ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তলবে ২ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাইকোর্টে

প্রকাশিত: ০২:৫২, ২৯ জানুয়ারি ২০২০

তলবে ২ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাইকোর্টে

অনলাইন রিপোর্টার ॥ দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশের কপি না দেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হাইকোর্টের তলবে হাজির হয়েছেন দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। আজ বুধবার সকালে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ (নকল শাখা) মাসুকাতে রাব্বি হাইকোর্টে হাজির হন। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে। এর আগে ২৩ জানুয়ারি তাদের তলব করেন আদালত। ওই দিন আদালতে রিটকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আছরারুল হক। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মো. আমিনুর রহমান চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সরোয়ার পায়েল। অ্যাডভোকেট আছরারুল হক বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার আদেশের সার্টিফায়েড কপি না দেওয়ার বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাতে আদালত সন্তুষ্ট হননি। তাই ফের তাকে তলব করা হয়েছে। আইনজীবী আরও বলেন, রাজউকের আইনজীবী আদালতকে জানান, আদেশের সার্টিফায়েড কপির জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের ফরওয়ার্ডিং প্রয়োজন হয়। সেই ফরওয়ার্ডিং এখনও আসেনি। এ কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশের সার্টিফায়েড কপি দেওয়ার প্রক্রিয়া জানতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ মাসুকাতে রাব্বিকে তলব করেছেন। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর জেসমিন আক্তারকে প্রথমে তলব করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রকল্প উপদেষ্টা লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানটিকে করা এক লাখ টাকার জরিমানার আদেশের ওপর স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প উপদেষ্টা লিমিটেডের কারিগরি পরিচালক মনিরুজ্জামানের করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেয়া হয়। গত বছরের ১৪ নভেম্বর রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রকল্প উপদেষ্টা লিমিটেড নামের একটি কনসাল্টিং, আর্কিটেক্ট ও ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে। ওই দিনই জরিমানার টাকা আদায় করে নেন নর্বিাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এরপর এই আদেশের কপি চেয়ে গত বছরের ৪ ও ৫ ডিসেম্বর আবেদন করে প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু আজ পর্যন্ত আদেশের কপি সরবরাহ করা হয়নি। এ কারণে ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিলও করতে পারছেন না তারা। এ অবস্থায় আদেশের কপি চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
×