ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় কাল জরুরী আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক

প্রকাশিত: ১০:১৮, ২৭ জানুয়ারি ২০২০

 করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় কাল জরুরী আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নোবেল করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন, নৌ পরিবহন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে আগামীকাল ২৮ জানুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয় জরুরী সভা ডেকেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। রবিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আলোচিত নোবেল করোনা ভাইরাসে বাংলাদেশের জরুরী সতর্কতা গ্রহণ করা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক রবিবার সকালে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক জরুরী সভা করেন। সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ আহমেদুল কবীরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় চীনে সম্প্রতি ধরা পড়া নোবেল করোনা ভাইরাসের ব্যাপকতা নিয়ে আলোচনা হয়। রোগটি বর্তমানে কত দেশে পৌঁছেছে, কতজন আক্রান্ত ও মারা গেছেন সে বিষয়ে খোঁজখবর নেন মন্ত্রী। দেশের প্রতিটি বিমানবন্দর, নৌবন্দর, স্থলবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অবহিত করেন। সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন, নৌ পরিবহন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় জরুরী সভা করার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অবহিত করেন। এ বিষয়ে সহমত ব্যক্ত করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আগামীকাল বেলা বারোটায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সক্রিয় অংশ গ্রহণের জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আয়োজনের নির্দেশ দেন। বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ আহমেদুল কবীর জানান, নোবেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোন ব্যক্তির প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগ ধরা নাও পড়তে পারে। চীনে বহু বাংলাদেশী শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছেন। তারা সবাই ফিরতে গিয়ে এখন এই ভাইরাসের জীবাণু বহন করে দেশে নিয়ে এলে আমাদের জন্য তা উদ্বেগের কারণ হতে পারে। তাই সাময়িক সময়ের জন্য বাংলাদেশ থেকে চীনে যাতায়াত ব্যবস্থা স্থগিত করার উদ্যোগ নেয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান তিনি। চীনে যাওয়া-আসার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চীন-বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক অনেক গভীর। দেশের বহু মানুষ বাণিজ্যিক কারণে চীনে যাতায়াত করছেন। তাই এই ভয়াবহ ভাইরাস যেকোন উপায়ে দেশে চলে এলে তা আমাদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই আগামীকাল আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে চীন ও চীন থেকে বাংলাদেশে সব ধরনের ভ্রমণ সাময়িক স্থগিত করার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে। স্থলবন্দরে স্বাস্থ্যডেস্ক চীনে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ‘করোনা ভাইরাস’। ইতোমধ্যে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অনেকে মারা গেছে। আর আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও বেশি। শুরুতে এ ভাইরাসের থাবা শুধু চীনে সীমাবদ্ধ থাকলেও ক্রমেই তা ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোন অস্তিত্ব না পাওয়া গেলেও এটি প্রতিরোধে সর্বাত্মক তৎপরতা শুরু হয়েছে দেশে। এর প্রেক্ষিতে স্থলবন্দরগুলো দিয়ে যাতায়াত করা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বসানো হয়েছে স্বাস্থ্য ডেস্ক। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের।
×