ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মূল্য সংশোধনের একদিন পরে উর্ধমুখী শেয়ারবাজার

প্রকাশিত: ০৯:৩৪, ২৯ জানুয়ারি ২০২০

মূল্য সংশোধনের একদিন পরে উর্ধমুখী শেয়ারবাজার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মূল্য সংশোধনের একদিন পরেই উর্ধমুখী ধারায় ফিরেছে দেশের শেয়ারবাজার। মঙ্গলবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকের উত্থানের সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও। উভয় বাজারেই সিমেন্ট খাতের বহুজাতিক কোম্পানি লাফার্জ সুরমার সর্বোচ্চ লেনদেনের দিন অন্যসব বহুজাতিক কোম্পানিরও চাহিদা বেড়েছে। তবে লভ্যাংশ ঘোষণার পরদিন গ্রামীণফোনের দর কমার কারণে সার্বিক সূচকে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে কোম্পানিটি। এর আগে টানা তিন কার্যদিবস উর্ধ্বমুখী থাকার পর সোমবার দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। দুই বাজারেই মূল্যসূচকের সঙ্গে কমে লেনদেনের পরিমাণ। তবে পতনের এ ধারা দীর্ঘ হয়। মঙ্গলবার আবার উর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফিরেছে দুই বাজার। বাজার পর্যালোচনা দেখা গেছে, মঙ্গলবারে লেনদেনের শুরু থেকেই শেয়ারবাজারে উর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। লেনদেনের প্রথম ১৪ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক ২৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে এরপর সূচক কিছুটা নিম্নমুখী হয়। এতে একপর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ৯ পয়েন্ট কমে যায়। কিন্তু এই নিম্নমুখী প্রবণতা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। ১০ মিনিটের ব্যবধানে আবার উর্ধমুখী হয় বাজার। এরপর বেলা সাড়ে ১১টা থেকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত সমানতলে বাড়তে থাকে সূচক। সেই সঙ্গে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। এতে দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৭টির। দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৭টির। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের এই দাম বাড়ার ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৭ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৫১০ পয়েন্টে ওঠে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫৪৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ার কারণে সবকটি মূল্যসূচকের উত্থানের পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৬৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪০৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৬২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে লাফার্জহোলসিমের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪০ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা গ্রামীণফোনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকার। ১৪ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এসএস স্টিল। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- প্যরামাউন্ট টেক্সটাইল, এডিএন টেলিমক, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল, ন্যাশনাল পলিমার, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো। ডিএসইতে গত তিনদিনের মতো চতুর্থ দিনেও রাষ্ট্রায়ত্ত চিনি শিল্প কর্পোরেশনের দুই প্রতিষ্ঠান ঝিল বাংলা সুগার ও শ্যামপুর সুগার মিলের কোন বিক্রেতা ছিল না। থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের চিনি রফতানির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে এমন গুজবে শেয়ার দুটির বিক্রেতা শূন্য হয়ে গেছে।
×