ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জলঢাকা পৌরসভা যেন আবর্জনার ভাগার

প্রকাশিত: ০৭:৪৪, ২৮ জানুয়ারি ২০২০

জলঢাকা পৌরসভা যেন আবর্জনার ভাগার

স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভাটি যেন আবর্জনার ভাগারে পরিনত হয়েছে। সড়কের পাশে জমে আছে নর্দমা থেকে তুলে রাখা কাদা আবর্জনা। ছড়িয়ে ছিটিয়ে শহরেই গড়ে তোলা হয়েছে আবর্জনার ভাগার। এসব ভাগারের দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ পৌরসভা শহরবাসী। এলাকাবাসীর অভিযোগ আমাদের পৌর মেয়র উপজেলা বিএনপির সভাপতি। তিনি নগর উন্নয়নের সব সুবিধা প্রদানের জন্য অর্থ বরাদ্দ নিয়ে এলেও কোন কাজ করেন না। আজ মঙ্গলবার পৌরবাসীরা জানায়, শহরের কাছারীবাজার এবং বাসস্ট্যান্ডের পেছেন সহ বিভিন্ন স্থানে আবর্জনার ভাগার গড়ে তুলেছে পৌরকতৃপক্ষ। শহরের অপসারিত আবর্জনা এসব ভাগারে ফেলা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ভাগার থেকে যেমন ছড়াচ্ছে দূর্গন্ধ, তেমনি বেড়েছে মশা-মাছির উপদ্রব। পাশাপাশি শহরের নর্দমা থেকে সড়কের ধারে জমে থাকা আবর্জনাসহ কাদামাটিতে সৃষ্টি হয়েছে আরও অস্বস্তিকর পরিবেশ। কাছারী বাজার এবং বাসস্টা- এলাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। এসব এলাকায় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ রয়েছে বাসাবাড়ি। প্রচুর লোক সমাগম দেখা গেছে এসব স্থানে। দূর্গন্ধের কারণে শহরে আগতদের চলাচল করতে দেখা গেছে নাক ঢেকে। আবার সড়কের কাদামাটির ডিঙ্গিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে পথচারীদের। জলঢাকা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আজম এলিস বলেন,“শহরের ভেতর কাছারী বাজার ও বাস স্ট্যান্ডের পেছনে আবর্জনার ভাগার করেছে পৌর কর্তপক্ষ। এতে শহরে যেমন দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, তেমনি মশা মাছির উপদ্রব বেড়েছে। নর্দমাগুলো নিয়মিত পরিস্কার না করায় ময়লা জমে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পরিস্কার করা হলেও নর্দমা থেকে সড়কের ধারে তুলে রাখা আবর্জনাসহ পচা কাদামাটি অপসারণ না করায় পথচারীদের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই এসব কাদা ছড়িয়ে পড়ে সড়কে। আবার শুকনা মৌসুমে ধুলায় চলাচল করা যায় না”। তিনি বলেন,“আমাদের পৌর মেয়র ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট উপজেলা বিএনপির সভাপতি। প্রশাসনের সঙ্গে তার কোনো সমন্বয় নেই। পাশাপাশি তার উদাসিনতা ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে পৌরসভার উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা পরিষদ থেকে শহরের জিরো পয়েণ্ট পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কটি গর্ত হয়ে প্রায় পাঁচ বছর ধরে চলাচলের অনুপযোগি। এ বিষয়ে পৌর মেয়র ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট বলেন,“২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত পৌরসভাটি এখন দ্বিতীয় শ্রেণির হলেও নাগরিকদের সে (দ্বিতীয় শ্রেণীর) সুবিধা দিতে পারছি না। শহরে চলাচলের প্রধান সমস্যা জলঢাকা উপজেলা পরিষদ থেকে শহরের জিরো পয়েণ্ট পর্যন্ত সড়কটি। তিনি জানান,“এখন জাইকার অর্থায়নে ৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে চার মিটার প্রসস্ত করে ওই সড়কটির প্রায় এক কিলোমিটার সংস্কার কাজ শুরু করেছি। ওই প্রকল্পে সড়কের ধারে দেড় মিটার প্রসস্তের প্রায় দেড় কিলোমিটার নর্দমা করা হচ্ছে। সেটি হলে অনেক সমস্যা দূর হবে”।শহরে আবর্জনার ভাগারের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমাদের ডাম্পিং গ্রাউন্ড করার পরিকল্পনা আছে। সেটা করতে পারলে শহরে আবর্জনার ভাগার থাকবে না”।
×