জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আঞ্চলিক সংস্থা বিমসটেকের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বৃহত্তর স্বার্থে বিমসটেক কোস্টাল শিপিং চুক্তি সম্পাদনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। বিমস্টেক মহাসচিব শহিদুল ইসলাম রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষাত শেষে সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় সংসদ ভবন কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘এ আঞ্চলিক সংস্থার সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পানিপথে সংযোগ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বিমসটেক কোস্টাল শিপিং চুক্তি সম্পাদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা খুবই প্রয়োজন।’ খবর বাসসর।
তিনি বলেন, একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক সহযোগিতা জোরদারের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের পরে বন্ধ হয়ে যাওয়া বাণিজ্যিক রুটগুলো ধীরে ধীরে পুনরায় খুলে দেয়া হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সংযোগ আরো জোরদার হবে।
বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলাম বলেন, বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) বিমসটেকের উন্নয়ন তহবিলে সহায়তা করতে আগ্রহী। এর আগে সাবেক ব্রিটিশ এমপি কেইথ ভাচ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন বলে জানান প্রেস সচিব।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী লেবার পার্টির এই সাবেক এমপিকে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন।
ঢাকা-হ্যানয় সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্ব
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি করা গেলে এটি একটি বড় বাজারে পরিণত হবে। বাংলাদেশে ভিয়েতনামের নতুন রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন রবিবার প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় সংসদ কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষাত শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক বিকাশের, বিশেষত উচ্চ প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করেন। ভিয়েত চিয়েন ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও ভিয়েতনাম সফরের আমন্ত্রণ জানান।