ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নান্দাইলে নদী দখলদার সবচেয়ে বেশি

প্রকাশিত: ০৯:৩৮, ২৯ জানুয়ারি ২০২০

নান্দাইলে নদী দখলদার সবচেয়ে বেশি

সংবাদদাতা, নান্দাইল, ময়মনসিংহ ॥ ময়মনসিংহ জেলায় অবৈধ ভাবে নদী দখলদারদের তালিকা প্রকাশ করেছে সংক্লিষ্ট দপ্তর। এতে দেখা গেছে সদরের বাহিরে ১২টি উপজেলার মধ্যে নান্দাইল উপজেলায় সবচেয়ে বেশি নদী দখলদার রয়েছে। এ উপজেলায় দখলদারদের কাছে উচ্ছেদের নোটিশ যাওয়ার পর তাঁরা ‘উচ্ছেদ চাই না’ লিখা ব্যানারে মানববন্ধন করে নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর ময়মনসিংহ কার্যালয় থেকে প্রকাশিত তালিকায় দেখা গেছে নান্দাইল উপজেলায় মোট ৩৪২ জন অবৈধ নদী দখলদার রয়েছে। আর বাকি ১১ উপজেলায় ৩১৪ জন। ময়মনসিংহ সদরের বাহিরে উপজেলা গুলোর মধ্যে গফরগাঁও ৩২ জন, হালুয়াঘাট উপজেলায় ৩০ জন, ভালুকা উপজেলায় ৫৪ জন, মুক্তাগাছা উপজেলায় ১৫ জন, ধোবাউড়া উপজেলায় ৬ জন, ত্রিশাল উপজেলায় ৫৩ জন, ঈশ^রগঞ্জ ১ জন, তারাকান্দা উপজেলায় ৫১ জন, ফুলপুর উপজেলায় ১৩ জন, গৌরিপুর উপজেলায় ১৫ জন, ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় ৪৪ জন নদী দখলদারের নাম রয়েছে। সরজমিনে নান্দাইল উপজেলায় দেখা গেছে, পৌর সদরের নরসুন্দা নদীর এক পাড়ে প্রায় দুই শতাধিক দোকান ঘর তৈরী করা হয়েছে। আর অপর পাড়ে দেড় শতাধিক পাকা ঘর তৈরী করে নদী দখল করে রেখেছে এক শ্রেণির দখরদার। মঙ্গলবার তাঁরা ‘উচ্ছেদ চাই না, পুনর্বাসন চাই’ শিরোনামে ব্যানার হাতে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে উপজেলা পরিষদের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্বারকলিপি প্রদান করে। এই বিষয়ে আজ বুধবার নান্দাইলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা আক্তার দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন, এ উপজেলায় ৩৪২ জন নদী দখলদার রয়েছে। উপজেলা আইনশৃঙ্কলা কমিটির মাসিক সভায় নদী দখলদারদের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ২৩ জানুয়ারি তাদেরকে স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা না সরালে আমরা ভেঙ্গে দিব।
×