ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের ৮৬ শতাংশ জনতা শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখেন

প্রকাশিত: ০১:৫৯, ২৬ জানুয়ারি ২০২০

দেশের ৮৬ শতাংশ জনতা শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখেন

অনলাইন ডেস্ক ॥ বর্তমান সরকারের বিগত এক বছরের কার্যক্রম পরিচালিত জনমত জরিপে ২ হাজার ৬৬ জন অংশ নিয়েছেন। অর্থাৎ ৪১ দশমিক ৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারী তাদের মতামত দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশ উত্তরদাতা বর্তমান মেয়াদের প্রথম এক বছর আগের তুলনায় ভালো বলে উল্লেখ করেন। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন এই সরকারের কার্যক্রমের উপর সম্প্রতি এই জরিপ চালিয়েছে একটি প্রতিষ্ঠান। আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে রিসার্চ ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের বিগত এক বছরের কার্যক্রম সম্পর্কে পরিচালিত জনমত জরিপের ফলাফলে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এ জরিপে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পরিচালনায় ৮৫ শতাংশ উত্তরদাতা সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিন শতাংশ উত্তরদাতা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। গত ৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ভাষণে দেশবাসী তার ওপর আস্থা রাখতে বলার প্রেক্ষিতে ৮৬ শতাংশ উত্তরদাতা জানান, তারা প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রাখেন। মাত্র তিন শতাংশ আস্থাহীনতার কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া, ১১ শতাংশ কোনো মতামত দেননি। এ জরিপে সবচেয়ে কার্যকার মন্ত্রণালয় হিসেবে ৩০ শতাংশ উত্তরদাতা শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ২৮ শতাংশ উত্তরদাতা যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয়, ১৬ শতাংশ উত্তরদাতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ৯ শতাংশ উত্তরদাতা তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বাকিরা অন্য মন্ত্রণালয় বেছে নিয়েছেন। জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ উত্তরদাতা বর্তমানে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা করতে চাননি। ২৫ শতাংশ উত্তরদাতা বিএনপিকে কার্যক্রম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। মাত্র ছয় শতাংশ উত্তরদাতা বিএনপির কার্যক্রম সন্তোষজনক দাবি করেছে। এছাড়া জাতীয় পার্টির ব্যাপারে উত্তরদাতাদের মধ্যে আগ্রহ কম পরিলক্ষিত হয়েছে। জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ উত্তরদাতা দেশে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। ৩২ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন বিরোধী দল থাকার প্রয়োজন নেই। ২০ শতাংশ উত্তরদাতা এ বিষয়ে কোনো উত্তর দেননি। জরিপে দেখা যায়, দক্ষতা সাফল্যের প্রেক্ষিতে মন্ত্রীদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রী ড. দীপু মনি। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের সব বিভাগকে প্রাধান্য দিয়ে ২০ হাজার নারী-পুরুষের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ১১ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। ৮ হাজার ৩৯ জন মোবাইল ব্যবহারকারীকে টেলিফোন করলে জরিপে ৫ হাজার ৪২৯ জন অংশ নেন। তাদের মধ্যে ২ হাজার ২৬৬ জন অর্থাৎ ৪১ দশমিক ৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারী তাদের মতামত দেন। ১০ জন রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট সরাসরি জরিপে অংশ নেন। এ তথ্য সংগ্রহ করে জরিপকারীদের মধ্যে ১৮ প্রশ্ন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী গবেষক অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন রিচার্স ইন্টারন্যাশনালের চীফ কো-অর্ডিনেটর অফিসার ও গবেষক কাজী আহমদ পারভেজ, বিইউপি ও বাউস্টের খণ্ডকালীন শিক্ষক মো. মোশারফ হোসেন।
×