ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সৈয়দপুরে তিন ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাঁটিতে

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ৩০ জানুয়ারি ২০২০

সৈয়দপুরে তিন ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাঁটিতে

সংবাদদাতা, সৈয়দপুর, নীলফামারী, ২৯ জানুয়ারি ॥ তিন ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি বিক্রির ধুম পড়েছে। কৃষকদের অভাবের ফাঁদে স্বল্পমূল্যেই চাষাবাদি জমির উপরিভাগ কেটে নিয়ে যাচ্ছে ইটভাঁটি মালিকরা। এতে জমির উর্বরতা হ্রাস পাচ্ছে। চাষাবাদের প্রতি কৃষকরাও আগ্রহ হারাচ্ছে। জানা গেছে, এ উপজেলায় প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমি থাকে চাষাবাদের আওতায়। এর মধ্যে সাড়ে ৮ হাজার ধান ও অন্যান্য ফসল দেড় হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এসব জমিকে কেন্দ্র করে ৩৪ টি ইটভাঁটি গড়ে উঠেছে। প্রতি শীত মৌসুমে ধান উত্তোলনের পর থেকে চাষাবাদি জমির মাটিগুলো নেয়া হয় ইটভাঁটিতে। এতে ১০-১৫ ইঞ্চি উপরিভাগে উর্বর শক্তি মাটিগুলো কাটা হয়। ফলে ওই সকল জমিতে পুনরায় উর্বরা শক্তি ফিরে আসতে ১০-১৫ বছর সময় লাগে। আর বারবার তা খোঁড়া হলে এসব জমি স্থায়ীভাবে ফসল উৎপাদনে অক্ষম হয়ে পড়তে পারে। কৃষকরা জানান, মাঠ থেকে আমন ধান ওঠার পরপরই ফসলি জমির মাটি বিক্রি শুরু হয়। আর এসব মাটি ট্রাক ও ট্রলিতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইটভাঁটিতে। মাটি বিক্রি করেছেন এমন কৃষকরা জানান, ইটভাঁটি মাটি সরবরাহের জন্য এক শ্রেণীর দালাল চক্র গ্রামে-গ্রামে ঘুরে কৃষকদের মাটি বিক্রি করতে উৎসাহ জোগায়। পরে তা স্বল্পমূল্যে উপরিভাগের মাটি কেটে নিয়ে যায়। সৈয়দপুর কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শাহিনা বেগম বলেন, টপ সয়েল কাটার ফলে অবশ্যই উৎপাদন ব্যাহত হবে। তবে এটি বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন যদি উদ্যোগ নেয় তাহলে আমরা সহায়তা করব।
×