ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সংখ্যালঘুদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন আনা হয়েছে ॥ মোদি

প্রকাশিত: ০৭:৩৯, ২৮ জানুয়ারি ২০২০

সংখ্যালঘুদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন আনা হয়েছে ॥ মোদি

অনলাইন ডেস্ক ॥ ঐতিহাসিক অন্যায়ের সংশোধন করতে এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সংখ্যালঘুদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) আনা হয়েছে। দিল্লীতে ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর-এর একটি সভা থেকে আজ মঙ্গলবার এমন মন্তব্যই করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “নেহরু-লিয়াকত চুক্তিতেও সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার কথা বলা হয়েছে। গান্ধীজি নিজেও সেই ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তাই সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতেই সিএএ এনেছে সরকার।” এর পরই দেশ ভাগের প্রসঙ্গ তুলে তাঁর মন্তব্য, “সে সময় স্বাধীন ভারতকে যাঁরা শাসন করেছেন তাঁরাও দেশ ভাগকে মেনে নিয়েছিলেন।” ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর-এর ওই মঞ্চ থেকেই সিএএ নিয়ে বিরোধী দলগুলোকে আক্রমণ করেন মোদি। ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে বিরোধী দলগুলো সিএএ নিয়ে রাজনীতি করছে বলেই মন্তব্য করেন তিনি। মোদি আরও বলেন, “এ দেশে আজ যাঁরা নিজেদের দলিতদের মুখ বলে দাবি করছেন। পাকিস্তানে অত্যাচারিত দলিত সম্পর্কে তাঁরা টু শব্দটিও করছেন না! তাঁরা ভুলে গিয়েছেন পাকিস্তানে থেকে অত্যাচারিত হয়ে অনেক সংখ্যালঘুই এ দেশে এসেছেন। আর তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই দলিত সম্প্রদায়ের।” সিএএ নিয়ে ভারত সরকারের সমালোচনা করে ইতিমধ্যেই ৬টি প্রস্তাব পেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ নিয়ে যথেষ্টই চাপে রয়েছে মোদি সরকার। সিএএ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যখন মোদী সরকারের সমলোচনা করছে, সেটাকেই হাতিয়ার করে মোদিকে আক্রমণে নেমে পড়েছে বিরোধী শিবির। তাঁদের দাবি, গোটা বিশ্বে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন মোদি। শুধু তাই নয়, সরকারের এই সিদ্ধান্তে মোদির নিজের ভাবমূর্তিও নষ্ট করেছেন কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। এই দাবি প্রসঙ্গে বিরোধী শিবিরকে পাল্টা জবাব ছুড়ে মোদি এ দিন বলেন, “বিরোধীরা যতই বলুন বিশ্বে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে, তাদের বলে রাখি, নিজের খ্যাতির জন্য নয়, দেশের খ্যাতির জন্যই কাজ করি আমি।” সিএএ-র পাশাপাশি এ দিন বড়ো আন্দোলন, কর্তারপুর গুরুদ্বার, তিন তালাকের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন মোদি। এর পরই তিনি বলেন, “প্রত্যেক ভারতীয় আমাদের কাছে মূল্যবান এবং আমরা সেই পথেই এগিয়ে চলেছি। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×