ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে : আমু

প্রকাশিত: ০৭:৪৩, ২৬ জানুয়ারি ২০২০

বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে   :  আমু

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু টিকাটুলিতে নৌকার নির্বাহী ক্যাম্পে হামলা প্রসঙ্গে বলেছেন, বলেছেন, বিএনপির নির্বাচনী প্রচারের কোন সিডিউল প্রোগ্রাম ছিল না। এধরনের কোন শিডিউল প্রোগাম তাদেরকে আগে জানানো হয়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ স্থানীয়দের বক্তব্যে এটা পরিস্কার, এটা তাদের (বিএনপি) একটি সুপরিকল্পিত ঘটনা। এটা আগামী দিনে নির্বাচন বানচালের একটি ইঙ্গিত। তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি চ্যালেঞ্জ দিয়ে ঘোষণা দিল যে, শেষ পর্যন্ত তারা দেখে নেবে। এই সমস্ত কথাবার্তার মধ্য দিয়েই আমরা একটু আঁচ করতে পেরেছিলাম, বিএনপি আসলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না, বরং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে। পাশাপাশি পত্রপত্রিকায় লক্ষ্য করলাম, সারাদেশে তাদের বিএনপি-জামায়াতের ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সন্ত্রাসবাহিনীকে ঐক্যবদ্ধভাবে সমবেত করা হচ্ছে। তখন আমাদের সন্দেহ আরও প্রকট আকার করেছিল। এই হামলা তারই একটি বহির্প্রকাশ। রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন। দুপুরে হামলার ঘটনার পর জরুরি বৈঠকে বসেন নির্বাচনী পরিচালনা সংশ্লিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতারা। রাজধানীর টিকাটুলি এলাকার অভয়দাস লেনে নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলার ঘটনা তুলে ধরে আমির হোসেন আমু বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে আসছে, গণতান্ত্রিক ধারায় তারা সুষ্ঠুভাবে চলবে, এটাই আমাদের আশা-আকাঙ্খা ছিল। কিন্তু নির্বাচনি প্রচারের শুরু থেকে অনির্বাচনের ধারার ব্যাপারে কথাবার্তা বলা শুরু করল। তারা স্বপ্নে দেখা শুরু করল নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, অবাধ হবে না, নিরপেক্ষ হবে না! তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তৃপক্ষ বলেছে, ওখানে বিএনপির আজ (রবিবার) কোন প্রচারের কোন শিডিউল ছিল না। এ ধরণের কোন শিডিউল তাদেরকে আগে জানানো হয়নি। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বক্তব্যে এটা পরিস্কার, এটা তারা (বিএনপি) হঠাৎ করেছে, এটা তাদের সুপরিকল্পিত ঘটনা। এটা আগামী দিনে নির্বাচন বানচালের একটি ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত। যদিও দু-একদিন আগে ছোটখাট দু’একটা মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এবার আমাদের নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্পে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়েছে এবং আমাদের দলের প্রায় ৫০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছে। এ ধরণের হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা বলেন, আমরা মনে করি, সারাদেশের মানুষের যে আশা-আকাঙ্খা সেটা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে বিএনপির এখনো শুভবুদ্ধির উদায় হবে। তারা গণতান্ত্রিক পন্থায় সক্রিয়ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। নির্বাচন বানচাল করার জন্য নয়, নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে অংশগ্রহণ করবে- এটাই জাতির আকাঙ্খা। এই হামলার ঘটনার দলীয়ভাবে কোন মামলা করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে আমু বলেন, আমাদের যারা আহত হয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে মামলা থানায় করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কাছে আমাদের পক্ষ থেকেও প্রতিবাদ দেয়া হবে। তারপর নির্বাচন কমিশন যেটা ভাল মনে করে সেটা করবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি আবু আহম্মেদ মান্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মঈনুল হোসেন খান নিখিল, যুবলীগের সাবেক সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি প্রমূখ।
×