ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গণতন্ত্র সূচকে অগ্রগতি

প্রকাশিত: ০৮:২০, ২৫ জানুয়ারি ২০২০

গণতন্ত্র সূচকে অগ্রগতি

বছরের শুরুতেই প্রত্যাশিত সুসংবাদ- গণতন্ত্র সূচকে আরও উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) সর্বশেষ গণতন্ত্র সূচকে (২০১৯ সালের) ৫ দশমিক ৮৮ স্কোর নিয়ে আট ধাপ এগিয়ে ৮০তম স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। এর আগের বছর বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫ দশমিক ৫৭, আর অবস্থান ছিল ৮৮তম। নির্বাচনী ব্যবস্থা ও বহুদলীয় অবস্থান, সরকারে সক্রিয়তা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নাগরিক অধিকারের মতো বিষয়গুলোকে আমলে নিয়ে ২০০৬ সাল থেকে ১০ স্কোরের ভিত্তিতে এ তালিকা প্রকাশ করছে গবেষণা সংস্থাটি। বিশ্ব এখন অবাক বিস্ময়ে চেয়ে থাকে বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ উন্নয়নে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। বিশ্বব্যাংক ও এডিবির সাহায্য ছাড়া সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ। দৃশ্যমান হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। সম্ভাবনার বাংলাদেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন সবকিছু সম্ভব। যথাসময়ে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে। উন্নয়নে বাংলাদেশের মাইলফলক হবে পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হলে দৌলতদিয়ায় তৈরি হবে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু। উদ্বোধন হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। এত বড় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, চীন, জাপানসহ বিশ্বের আর কোথাও নেই। ৩০০ কোটি টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার কাজও শুরু হয়েছে। উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ পাঠিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ কখনও ভাবেনি বাংলাদেশ মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠাতে পারবে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মহাকাশে আমরাও আমাদের অস্তিত্ব জানান দিয়েছি এটা ভাবলে ভাল লাগে। এটা বাংলাদেশের বিরাট অর্জন। গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। গণতন্ত্র বহাল থাকলে উন্নয়ন হয় দেশের। পক্ষান্তরে গণতন্ত্রবিরোধীরা ব্যাহত করে উন্নয়ন। গণতন্ত্রকে ব্যাহত করে গণতন্ত্রবিরোধীরা নিজেদের আখের গোছানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। যদিও তাতে শেষ রক্ষা হয় না। তারা নিক্ষিপ্ত হয় ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা আছে বলেই দেশের এত উন্নয়ন হচ্ছে। অনেকে বলেন, শুধু উন্নয়ন করলে হবে না, গণতন্ত্র থাকতে হবে। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সঙ্কট নিয়ে সর্বমহলেই নানা সময় নানা জাতীয় শঙ্কা উচ্চারণ হয়। জঙ্গীবাদ ও মৌলবাদ বর্তমানে গণতন্ত্রের প্রধান শত্রু হিসেবে দেখা দিলেও গণতান্ত্রিক বলে পরিচিত বড় রাজনৈতিক দলও যে গণতন্ত্রের অভিযাত্রার প্রতিবন্ধক হয়ে উঠতে পারে তার উদাহরণ ইতিহাসে কম নেই। তবে আশার বড় জায়গাটি হচ্ছে এ দেশের মানুষ। এরা গণতন্ত্র আকাক্সক্ষী। গণতন্ত্রকে নস্যাত করার অভিপ্রায়ে কোন ষড়যন্ত্রের সূচনা হলে তার বিপরীতে অবস্থান গ্রহণে বাংলার মানুষ কখনও পিছপা হয়নি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের ভেতর দিয়ে বিএনপি গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। ফলে তারা বিরোধী দলের দায়িত্ব থেকেও ছিটকে পড়ে। শত সমস্যার ভেতরেও দেশ এগিয়ে চলেছে। বর্তমানে প্রবৃদ্ধি ৭ ভাগের ওপরে, যা বিশ্বের অনেক দেশের কাছেই বিস্ময়কর। জনগণের কল্যাণে ও তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে আন্তরিকতা নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলেই দেশের এত উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে। গণতন্ত্রবিরোধীরা যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে- এটাই দেশবাসীর বিশ্বাস।
×