ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী

তারুণ্যের শক্তি হোক দেশের অগ্রগতির পাথেয়

প্রকাশিত: ০৯:২০, ২৪ জানুয়ারি ২০২০

 তারুণ্যের শক্তি হোক দেশের অগ্রগতির পাথেয়

তরুণেরা একটি দেশের নিয়ামক শক্তি। আর এ তারুণ্যকে সঠিকভাবে ও যথাযথভাবে কর্মে লাগানোর ক্ষেত্রে সরকারের ইচ্ছার কোন বিরাম নেই। যাতে করে দেশের উন্নয়ন কাঠামোয় তরুণরা তাদের উদ্যোমী শক্তি প্রয়োগ করে ভবিষ্যতের কান্ডারী হতে পারে, সে জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে যারা বাস্তবায়নে আছেন, তারা অনেকক্ষেত্রে ন্যায়-নিষ্ঠার পরিচয় দিতে পারেন না। দেশের উন্নয়নের গতিময়তায় মধ্যম পর্যায়ের কিছু লোক অনেকক্ষেত্রেই তাদের ইচ্ছামাফিক অপব্যাখ্যা করে থাকেন। অথচ দেশের তরুণ সম্প্রদায়ের কাছে মানবতার প্রতীক হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার নাম সমুজ্জ্বল। দ্বিধাহীনচিত্তে বঙ্গবন্ধুর পরেই জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশের মানুষ, আপামর জনগণ ভালবেসে থাকে। প্রধানমন্ত্রী ভাল ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্বর্ণপদক প্রদান করছেন। এটি বাংলাদেশের শিক্ষা উন্নয়নের একটি মাইলফলক। কেননা, কৃতী ছাত্রছাত্রীরা দেশের সম্পদ। তবে অনেক বেসরকারী উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা তাদের কোন প্রোগ্রামে সিজিপিএ চারে চার পেলেও চাকরি দেয়ার কথা চিন্তা করে না। আবার এদেশে এক ধরনের বেসরকারী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে, যারা বিদেশী শিক্ষা ছাড়া অন্য কিছুই ভাবতে পারে না। এ তো নিজের দেশের সঙ্গে এক ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা! শিক্ষাক্ষেত্রে যেমন উন্নতমানের ব্যবস্থাপনা দরকার, তেমনি মান উন্নত করা দরকার। বর্তমানে সফট স্কিলের জোয়ার বিশ্বব্যাপী বইছে। এদেশে আসলেই বিচিত্র কা-কীর্তি বহমান। ধরুন একজন মার্কেটিংয়ে পাস করেছে। এখন সে যদি ৭ থেকে ১০টি কোর্স হয়ত ফাইন্যান্সে করল অর্থাৎ অতিরিক্ত ২১ থেকে ৩০ ক্রেডিট করল, তখন হয়ত ১২৬+৩০=১৫৬ ক্রেডিটে ডাবল মেজর পাবে। আসলে বিবিএ/এমবিএতে কর্মমুখী চাকরির জন্য বাস্তবতার কারণে যুগোপযোগী শিক্ষা অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, ইন্টারনেট অব থিংকিং এগুলো যেমন যুক্ত করা প্রয়োজন, তেমনি উদ্ভাবনীমূলক শিক্ষা ব্যবস্থাও দরকার। অষ্টম শ্রেণীর পর থেকেই কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার মান উন্নত করা দরকার। যারা হয়ত ফিন্যান্সে অনার্স কিংবা মাস্টার্স করবে, তাদের জন্য পুঁজি বাজারে ন্যূনপক্ষে ছয় মাসের ইন্টার্নশিপ করার পর যারা পুঁজি বাজারে ব্যবসা করার জন্য পাস করবে তাদেরই পুঁজি বাজারে ব্যবসা করার সুযোগ দেয়া দরকার। পুঁজি বাজারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা রয়েছে- গোয়েন্দারাই কেবল বলতে পারবেন চেয়ারম্যান এবং সদস্যরা প্রায় ৮ বছর ধরে তাদের ওপর সরকারের অর্পিত দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেছে কিনা। কেননা, ভাল শেয়ার যেমন শেয়ার মার্কেটে আসা উচিত ছিল, তেমনি ডেবট মার্কেট এবং ডেরিভেটিভ মার্কেটও গড়ে তোলা দরকার ছিল। হয়ত বিনিয়োগকারীদের জন্য কিছু করার প্রয়োজন অনুভব করেনি তারা। কিন্তু ডেবট মাকের্ট