ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দৌলতপুরে বিষাক্ত এ্যালকোহল পানে ৩ জনের মৃত্যু : অসুস্থ্য ৩

প্রকাশিত: ০৮:৪৯, ২৬ জানুয়ারি ২০২০

দৌলতপুরে বিষাক্ত এ্যালকোহল পানে ৩ জনের মৃত্যু : অসুস্থ্য ৩

নিজস্ব সংবাদদাতা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিষাক্ত এ্যালকোহল পানে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এঘটনায় অসুস্থ রয়েছে আরও ৩ জন। নিহতরা হলেন, উপজেলার হোসেনাবাদ এলাকার সফের মিয়ার ছেলে খায়ের কসাই (৫৫), একই এলাকার এজবার আলীর ছেলে মফিজুল ওরফে মুক্তি (৩৪), ফিলিপনগর ইউনিয়নের বাহিরমাদি মসজিদপাড়া এলাকার চুন্নু কসাই (৪৫)। খায়ের কসাই ও চুন্নু কসাই একই সাথে মাংসের ব্যবসা করতেন। অসুস্থদের মধ্যে হোসেনাবাদ এলাকার জিল্লু (৪৪) ও হান্নান (৪২) কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং লিপু নামের অপর এক যুবক অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে রয়েছেন। পুলিশ নিহতদের খবর শুনে থাকলেও তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হৃদরোগে হয়েছে বলে জানিয়েছেন। স্থানীয় বিভিন্ন সুত্রে জানাগেছে, শুক্রবার রাতে দৌলতপুর উপজেলার হোসেনাবাদ বাজারের রাসেল এলোপ্যাথিক ফার্মেসী থেকে ৭জন মাদকাশক্ত ব্যক্তি স্পিরিট বা বিষাক্ত এ্যালকোহল কিনে পান করেন। পরে এদের মধ্যে খায়ের কসাই গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাতেই ঢাকায় নেওয়ার পথে মফিজুল ওরফে মুক্তি মারা যান। ভোররাতে নিজ বাড়িতে মারা যান বাহিরমাদি মসজিদপাড়া এলাকার চুন্নু কসাই। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হান্নানের চাচা ময়েন উদ্দিন জানান, চিকিৎসাধীন দুজনই চোখে ঝাপসা দেখছেন। এদের অবস্থা ভাল নয় বলে তিনি জানিয়েছেন। এদিকে বিষাক্ত এ্যালকোহল পানে পর্যায়ক্রমে নিহত ৩ জনের দাফন রবিবারের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার নাসির উদ্দিন জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে স্পিরিট খেয়ে অসুস্থ হলে কুষ্টিয়ায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে খায়ের কসাই মারা যায়। আর ঢাকায় মারা গেছে মফিজুল ওরফে মুক্তি। এ ঘটনার পর থেকেই রাসেল ফার্মেসী বন্ধ করে ফার্মেসীর মালিক রাসেল পালিয়ে গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তবে রাসেল ফার্মেসীর পিছন থেকে শতাধিক স্পিরিটের বোতল উদ্ধার করেছে দৌলতপুর থানা পুলিশ। দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিসক ডা. সবুজ জানান, অ্যালকোহোল পান করে একজন দৌলতপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি শনিবার বিকেলে ভর্তি হয়েছেন। তবে অসুস্থ হয়ে কে কে এসেছিলেন তা জানাতে পারেননি তিনি। দৌলতপুর থানার ওসি এস এম আরিফুর রহমান জানান, আমরা খবর পেয়ে খায়ের কসাইয়ের বাড়িতে যায়। তার পরিবার হৃদরোগে মারা যাবার সনদ দেখিয়েছেন। বাঁকী আরও দু’জন নিহত হওয়ার খবর শুনেছি। তবে কেউ অভিযোগ করেননি।
×