ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ধ্বংসাত্মক রাজনীতি থেকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি মিলনের

প্রকাশিত: ১১:২১, ২৯ জানুয়ারি ২০২০

ধ্বংসাত্মক রাজনীতি থেকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি মিলনের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হরতাল-অবরোধ ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতি থেকে রাজধানী ঢাকাকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিলেন জাতীয় পার্টি মনোনীত দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন। তিনি বলেন, দেশের রাজধানী ঢাকা। এখানে সবচেয়ে বড় বড় স্থাপনা। দেশের মূল অর্থনৈতিক কেন্দ্র ঢাকা শহর। এই শহর ঘিরে হচ্ছে নানা পরিকল্পনা। বিনিয়োগ হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। শহরকে বাসযোগ্য করে তোলার সংগ্রাম চলছে। তাই প্রিয় ঢাকাকে রক্ষার দায়িত্ব প্রতিটি নাগরিকের। আমি যদি মেয়র নির্বাচিত হতে পারি তাহলে ধ্বংসাত্মক রাজনীতি থেকে এই শহরকে রক্ষার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেব। প্রয়োজন নতুন করে আইন করা হবে। ১৭ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার ঠিক পরদিন এই প্রতিশ্রুতি দিলেন বিরোধী দল জাপার মেয়র প্রার্থী মিলন। মঙ্গলবার দিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ ও পথসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। এ সময় দলের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন বলেন, আমি জয়যুক্ত হতে পারলে রাজধানী ঢাকাকে সকল সময়ের জন্য হরতাল-অবরোধের মতো ধ্বংসাত্মক রাজনীতি থেকে মুক্ত রাখার জন্য জনমত গঠন করে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করব। তিনি বলেন, ঢাকাবাসীর জন্য নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস, বিদ্যুত ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করব। যানজট নিরসনে সরু রাস্তা প্রশস্ত করা হবে। মওকুফ করা হবে ট্যাক্স। দখল ও দূষণমুক্ত করা হবে ঢাকার ফুসফুস হিসেবে পরিচিত বুড়িগঙ্গাকে। সেইসঙ্গে এখন বিভিন্ন শহরের তুলনায় ঢাকায় দূষণের পরিমাণ অনেক বেশি। বিশে^র কাছে এই শহর দূষণের শহর হিসেবে ইতোমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছে। তাই যে কোন মূল্যে দূষণ কমিয়ে বাসযোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকার নাম আসবে। ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, লাঙ্গলে সমর্থন দিলে আপনাদের ভোট বিফলে যাবে না। আমি সেবক হিসেবে আপনাদের পাশে থাকতে চাই। কথা দিলাম। আপনারা আমাকে সুযোগ দিন। প্রতিদান দেব। কোন মিথ্যে আশ^াস দেব না। আমি ঢাকার মানুষ। ঢাকার ছেলে। আমি জানি ঢাকাকে কিভাবে বাসযোগ্য করতে হবে। কিভাবে নগর রক্ষা করতে হবে। আমি আপনাদের জন্য একটি সবুজ ও বাসযোগ্য নগরী গড়ে তুলতে চাই। বিশ^মানের ঢাকা নগরী গড়ে তুলতে আমার আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে। হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ঢাকার মানুষ এখন ট্যাক্সের বোঝায় জর্জরিত। গোটা শহরজুড়ে এখন ট্যাক্সের আতঙ্ক। আমি নগরবাসীকে এই আতঙ্ক থেকে মুক্তি দিতে চাই। সিটি কর্পোরেশনের আয় যেমন বাড়াব তেমিন ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে। তাহলে কর্পোরেশনের এত আর্থিক সঙ্কট থাকবে না। মঙ্গলবার সকালে কাকরাইল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা অবধি বিজয়নগর, আরামবাগ, মতিঝিল শাপলা চত্বর, গোপীবাগ, টিকাটুলি, আরকে মিশন রোড, ধলপুর এরশাদ পল্লী, সায়েদাবাদ, উত্তর যাত্রাবাড়ী, ভাঙ্গাপ্রেস, মৃধাবাড়ী, বাশেরপুল, স্টাফ কোয়ার্টার, সারুলিয়া, শনিরআখড়া, রায়েরবাগ ও সাইনবোর্ড এলাকায় দিনব্যাপী লাঙ্গলের পক্ষে গণসংযোগ ও কয়েকটি পথসভায় অংশ নেন তিনি। দিনব্যাপী এ প্রচারে মিলনের সঙ্গে জাতীয় পার্টির কোন কেন্দ্রীয় নেতাকে দেখা যায়নি। এ সময় মেয়র প্রার্থীর দুই ছেলে রাকিব উদ্দিন আবির, সাকিব উদ্দিন শিফান ছাড়াও স্থানীয় জাপা নেতা হাজী মীর মাকসুদ, কামাল হোসেন, শাহাদাত হোসেন মকবুল, রাহাদ ইসলাম, শাকিল আহমেদ, তানভীর কলিমুল্লাহ টিটুসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী প্রচারে অংশ নেন।
×