ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য সময় বাড়াতে সংসদে বিল পাস

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২৬ জানুয়ারি ২০২০

ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য সময় বাড়াতে সংসদে বিল পাস

সংসদ রিপোর্টার ॥ ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময়সীমা ৩০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৬০ দিন নির্ধারণ করে ‘ভোটার তালিকা (সংশোধন) আইন-২০২০’ নামে একটি বিল জাতীয় সংসদে কন্ঠভোটে পাস করা হয়েছে। রবিবার আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলটি পাসের বিরোধীতা করে বিএনপির দু’জন সংসদ সদস্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললে তার জবাব দিতে গিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিরোধী দলের সদস্যরা যা বলেছেন, তাতে কিন্তু আমরা আশ্চর্য হইনি। কারণ ওনাদের (বিএনপি) তো ভোট করারই অভ্যাস নেই। বিএনপি নির্বাচন নিয়ে অতীতে কী করেছে? ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচন করে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীকে সংসদে এনে বিরোধী দলের নেতার আসনে বসিয়েছেন। শুধু ভোটারবিহীন নির্বাচন করেও তারা খুশী হননি, এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার নিয়ে ভোটার তালিকা তৈরি করেছিলেন। আজ তারাই আবার নির্বাচন নিয়ে আইনের শিক্ষা দিচ্ছেন! মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা জনগণের কথা বলি, স্বার্থ দেখি। ১৯৮২ সাল থেকে শুরু হয়েছে এই আইনটা। ২০০০ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে এসেছে। আমরা আইনে প্রণয়ন করতেই বিলটি এনেছি। কিন্তু তারা (বিএনপি) ভাঙ্গা রেকর্ডের মতো পুরনো কথা বলেন। বিএনপি তো এনালগ, ডিজিটাল না। বিএনপি তো বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি, এখানে তো বাংলাদেশীই নেই। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন বিলটি পাসের আগে বিলটির উপর জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপি দলীয় সদস্যরা। এবিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় পার্টির রওশন আরা মান্নান এবং বিএনপি’র মো. হারুনুর রশীদ ও ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা। বিরোধী দলীয় সদস্যদের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পাস হওয়া বিলে ভোটার তালিকা আইনের ১১ ধারার ১ উপধারা সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে জাতীয় ভোটার দিবসের সঙ্গে মিল রেখে কম্পিটার ডাটাবেজে সংরক্ষিত বিদ্যমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময়সীমা প্রতি বছর ২ জানুয়ারি হতে ৩১ জানুয়ারির পরিবর্তে ‘২ জানুয়ারি হতে ২ মার্চ’ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বিলটি আইনে পরিণত হলে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময়সীমা ৬০ দিন হবে। উল্লেখ্য, গত ২০ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিলটি পাসের সুপারিশ করে গত ২৩ জানুয়ারি সংসদে প্রতিবেদন জমা দেয়।
×