তৈরির জন্য বহুদিন আগেই সরকারপ্রধান নির্দেশ দিয়েছিলেন। এমনকি বেশ কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার মার্কেটে ছাড়ার ফাইলও বেশ কয়েক বছর আগে অনুমোদন করার পরও আমলা চক্র-নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্ণধাররা এবং একটি স্বার্থান্বেষী মহল কেমন করে যে আটকে দিল, তা বোধগম্য নয়। তরুণরা যদি শেয়ার বাজার থেকে শিল্পায়নের জন্য অর্থের যোগান করতে পারত, তবে তা দেশের উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখত। আসলে তরুণদের ভাগ্য উন্নয়নের কথা জননেত্রী যেভাবে ভাবেন, অনেক মিড ও জুনিয়র লেভেল ম্যানেজমেন্টের লোকেরা কিন্ত সেভাবে ভাবেন না। প্রধানমন্ত্রী ভাবেন বলেই তরুণদের মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কমিটিতেও ধীরে ধীরে তরুণ ও মধ্যম বয়সীদের স্থান হচ্ছে- এটি একটি ইতিবাচক দিক। বঙ্গবন্ধু তাঁর সমগ্র তারুণ্য উৎসর্গ করেছিলেন জনগণের সেবায়। যত বেশি তরুণদের সুযোগ সরকারপ্রধান দিচ্ছেন, তরুণদেরও তত দায়িত্ব, কর্তব্য, কর্মনিষ্ঠা, সততা, দুর্নীতিমুক্ত থাকার অভ্যাস করতে হবে। কেননা, তরুণ শক্তি যদি ন্যায়ের পথে থেকে বর্তমান সরকারের সহযোগী হিসেবে উন্নয়নের রথচক্রে কাজ করে, তবে তা দেশ ও দশের উন্নয়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। এ জন্য মুজিববর্ষে তারুণ্যকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃঢ় প্রত্যয়, সাহসিকতা, অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করা এবং সর্বোপরি দেশমাতৃকার প্রতি একনিষ্ঠ ভালবাসায় অভিসিক্ত করা। যারা বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠান করে জনগণের সেবকের বলে জনগণের প্রভুর ভূমিকায় লিপ্ত, তাদের স্বভাব পাল্টাতে হবে। কেননা, গায়ের জোরে বা অন্যায় করে যারা সরকারী চাকরি করে দিনের পর দিন ফাইল আটকে রাখে অথবা ভুল নোট দিয়েও পার পেয়ে যায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। আবার যারা পুকুর খনন, অথবা তরিতরকারির বাজার ব্যবস্থাসহ প্রশিক্ষণের নামে আমোদ-প্রমোদ ভ্রমণে বিদেশে যান, তাদের ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেয়া উচিত। তবে কারিগরি শিক্ষাÑ যার জ্ঞান আমাদের দেশে সচরাচর প্রায়োগিক কৌশলে কখনও কাজে লাগেনি, ব্যাস্টিক অর্থনীতির ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে সামষ্টিক অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করতে পারা যাবে, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই বিদেশে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের দরকার আছে। তারুণ্যকে সব সময়ে বঙ্গবন্ধু প্রাধান্য দিয়েছেন বলেই বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনেও তিনি জেলে থেকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন; ছেষট্টিতেও তিনি ছয় দফা দিয়ে বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ’৬৯-এর গণঅভ্ত্থ্যুান; আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা এবং স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম। সর্বত্রই তারুণ্যের জয়জয়কার। এদেশে আজ যে প্রজ্ঞায় সরকারপ্রধান পরিচালনা করছেন, সেখানে উন্নয়নকে আরও মজবুত করার জন্য তরুণদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী খাতকে আরও আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। একটি দেশে বিদেশী বিনিয়োগ কেবল তখনই প্রয়োজন, যখন সে দেশে প্রয়োজানীয় স্কিল ম্যানেজমেন্ট ও কারিগরি দক্ষতা সম্পন্ন জনসম্পদ থাকে। আমাদের দেশে মানুষের জ্ঞান, গরিমা ও শিক্ষার প্রসার সাধনে যেখানে প্রয়োজন বাস্তবমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা, সেখানে পরাবাস্তব শিক্ষা তা অনেকখানি ম্লান করে দিচ্ছে। বস্তুত মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে সরাসরি সরকারের হস্তক্ষেপের সুযোগ না থাকলেও অপ্রত্যক্ষভাবে সরকারের হস্তক্ষেপের সুযোগ রয়েছে। যখন একজন অবিসংবাদিত নেত্রী তার শতভাগ দিয়ে দেশের মানুষকে আগলে রাখতে সচেষ্ট রয়েছেন, সবাই যদি স্বীয় অবস্থান থেকে ঘুষ-দুর্নীতিমুক্তভাবে এবং চাটুকারমুক্তভাবে কাজ করে চলে, তাহলে দেশের উন্নয়নের চালিকাশক্তি আরও বেগবান হবে। যারা ধর্ম ব্যবসায়ী তারা তক্কে তক্কে থাকেন, কিভাবে ধর্মকে ব্যবসার তথা হাতিয়ার করা যায়। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তানী বাহিনী, তাদের দোসর রাজাকার-আলবদর-আলশামস ধর্মের নামে ব্যবসা করে দেশে গণহত্যা করেছে। বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে প্রশংসনীয় কাজ করে চলেছে। জঙ্গীবাদ দমনের জন্য সরকার সর্বাত্মক নিয়োজিত রয়েছে। এটি বিশ্বব্যাপী প্রশংসনীয়। বৈশ্বিকভাবে দেখা যায়, বিভিন্ন দেশে তরুণদের জঙ্গীবাদে টার্গেট করা হয়। এটি অবশ্যই বৈশ্বিক সমস্যা। সচরাচর তরুণরা সকল অন্যায়-অবিচারের বিপক্ষে থাকে। এ জন্য মাদক কারবারীরাও তরুণদের টার্গেট করে থাকে। দেশে ইদানীং বিত্তশালীদের সন্তান-সন্ততির একাংশের মধ্যে এটি দেখা যাচ্ছে। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে মনে হয়, কোন কোন ধনাঢ্য তরুণ-তরুণী অস্ত্র, মাদক ও জুয়াকে নিজেদের ক্ষমতা জাহিরের হাতিয়ার মনে করে। বিআইডিএসের হিসাবে দেখা যায়, বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকার হচ্ছে ৩৮.৬%। এদিকে যারা নিজেদের তারুণ্যে সরকারকে মনেপ্রাণে ভালবাসে, আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ সমর্থক অথচ মাস্টার্স পরীক্ষায় সিজিপিএ চারে চার পাওয়ার পরও চাকরি পাচ্ছে না, তাদের জন্য উপযুক্ত কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করা দরকার। এ ব্যাপারে সরকারপ্রধান ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নে তরুণ অথচ মেধাবী শক্তিকে কাজে লাগানো দরকার। কেননা, অলস মস্তিষ্ক কখন-যে কোন সময় হতাশার অন্ধকারে ডুবে যেতে পারে। বেসরকারী খাতে যদি আধুনিক মনস্কভাবে মানব সম্পদকে প্রসারিত করা যায়, তবে দেশের উন্নয়নের কাজে টেকসই হবে। শেক্সপিয়ারের সেই বাণীটি স্মরণ করতে চাচ্ছি : ‘ঈশ্বরের মতো তারুণ্য সর্বক্ষেত্রে বিচরণ করে থাকে।’ আসলে তারুণ্যের এ জয়গানকে যারা অপাত্রে কাজে লাগাতে চায়, তারা বড় ভুল করে থাকে। ক্ষণিকের মায়া অঞ্জনকে অনেক সময়ে মিথ্যাকে ভ্রম বলে বিশ্বাস করে ভুল পথে পরিচালিত হয়। সত্যকে ধামাচাপা দিতে চায়। সমাজের অগ্রদূত হিসেবে তরুণ-তরুণীদের সামাজিক সংস্কার পরিবর্তনে তৃণমূল পর্যায় থেকে কাজ করতে হবে। উদ্ভাবনী ভাবে, শান্তিপূর্ণভাবে সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হবে নারী-পুরুষের সমতার কথা। সমাজ ব্যবস্থায় কোন হানাহানি নয়, ধ্বংসযজ্ঞ নয়। নারী-পুরুষের ভেদাভেদ দিয়ে কোন রাষ্ট্র ব্যবস্থার সুচারুরূপে চলা সম্ভব নয়। আইন দ্বারা নয়, কেবল সামাজিক প্রতিরোধের মাধ্যমেই নারী-পুরুষের বিভেদ বন্ধে তারুণ্যকে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি যে সমস্ত ছেলে ছেলেবেলায় অত্যাচারিত হয়েছে, তাদের ব্যাপারেও নমনীয় হতে হবে সমাজকে। কেননা, কলুষিত সমাজ ব্যবস্থা ভাল কিছু দেয় না। বর্তমান সরকারের আমলে নারীরা প্রশাসনিক, ব্যবসা-বাণিজ্য, উদ্যোক্তা, পুলিশ, আর্মি, সাংবাদিক, শিক্ষা এবং রাজনীতিসহ বিভিন্ন পদে নিয়োজিত। যদিও যেতে হবে আরও অনেকদূর। সরকার নারীর ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গ সমতাবৈষম্যে কাজ করে চলেছে। প্রাথমিক এবং মাধ্যমিকে ছাত্রীর সংখ্যা ৫৩% এবং ৫১% যথাক্রমে। আবার প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে নারীর সংখ্যা ৬০%। অবশ্য এদেশে এখনও মানুষকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর জন্য কেউ কেউ নারীদের ব্যবহার করে থাকে। এক্ষেত্রে সামাজিক মনোভাব বদলাতে হলে নারীদের প্রতি সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করতে হবে। যারা নারীকে অসম্মান করে থাকে তাদের প্রতি করুণার কোন সুযোগ নেই। ব্যাংকিং ব্যবস্থায় তরুণ-তরুণীদের কোলাটারাল ফ্রি লোন সার্টিফিকেট রেখে দেয়া দরকার। জীবনের যে ইচ্ছা, তা বাস্তবায়নে অর্থায়নের প্রয়োজন। এ অর্থায়ন দ্বারা যাতে সে নিজেকে গড়ে তুলতে পারে সে জন্য সিড মানি, স্টার্টআপ কস্ট, এঞ্জেল ইনভেস্টরদের দ্বারা উপকৃত হতে পারে। আইএলও-এর হিসাব মতে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে তরুণদের কর্মসংস্থানহীনতার হার হচ্ছে ১২%। তরুণদের কিভাবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যাবে, সে জন্য ব্যাংকিং সেক্টারকে কাজে লাগাতে হবে। এদেশে শিক্ষিত তরুণরা যে ধরনের কর্মসংস্থান পাচ্ছে, তাতে বেতন অত্যন্ত স্বল্প এবং অনেকটা অপ্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মতো। স্বাবলম্বী করার জন্য আত্মনির্ভরশীল করে তোলার মাধ্যমে পরমুখাপেক্ষীহীন করার প্রয়াস গ্রহণ করা হয়নি। সরকারী সংস্থা কিংবা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কতটুকু স্কিল এনহ্যান্সমেন্ট করতে সক্ষম হয়েছে, সেটি একটি জরিপের মাধ্যমে সরকার খুঁজে বের করতে পারে। এ ব্যাপারে পরিকল্পনা কমিশনও একটি প্রকল্প গ্রহণ করতে পারে। আত্মনির্ভরশীল হোক, স্বকর্মসংস্থান হোক, আগামী দিনে তরুণদের জন্য নিজের পায়ে দাঁড়ানোটাই একটি চ্যালেঞ্জস্বরূপ। আশা করব মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর নামে ন্যূনপক্ষে দশটি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠুক, বিসিকের শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের সমস্যা দূরীভূত হোক এবং রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের পাশাপাশি নতুন শিল্প খাত গড়ে উঠুক- যাতে তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থান হয়। এ বিষয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে ইউজিসি গুরুত্ব দিক। লেখক : ম্যাক্রো ও ফিন্যান্সিয়াল ইকোনমিস্ট ও প্রফেসর [email protected]
×