ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যুগে যুগে সুচিত্রা...

প্রকাশিত: ০৭:২৮, ২৩ জানুয়ারি ২০২০

  যুগে যুগে সুচিত্রা...

সুচিত্রা সেন, নামটি শুনলে অসংখ্য বাঙালী হৃদয়ে এক বিস্ময় বোধ জাগে। যার ভুবন ভোলন হাসি, রাজকীয় সৌন্দার্য এবং হৃদয় উত্তাল করা অভিনয় বোধ করি বাঙালী সহজে ভুলবে না। এই মহিনী গত হয়েছেন ছয় বছর। বেঁচেছিলেন ৮৩ বছর। যদিও ১৯৭৮ সালের পর আর তাকে লোকসমাজে দেখা যায়নি। এক রকম নিভৃতে থেকে পৃথিবী ছেড়ে গেছেন, তারপরও সময়ে সময়ে তিনি ছিলেন বহুমাত্রার আলোচনা বিষয় হয়ে। হবেন-ই বা কেন? তার সঙ্গে যে আমাদের হাজারও রং-বেরঙ্গের অনুভূতির সম্পর্ক জড়িত। তার নাম শোনেনি বা তাকে স্বনামে চেনে না- এমন মানুষ মনে হয় বর্তমান সময়ের দুই বঙ্গের কোথাও নেই। সুচিত্রা সেন জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। তার শৈশব-কৈশর কেটেছে এদেশেই। যে কারণে, তাকে ঘিরে ভালবাসা বহির্প্রকাশে কখনও কার্পণ্য করেনি তার জন্মস্থানের মানুষ। গত ১৭ জানুয়ারি ছিল উপমহাদেশের বিখ্যাত এই অভিনয় শিল্পীর ষষ্ঠতম মৃত্যুবার্ষিকী। শ্রোদ্ধাভরে প্রিয় নায়িকাকে স্মরণ করেছেন বহুজন। বিশেষ করে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে চলেছে অপরিমেয় স্মৃতিমন্থন। কেউ কেউ আবার তার জন্মস্থান পাবনায় গিয়ে ছবি তুলে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাকে নিয়ে কেন এত উন্মাদনা! কারণ আছে, একজন সাধারণ রমণী হয়েও যখন রমা দাশগুপ্ত সিনেজগতে আত্মপ্রকাশ তখন তার জন্মস্থান এবং আবাসস্থলের মানুষের জীবনে চলছিল এক রকম দুঃসহ যন্ত্রণা। মনুষ্য জীবনের এই বহুমুখী যাতনা ভোলাতে সুচিত্রা সেনের মোহনীয় হাসি এবং জাদুকরী অভিনয় টনিকের মতো কাজ করেছে। বিশেষ করে, তার ছায়া সঙ্গী উত্তম কুমারের সঙ্গে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ‘মরণের পরে’, ‘অগ্নিপরীক্ষা’, ‘শাপমোচন’, ‘সাগরিকা’, ‘শিল্পী’, ‘হারনোসুর’, পথে হলো দেরি’, ‘সপ্তপদি’, ‘বিপাশা’, ‘গৃহদাহের মতো সিনেমা যুগে যুগে যেমন প্রশান্তি যুগিয়েছে তেমনি আর এক কালজয়ী নায়ক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘সাতপাঁকে বাঁধা’, ‘প্রণয় পাশা’, ‘দত্তা’, সিনেমাপ্রেমীদের ঋণী করে রেখেছে এছাড়া অন্য নায়কের সঙ্গেও রয়েছে তার হৃদয়গ্রাহী অনেক সিনেমা। তার এমন বহুজনের সঙ্গে অভিনীত সিনেমা দেখে অসংখ্যজন জীবনে নানা সমীকরণ মিলিয়েছেন। কোন কোন ক্ষেত্রে হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন। শিল্পের ঋণ বোধ হয় শোধ হয় না। তাই তো তার প্রতি যুগে যুগে এই অর্ঘ। আনন্দকণ্ঠ ডেস্ক
×