ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আফগানিস্তানে বিমান বিধ্বস্তের কথা স্বীকার করল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ০৯:৩১, ২৯ জানুয়ারি ২০২০

আফগানিস্তানে বিমান বিধ্বস্তের কথা স্বীকার করল যুক্তরাষ্ট্র

সোমবার আফগানিস্তানের গজনি প্রদেশের দেহ ইয়াক জেলায় বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই এলাকায় তালেবানের শক্ত অবস্থান আছে। বিমানটিতে কতজন লোক ছিল বা কেউ নিহত হয়েছে কিনা, তা পরিষ্কার করেনি মার্কিন সামরিক বাহিনী। বিবিসি। পরিচয় না প্রকাশ করার শর্তে কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন দুর্ঘটনার সময় বিমানটিতে পাঁচ জনেরও কম লোক ছিল। বিমানটি কীভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে তা পরিষ্কার করতে একটি তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে আফগানিস্তানে মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, জানিয়েছে সিএনএন। বিমানটি শত্রুর গোলাবর্ষণে Ÿস্তু হয়েছে এমন ‘কোনো ইঙ্গিত’ পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি। এক টুইটে কর্নেল সনি লেগেট বলেন, ‘আজ আফগানিস্তানের গজনি প্রদেশে একটি মার্কিন বোম্বাডিয়ার ই-১১ এ বিধ্বস্ত হয়েছে। বিধ্বস্তের কারণ তদন্তনাধীন আছে আর এ সময় শত্রুর গুলির আঘাতে বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটেছে বলে কোন ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। অতিরিক্ত কোন তথ্য পাওয়া গেলে তখন আমরা জানাব। ‘তালেবানের আরও বিমান বিধ্বস্ত করার দাবি মিথ্যা।’ তালেবানের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে পোস্ট করা ভিডিও ফুটেজে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর চিহ্ন থাকা পোড়া একটি বিমানের ছবি দিয়ে বলা হয়েছে এটিই সেই বিধ্বস্ত বিমান। ভিডিও এবং ছবি থেকে বিমানটি বোমার ই-১১ এ বিমানের মতো মনে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী আফগানিস্তানে নজরদারির জন্য এ রকম বিমান ব্যবহার করে। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দক্ষিণপশ্চিমে গজনির তালেবান নিয়ন্ত্রিত ওই অঞ্চলটিতে একটি বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে। বিমানটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আরিয়ানা এয়ারলাইনের বলে প্রথমদিকে জানিয়েছিল আফগানিস্তানের কর্তৃপক্ষ, কিন্তু তাদের কোন বিমান নিখোঁজ হয়নি বলে দ্রুত জানায় আরিয়ানা। দেশটিতে হেলিকপ্টারের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ প্রমাণ হলেও যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হারানোর ঘটনা তুলনামূলকভাবে বিরল। আবার অনেক উঁচু দিয়ে ওড়া বিমান নামিয়ে আনার মতো বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র তালেবানের নেই বলেই বিশ্বাস করা হয়।
×