ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় বিধ্বস্ত সেতু সংস্কার হবে কবে?

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ৩০ জানুয়ারি ২০২০

বগুড়ায় বিধ্বস্ত সেতু সংস্কার হবে কবে?

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ একটি বিধ্বস্ত সেতু বগুড়ার সুখানপুকুর থেকে সারিয়াকান্দি পর্যন্ত গ্রামীণ দীর্ঘ পথের সরাসরি যোগাযোগকে রুদ্ধ করে দিয়েছে। সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৪ কিলোমিটার। আর সেতুটি সুখানপুকুর এলাকার মধ্যে। প্রায় এক বছর আগে বন্যায় সেতুর এক প্রান্তের এ্যাপ্রোচ অংশ বিধ্বস্ত হয়। সংস্কার কাজের আগে সুখানপুকুরকে নতুন ইউনিয়ন পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করা হলে পূর্বের নেপালতলি ইউনিয়নের অংশ থেকে আলাদা হয়ে যায়। এরপর গ্রামীণ পাকা সেতুটির কাজ কোন ইউনিয়ন পরিষদের প্রকল্পের মাধ্যমে হবে এই টানাপোড়েনে জট খুলছে না। সেতু তুমি কার এই অবস্থায় পড়ে আছে। গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগে সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর উত্তর প্রান্তে সোনাতলা উপজেলা সদর। দক্ষিণের দিকে যেতে মাঝপথে একটি সড়ক গেছে সারিয়াকান্দি উপজেলার দিকে আরেকটি গাবতলি উপজেলার দিকে। সেতুর এক প্রান্ত বিধ্বস্ত হওয়ায় ওই পথে ছোট ও বড় চার চাকার যান্ত্রিক যানবাহন চলাচল করতে পারে না। কখনও অটোরিক্সা ও ব্যাটারিচালিত ছোট গাড়ি ওই পথে গিয়ে সেতুতে উঠতে পারে না। সুুখানপুকুর সেতুর কাছে রেলওয়ে স্টেশন একটি গার্লস স্কুল, মোস্তাফিজার রহমান মেমোরিয়াল হাই স্কুল, পাটের গুদাম, সুখানপুকুর বন্দর ও হাট। এই সেতু অতিক্রম করে যেতে হয় চারমাথা হয়ে পর্যটকদের জন্য নির্মিত দৃষ্টিনন্দন অরবিন্দু সরোবর, নাড়ুয়ামালা হাট, নারুলীর বিল, কাতলাহার বিলসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। চার ধারের গ্রামগুলোর মধ্যে পারকাঁকড়া, কুড়িপাড়া, ভাঙ্গিরপাড়া, ময়নাতলা, কাজলাপাড়া, ধলিরচর, কদমতলি এলাকার লোকজন জানায় ব্রিজটি মেরামত না হওয়ায় নিত্যদিন দুর্ভোগের পাঁকে পড়তে হচ্ছে। ময়নাতলা গ্রামের ফুল মাহমুদ ফুলু জানান, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অনেক যোগাযোগ করা হয়েছে। কোন ফল হয়নি। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, ধলু সরকার, সোলমান মাস্টার বললেন সুষ্ঠু সড়ক যোগাযোগে অচলায়তনের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। নেপালতলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লতিফুল বারী মিন্টু জানালেন, নেপালতলি ইউনিয়ন পরিষদের আয়তন বেশি হওয়ায় সুখানপুকুর নতুন ইউনিয়ন পরিষদ হয়ছে। পরবর্তী নির্মাণকাজগুলো কিভাবে হবে তার নির্দেশনা আসেনি। যে কারণে সেতুটি ওই অবস্থায় পড়ে আছে।
×