কুড়িগ্রামের নদ-নদী তীরবর্তী, চরাঞ্চলসহ প্রান্তিক মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। ঘন কুয়াশার রেশ থাকছে দুপুর পর্যন্ত। শেষ রাত থেকে ঝড়ছে বৃষ্টির মতো শিশির। তীব্র শীতের কারণে পিছিয়ে গেছে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমের চাষাবাদ। কৃষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন ঘন কুয়াশা এবং শৈত্যপ্রবাহের কারণে বীজতলার চারা ঠিকমতো না হওয়ায় বোরো আবাদে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। শীত কমলেই আবাদ শুরু হবে। অন্যদিকে, মেহেরপুরে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। আজ সকাল ৯টায় মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস। এ অঞ্চলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ ও দিনমজুরদের কষ্টের শেষ নেই। ভোরে তীব্র শীতে কাজে বের হতে পারছেন না অনেকেই। এতে তাদের আয়-রোজগার কমে গেছে। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা। মেহেরপুর জেলার ওপর দিয়ে এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মধ্যরাতে ঘন কুয়াশা পড়ছে, সঙ্গে বইছে উত্তরের হিমেল হাওয়া। এতে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ছুটছেন পুরাতন শীতের পোশাকের দোকানে।
×