ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচন কমিশনে কোনো অভিযোগ পড়লে তারা নড়েচড়ে বসে ॥ সুজন

প্রকাশিত: ০১:৩০, ২৯ জানুয়ারি ২০২০

নির্বাচন কমিশনে কোনো অভিযোগ পড়লে তারা নড়েচড়ে বসে ॥ সুজন

অনলাইন ডেস্ক ॥ সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, নির্বাচন কমিশনে কোনো অভিযোগ পড়লে তারা নড়েচড়ে বসে। আর অফিযোগ না দিলে নীরব ভূমিকা পালন করছে। অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রার্থী নির্বাচনের আহ্বানে রাজধানীতে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে সুজন। বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচানকে ঘিরে আমাদের নানা ধরনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অনেক প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেও নির্বাচন কমিশন (ইসি) তা আমলে নিচ্ছে না। ফলে তা বন্ধ হচ্ছে না। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে আমরা দেখতে পাচ্ছি, শহরের সব স্থানে প্লাস্টিকের লেমেনিটিং করা পোস্টারে সয়লব হয়ে গেছে। আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে প্লাস্টিকে মোড়ানো প্রার্থীদের পোস্টার ও লিফলেট ঝুলানো হয়েছে। নির্বাচনের পর তা আর সরিয়ে ফেলা হবে না। বৃষ্টি হলে তা নালা ও ড্রেনে গিয়ে পরিবেশের ক্ষতি করবে। অথচ ইসির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে তারা ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ ভূমিকা পালন করছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রসঙ্গে সুজন সম্পাদক বলেন, সির্টি করপোরেশন নির্বাচনে মানুষের আস্থা না থাকলেও সেখানে ইভিএম মেশিন ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এতে করে ভোটাররা কোথায় ভোট দিয়েছে তার কোনো রশিন বা প্রমাণ থাকছে না। ভোটারের সমর্থন যেকোনো স্থানে চলে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইভিএম মেশিনে কারও হাতের আঙুল না মিললে সেসব ভোট নির্বাচন কর্মকর্তারা ইচ্ছামতো প্রদান করতে পারবেন। যদি এসব কর্মকর্তা কোনো দলের মতাদর্শের হন, তাহলে সেগুলো সেই পাল্লায় চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। অথচ ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটে কোনো অনিয়ম হলে তা শনাক্ত করা সম্ভব হতো। তিনি বলেন, কে জনপ্রতিনিধি হবে তা নির্বাচন করার দায়িত্ব ভোটারদের। তাই সব প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান তিনি।
×