নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর ॥ নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমাদের স্থলবন্দরগুলোতে আমদানি-রপ্তানির জন্য পণ্য নির্দিষ্ট থাকায় যে সমস্যা সৃষ্টি হয়ে আছে তা শিগগিরি নিরসন হচ্ছে। এরইমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, এনবিআর-এর সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রবিবার জাতীয় কাস্টমস্ দিবস উপলক্ষে রংপুরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, একেক বন্দর দিয়ে একেক পণ্য আনা-নেয়া করতে আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা যুগযুগ ধরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বিশ্বায়নের এ যুগে বাণিজ্য হচ্ছে উন্নয়নের সবচেয়ে শক্তিশালী নিয়ামক। বাণিজ্য প্রসারে কাস্টমসের ভূমিকা অগ্রগণ্য। বাণিজ্যের প্রসার ও রাজস্ব আহরণে শুল্কায়ন ব্যবস্থাপনাকে আরও সহজতর করতে হবে।’
দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাস্টমসের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন এবং দারিদ্র্য বিমোচনে ও দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ বৃদ্ধির বিকল্প নেই। কাস্টমসের আওতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উন্নয়ন ও অগ্রগতির কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, বিজিবির (উত্তর পশ্চিম রিজিয়ন) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কায়সার হাসান মালিক, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ, রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিলন। সভাপতিত্ব করেন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট রংপুরের কমিশনার শওকত আলী সাদী।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, মহানগরের সভাপতি সাফিয়ার রহমান সফি, সাধারণ সম্পাদক বাবু তুষার কান্তি মন্ডল, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট রংপুরের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল মান্নান সরকার প্রমুখ।
এর আগে সকালে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয়ে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। পরে সেখান থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।