ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক কূটনীতিই হবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম চালিকা শক্তি : সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ২৬ জানুয়ারি ২০২০

ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক কূটনীতিই হবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম চালিকা শক্তি :  সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বর্তমান সরকারের পররাষ্ট্রনীতিতে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে অর্থনৈতিক কূটনীতি। ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক কূটনীতিই হবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত দেশ বিনির্মাণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক কূটনীতি আরো সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। মন্ত্রী জানান, উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি বিদেশী বিনিয়োগ আহরণ, দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধি এবং নতুন বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে আর্থিক বুনিয়াদের ভিত্তি আরো মজবুত করার জন্য বিভিন্ন স্তরে যোগাযোগ বাড়ানোই এ কূটনীতির মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও মর্যাদাসম্পন্ন দেশে উন্নীত করার যে সুনির্দিষ্ট পরিকলœনা সরকারের রয়েছে, তা বাস্তবায়নে বিপুল বিনিয়োগ ও অর্থের প্রয়োজন। এ প্রয়োজন বিবেচনা থেকেই অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর বিশেষভাবে জোর দেওয়া হচ্ছে। গত ১০ বছরের অগ্রগতি তুলে ধরে পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, গত ১০ বছরে বাংলাদেশের অসাধারণ অর্থনৈতিক অগ্রগতি বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়া, ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টঅর্জন ও ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা বা উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার ধারাবাহিক সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতির সামনে দিয়েছেন। তিনি জানান, এই রূপরেখা বাস্তবায়নে দেশে অনেক বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে। সে বিবেচনায় সরকার নানাভাবে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক কূটনীতিতে মূখ্য ভূমিকা পালন করার জন্য এরই মধ্যে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন বছরে বাংলাদেশের কোন দেশ কী পরিমাণ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়তে পারে তার একটি রূপরেখা দিতে েিদশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের আমি ইতোমধ্যে নির্দেশ দিয়েছি। বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিনিয়োগ সেমিনার অনুষ্ঠানকল্পে ইতোমধ্যেই মন্ত্রণালয় কর্তৃক দূতাবাসগুলোতে ৬৬ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। সরকারি দলের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির প্রশ্নের লিখিত জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থানে গিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশী নির্যাতিত হলে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে অথবা অন্য কোনভাবে অবগত হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়/দূতাবাস তাকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা এবং ক্ষেত্র বিশেষে আইনি সহায়তা প্রদান করে থাকে। প্রবাসে বিপদগ্রস্ত নারী শ্রমিকদের জরুরি প্রয়োজনে আশ্রয়ের জন্য শ্রমঘন কিছু দেশে সাময়িকভাবে সেফ হোমের ব্যবস্থা করা হয়।
×